মানুষের চোখের অন্ধত্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ গ্লকোমা। এটি আসলে চোখের অনেক সমস্যার সমষ্টি, যার ফলে চোখের মধ্যে থাকা এবং দৃষ্টিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের ১০ শতাংশ মানুষের গ্লকোমা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে গ্লকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৫০ হাজার। গ্লকোমা সাধারণত দুই চোখে একসঙ্গে হয়।
উপসর্গ
রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন উপসর্গ না থাকায় রোগী বুঝতে পারেন না যে তিনি ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পরে রোগীরা বুঝতে পারেন। এই রোগের প্রথম উপসর্গটি হলো পার্শ্ববর্তী দৃষ্টি প্রায় হারিয়ে ফেলা। এ ছাড়া—
কারণ
এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও চোখের উচ্চচাপকে রোগটির প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে চোখের স্বাভাবিক চাপেও এই রোগ হতে পারে। পরিবারের অন্য কোনো নিকটাত্মীয়, যেমন মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, চাচা, মামা, খালা বা ফুপুর এই রোগ থাকলে বয়স চল্লিশের বেশি হলে কিংবা ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ থাকলে, স্টেরয়েড ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করলে, চোখে ছানি অপারেশন না করলে বা করাতে দেরি হলে অথবা চোখে জন্মগত ত্রুটি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়।
প্রতিরোধ
পরামর্শ দিয়েছেন: কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মো. আই হসপিটাল, সোবহানবাগ, ঢাকা