যক্ষ্মা পরিস্থিতি
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
অবহেলিত সংক্রামক রোগ যক্ষ্মা। একসময় এ দেশে বলা হতো ‘যার হয় যক্ষ্মা, তার নাই রক্ষা’। উন্নত চিকিৎসাপদ্ধতির বদৌলতে ক্রমে যক্ষ্মা নিয়ে সে আতঙ্ক অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়। কিন্তু আবার বিপজ্জনক রূপে ফিরে আসছে রোগটি। বহু ওষুধপ্রতিরোধী বা মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (এমডিআর) হয়ে ওঠায় এই রোগের চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ছে। আর এই এমডিআর যক্ষ্মা শনাক্তের হার ক্রমেই বাড়ছে।
রোগীদের শনাক্তের বাইরে থেকে যাওয়া অথবা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা শেষ না করার কারণে যক্ষ্মার জীবাণু শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তখন প্রচলিত একটি ওষুধে কাজ হয় না। এভাবেই তা হয়ে ওঠে এমডিআর ধরনের যক্ষ্মা।
প্রসঙ্গত, দেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি মানুষ এ সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশ জনবহুল, অতি ঘনবসতিপূর্ণ এবং দারিদ্র্যের হার তুলনামূলকভাবে বেশি বলে ১ শতাংশ হারও উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের যক্ষ্মাপ্রবণ ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সাত নম্বরে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, দেশের সাধারণ যক্ষ্মা রোগের নিরাময় হার সন্তোষজনক হলেও ওষুধ সেবন অনিয়মিত হওয়ায় ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মায় মৃত্যুহার কমেনি। যক্ষ্মার প্রধান দুটি ওষুধ ‘রিফাম্পিসিন’ ও ‘আইসোনিয়াজিড’ প্রতিরোধী হয়ে ওঠা যক্ষ্মার জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করছে না। এতে যক্ষ্মার চিকিৎসার মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত ওষুধ সেবন চালিয়ে গেলে সাধারণ যক্ষ্মা ভালো হওয়ার হার ৯৫ শতাংশ। অন্য দিকে ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মার ক্ষেত্রে সুস্থতার হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, গত বছর দেশে ১ হাজার ৭৯৯ জন ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়। এর আগের বছর এর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭২৯।
মোটের ওপর দিন দিন ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা। তাঁরা বলছেন, যেসব যক্ষ্মা রোগীর শরীরে প্রচলিত ওষুধ কাজ করে না, তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। গত তিন দশকে দেশে শিশুসহ অন্তত ৩৫ লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের একটি বড় অংশ নিয়মিত ওষুধ সেবন না করায় ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীতে পরিণত হচ্ছে।
রোগের বিস্তার
১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যক্ষ্মাকে গ্লোবাল হেল্থ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং কিছু বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৩০ লাখের বেশি লোকের ওপর পরীক্ষা করে মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬২৪ রোগী শনাক্ত হয়। বিভাগভিত্তিক হিসাবে ঢাকায় ৮৫ হাজার ৬০৮, চট্টগ্রামে ৬০ হাজার ৩০৯, রাজশাহীতে ৩৫ হাজার ৮১৯, রংপুরে ৩৪ হাজার ৮৩৩, খুলনায় ৩৪ হাজার ১৪, বরিশালে ১৯ হাজার ৬০০, সিলেটে ২২ হাজার ২২, ময়মনসিংহে ২১ হাজার ৪১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
যক্ষ্মা কেমন রোগ, কীভাবে ছড়ায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, যক্ষ্মা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (টিবি) ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হওয়া একটি রোগ। এটি মূলত ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাঁচি-কাশি দিলে বা থুতু ফেললে বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা না নিলে তার মাধ্যমে আরও ১০ জন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রচলিত ধারণায় যক্ষ্মাকে বক্ষব্যাধি মনে করা হলেও এ রোগের জীবাণু শুধু ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না। মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি, হাড়সহ দেহের যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এর সংক্রমণ হতে পারে।
যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য হলেও এতে বিশ্বে বছরে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বে সংক্রামক অসুখে মৃত্যুর সংখ্যা এ রোগেই সবচেয়ে বেশি। অন্য রোগের ওপরও প্রভাব ফেলে যক্ষ্মা। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর প্রধান কারণ যক্ষ্মা। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, যেমন—এইচআইভি, অপুষ্টি বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ও ধূমপায়ী; তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
বিশেষজ্ঞের চোখে
ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা এ রোগের চিকিৎসাকে কঠিন করে তুলছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘কোনো রোগের জীবাণু একের অধিক ওষুধ প্রতিরোধে সক্ষম হলে তাকে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট বলা হয়। বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এবং মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স খুবই মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। যক্ষ্মার ক্ষেত্রে এমডিআর কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করছে। সঠিক সময়ে শনাক্ত না হওয়া অথবা ওষুধের ফুল কোর্স (শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওষুধ সেবনের চক্র) শেষ না করার কারণে এমডিআর হচ্ছে।’
শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা
সরকারের তথ্য বলছে, যক্ষ্মা শনাক্তে দেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত জিন এক্সপার্ট ল্যাব, ট্রুনাট মেশিন, এলইডি মাইক্রোস্কোপ, লিকুইড কালচার, এলপিএ, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন রয়েছে। এ ছাড়াও রাজধানীতে একটি ন্যাশনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরি এবং ৫টি আঞ্চলিক রেফারেন্স ল্যাবরেটরির মাধ্যমে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. জাহাঙ্গীর কবির আজকের পত্রিকাকে রোগটির পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘যক্ষ্মায় মৃত্যুহার কমে এসেছে। ২০১৫ সালে প্রতি লাখে ৪৫ রোগীর মৃত্যু হলেও বর্তমানে তা ২৫ জনে নেমে এসেছে। দেশে শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের হার কম। বর্তমানে রোগ পরীক্ষার সুবিধা বাড়ার কারণে তা ৫ শতাংশের একটু ওপরে উঠেছে। গত বছর এর হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। সাধারণত শিশু রোগী থাকে ১০ শতাংশ। আমরা শিশু রোগী শনাক্তের জন্য আরও কাজ করছি। ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।’
অবহেলিত সংক্রামক রোগ যক্ষ্মা। একসময় এ দেশে বলা হতো ‘যার হয় যক্ষ্মা, তার নাই রক্ষা’। উন্নত চিকিৎসাপদ্ধতির বদৌলতে ক্রমে যক্ষ্মা নিয়ে সে আতঙ্ক অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়। কিন্তু আবার বিপজ্জনক রূপে ফিরে আসছে রোগটি। বহু ওষুধপ্রতিরোধী বা মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (এমডিআর) হয়ে ওঠায় এই রোগের চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ছে। আর এই এমডিআর যক্ষ্মা শনাক্তের হার ক্রমেই বাড়ছে।
রোগীদের শনাক্তের বাইরে থেকে যাওয়া অথবা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা শেষ না করার কারণে যক্ষ্মার জীবাণু শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তখন প্রচলিত একটি ওষুধে কাজ হয় না। এভাবেই তা হয়ে ওঠে এমডিআর ধরনের যক্ষ্মা।
প্রসঙ্গত, দেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি মানুষ এ সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশ জনবহুল, অতি ঘনবসতিপূর্ণ এবং দারিদ্র্যের হার তুলনামূলকভাবে বেশি বলে ১ শতাংশ হারও উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বের যক্ষ্মাপ্রবণ ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সাত নম্বরে।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, দেশের সাধারণ যক্ষ্মা রোগের নিরাময় হার সন্তোষজনক হলেও ওষুধ সেবন অনিয়মিত হওয়ায় ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মায় মৃত্যুহার কমেনি। যক্ষ্মার প্রধান দুটি ওষুধ ‘রিফাম্পিসিন’ ও ‘আইসোনিয়াজিড’ প্রতিরোধী হয়ে ওঠা যক্ষ্মার জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করছে না। এতে যক্ষ্মার চিকিৎসার মেয়াদ বেড়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত ওষুধ সেবন চালিয়ে গেলে সাধারণ যক্ষ্মা ভালো হওয়ার হার ৯৫ শতাংশ। অন্য দিকে ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মার ক্ষেত্রে সুস্থতার হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, গত বছর দেশে ১ হাজার ৭৯৯ জন ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়। এর আগের বছর এর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭২৯।
মোটের ওপর দিন দিন ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা। তাঁরা বলছেন, যেসব যক্ষ্মা রোগীর শরীরে প্রচলিত ওষুধ কাজ করে না, তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। গত তিন দশকে দেশে শিশুসহ অন্তত ৩৫ লাখ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের একটি বড় অংশ নিয়মিত ওষুধ সেবন না করায় ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীতে পরিণত হচ্ছে।
রোগের বিস্তার
১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) যক্ষ্মাকে গ্লোবাল হেল্থ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার এবং কিছু বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৩০ লাখের বেশি লোকের ওপর পরীক্ষা করে মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬২৪ রোগী শনাক্ত হয়। বিভাগভিত্তিক হিসাবে ঢাকায় ৮৫ হাজার ৬০৮, চট্টগ্রামে ৬০ হাজার ৩০৯, রাজশাহীতে ৩৫ হাজার ৮১৯, রংপুরে ৩৪ হাজার ৮৩৩, খুলনায় ৩৪ হাজার ১৪, বরিশালে ১৯ হাজার ৬০০, সিলেটে ২২ হাজার ২২, ময়মনসিংহে ২১ হাজার ৪১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
যক্ষ্মা কেমন রোগ, কীভাবে ছড়ায়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, যক্ষ্মা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (টিবি) ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হওয়া একটি রোগ। এটি মূলত ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাঁচি-কাশি দিলে বা থুতু ফেললে বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা না নিলে তার মাধ্যমে আরও ১০ জন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রচলিত ধারণায় যক্ষ্মাকে বক্ষব্যাধি মনে করা হলেও এ রোগের জীবাণু শুধু ফুসফুসকে আক্রান্ত করে না। মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি, হাড়সহ দেহের যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে এর সংক্রমণ হতে পারে।
যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য হলেও এতে বিশ্বে বছরে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বে সংক্রামক অসুখে মৃত্যুর সংখ্যা এ রোগেই সবচেয়ে বেশি। অন্য রোগের ওপরও প্রভাব ফেলে যক্ষ্মা। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর প্রধান কারণ যক্ষ্মা। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, যেমন—এইচআইভি, অপুষ্টি বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ও ধূমপায়ী; তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
বিশেষজ্ঞের চোখে
ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা এ রোগের চিকিৎসাকে কঠিন করে তুলছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘কোনো রোগের জীবাণু একের অধিক ওষুধ প্রতিরোধে সক্ষম হলে তাকে মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট বলা হয়। বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এবং মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স খুবই মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। যক্ষ্মার ক্ষেত্রে এমডিআর কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করছে। সঠিক সময়ে শনাক্ত না হওয়া অথবা ওষুধের ফুল কোর্স (শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ওষুধ সেবনের চক্র) শেষ না করার কারণে এমডিআর হচ্ছে।’
শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা
সরকারের তথ্য বলছে, যক্ষ্মা শনাক্তে দেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত জিন এক্সপার্ট ল্যাব, ট্রুনাট মেশিন, এলইডি মাইক্রোস্কোপ, লিকুইড কালচার, এলপিএ, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন রয়েছে। এ ছাড়াও রাজধানীতে একটি ন্যাশনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরি এবং ৫টি আঞ্চলিক রেফারেন্স ল্যাবরেটরির মাধ্যমে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. জাহাঙ্গীর কবির আজকের পত্রিকাকে রোগটির পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘যক্ষ্মায় মৃত্যুহার কমে এসেছে। ২০১৫ সালে প্রতি লাখে ৪৫ রোগীর মৃত্যু হলেও বর্তমানে তা ২৫ জনে নেমে এসেছে। দেশে শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্তের হার কম। বর্তমানে রোগ পরীক্ষার সুবিধা বাড়ার কারণে তা ৫ শতাংশের একটু ওপরে উঠেছে। গত বছর এর হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। সাধারণত শিশু রোগী থাকে ১০ শতাংশ। আমরা শিশু রোগী শনাক্তের জন্য আরও কাজ করছি। ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।’
পুরুষের যৌন সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রেখেই এখন করা সম্ভব হবে প্রোস্টেট তথা মূত্রথলির ক্যানসারের সার্জারি বা অস্ত্রোপচার। এমনটাই জানিয়েছেন, একদল ব্রিটিশ গবেষক। তাঁরা বলেছেন, প্রথম ব্যাপক পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে, প্রোস্টেট ক্যানসারের আরও নির্ভুল অস্ত্রোপচার পদ্ধতি বের করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। এই পদ্ধতিতে পুরুষ
১৯ ঘণ্টা আগেহার্ট অ্যাটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মাইয়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলা হয়। এটি যখন হয় তখন হৃৎপিণ্ডের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি সাধারণত ঘটে করোনারি ধমনিতে বাধা বা সংকীর্ণতার কারণে। করোনারি ধমনি হলো এমন রক্তনালি যা হৃৎপিণ্ডের পেশিতে অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ
২১ ঘণ্টা আগেবার্ড ফ্লু নামে পরিচিত উচ্চমাত্রার সংক্রামক ভাইরাস এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ক্রমশ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এবং শত শত মানুষকে সংক্রমিত করেছে। এর ফলে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ এবং এর ধারাবাহিকতায় নতুন মহামারি সৃষ্টির আশঙ্কা বাড়ছে।
১ দিন আগেসম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা লিভার ও প্যানক্রিয়াসের মতো মারাত্মক ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন। বিশেষ করে সদ্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আজ রোববার গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই খবর জানা গেছে।
৩ দিন আগে