অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর বড় কারণ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ একদল গবেষক এমন এক ধরনের রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যাতে আগেভাগেই জানা যাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ হৃৎপিণ্ডসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। আর এতে খরচ পড়বে মাত্র ৫ পাউন্ড স্টারলিং বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০০ টাকা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের (বিএইচএফ) অর্থায়নে ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে’ প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, রোগীদের শরীরে ট্রোপোনিনের মাত্রা পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা অনেক বেশি নির্ভুলভাবে হৃদ্রোগসংক্রান্ত ঝুঁকি আগে থেকে বলতে পারবেন।
এই প্রোটিন হৃৎপেশি কোষে পাওয়া যায় এবং হৃদ্যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তে মেশে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে তা শনাক্ত করতে হাসপাতালগুলোতে ট্রোপোনিন রক্ত পরীক্ষা এরই মধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। গবেষণা বলছে, এই সাশ্রয়ী পরীক্ষা হৃদ্যন্ত্রের ‘নীরব’ ক্ষতি শনাক্ত করতেও কাজে লাগতে পারে; পাশাপাশি কোনো রোগীর ভবিষ্যতে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কতটা, তা আগে থেকে জানাতে সাহায্য করবে।
জেনারেল প্র্যাকটিশনারের (জিপি) চেম্বারে বা স্থানীয় নিবন্ধিত চিকিৎসকের চেম্বারে কোলেস্টেরলের নিয়মিত পরীক্ষার সঙ্গেই এই পরীক্ষা করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে স্ট্যাটিনের মতো প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে, যা হাজার হাজার হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঘটনা এড়াতে সাহায্য করবে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার মেডিসিনের অধ্যাপক এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক অনুপ শাহ বলেন, ‘ট্রোপোনিন, স্বাভাবিক মাত্রায়ও নীরব হৃদ্পেশির ক্ষতির একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত দেয়। কাজেই এই পরীক্ষা তথ্যের একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে, যা মানুষের ঝুঁকির পূর্বাভাস দেওয়ার সময় আমাদের নির্ভুলতা বাড়াতে কাজে লাগবে। আমরা যত বেশি সম্ভব উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে চাই, যাতে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ কেউ না হারায়।’
অনুপ শাহ আরও বলেন, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মূল্যায়নে বর্তমান নির্দেশিকাগুলোতে ট্রোপোনিন পরীক্ষা যুক্ত করলে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের রক্তে ট্রোপোনিনের মাত্রা বেশি, তাঁদের আগামী ১০ বছরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। মডেল অনুযায়ী, বর্তমানে প্রচলিত হৃদ্রোগের স্বাস্থ্যবিষয়ক মূল্যায়নে যাঁরা মধ্যবর্তী ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করা হলে প্রতি ৫০০ জনে একজনের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া বা স্ট্রোকের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
গবেষকেরা ইউরোপ ও আমেরিকার ৬২ হাজারের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। প্রত্যেক ব্যক্তির ট্রোপোনিনের মাত্রা এবং বয়স, রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের ইতিহাস, ধূমপানের অভ্যাস ও কোলেস্টেরলের মাত্রার মতো প্রচলিত ঝুঁকির কারণগুলোও পরীক্ষা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের এরপর এক দশক ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যাতে দেখা যায় তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত বা স্ট্রোক হয়েছে কি না।
বিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর বড় কারণ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ একদল গবেষক এমন এক ধরনের রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যাতে আগেভাগেই জানা যাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ হৃৎপিণ্ডসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। আর এতে খরচ পড়বে মাত্র ৫ পাউন্ড স্টারলিং বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০০ টাকা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের (বিএইচএফ) অর্থায়নে ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজিতে’ প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, রোগীদের শরীরে ট্রোপোনিনের মাত্রা পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা অনেক বেশি নির্ভুলভাবে হৃদ্রোগসংক্রান্ত ঝুঁকি আগে থেকে বলতে পারবেন।
এই প্রোটিন হৃৎপেশি কোষে পাওয়া যায় এবং হৃদ্যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তে মেশে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে তা শনাক্ত করতে হাসপাতালগুলোতে ট্রোপোনিন রক্ত পরীক্ষা এরই মধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। গবেষণা বলছে, এই সাশ্রয়ী পরীক্ষা হৃদ্যন্ত্রের ‘নীরব’ ক্ষতি শনাক্ত করতেও কাজে লাগতে পারে; পাশাপাশি কোনো রোগীর ভবিষ্যতে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কতটা, তা আগে থেকে জানাতে সাহায্য করবে।
জেনারেল প্র্যাকটিশনারের (জিপি) চেম্বারে বা স্থানীয় নিবন্ধিত চিকিৎসকের চেম্বারে কোলেস্টেরলের নিয়মিত পরীক্ষার সঙ্গেই এই পরীক্ষা করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে স্ট্যাটিনের মতো প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে, যা হাজার হাজার হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঘটনা এড়াতে সাহায্য করবে।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার মেডিসিনের অধ্যাপক এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক অনুপ শাহ বলেন, ‘ট্রোপোনিন, স্বাভাবিক মাত্রায়ও নীরব হৃদ্পেশির ক্ষতির একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত দেয়। কাজেই এই পরীক্ষা তথ্যের একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করে, যা মানুষের ঝুঁকির পূর্বাভাস দেওয়ার সময় আমাদের নির্ভুলতা বাড়াতে কাজে লাগবে। আমরা যত বেশি সম্ভব উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে চাই, যাতে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ কেউ না হারায়।’
অনুপ শাহ আরও বলেন, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মূল্যায়নে বর্তমান নির্দেশিকাগুলোতে ট্রোপোনিন পরীক্ষা যুক্ত করলে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের রক্তে ট্রোপোনিনের মাত্রা বেশি, তাঁদের আগামী ১০ বছরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। মডেল অনুযায়ী, বর্তমানে প্রচলিত হৃদ্রোগের স্বাস্থ্যবিষয়ক মূল্যায়নে যাঁরা মধ্যবর্তী ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করা হলে প্রতি ৫০০ জনে একজনের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া বা স্ট্রোকের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
গবেষকেরা ইউরোপ ও আমেরিকার ৬২ হাজারের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। প্রত্যেক ব্যক্তির ট্রোপোনিনের মাত্রা এবং বয়স, রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের ইতিহাস, ধূমপানের অভ্যাস ও কোলেস্টেরলের মাত্রার মতো প্রচলিত ঝুঁকির কারণগুলোও পরীক্ষা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের এরপর এক দশক ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যাতে দেখা যায় তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত বা স্ট্রোক হয়েছে কি না।
দীর্ঘ কয়েক দশক গবেষণা ও বিতর্কের পর এবার একটি নতুন ধরনের ডায়াবেটিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)। ‘টাইপ ৫ ডায়াবেটিস’ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ মূলত অপুষ্টিজনিত এবং সাধারণত কমবয়সী, হালকা-গড়নের ও অপুষ্টিতে ভোগা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায়।
১ দিন আগেদুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
২ দিন আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
৩ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
৩ দিন আগে