ফিচার ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক অধ্যাপক ইয়ভন কেলির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৪ বছর বয়সী বিষণ্ন কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশের আত্মসম্মানবোধ কম, নিজের চেহারা নিয়ে তারা অসন্তুষ্ট এবং রাতে তারা সাত ঘণ্টার কম ঘুমায়।
গবেষণাটি মিলেনিয়াম কহর্ট স্টাডির আওতায় প্রায় ১১ হাজার কিশোর-কিশোরীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেদের তুলনায় দ্বিগুণ সময় কাটায়। প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়ে প্রতিদিন অন্তত তিন ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, যেখানে ছেলেদের মধ্যে এই হার মাত্র ২০ শতাংশ।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, বিষণ্ন মেয়েদের মধ্যে অনলাইনে হেনস্তার শিকার হওয়ার হার ৩৫.৬ শতাংশ, যা ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৭.৪ শতাংশ।
সোশ্যাল মিডিয়া অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্নতায় পড়ে থাকা মেয়েদের ৪৮.৪ শতাংশ এবং ছেলেদের ১৯.৮ শতাংশ প্রতি রাতে সাত ঘণ্টার কম ঘুমায়। অনেকের রাতে ফোনের নোটিফিকেশনে ঘুম ভেঙে যায়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক ইয়ভন কেলি বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের মধ্যে ডিপ্রেশনের লক্ষণও বাড়ছে। অনলাইন বুলিং, ঘুমের অভাব ও দৈহিক সৌন্দর্য নিয়ে চাপ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ভারসাম্যহীন করে তুলছে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক স্টিফেন স্কটের মতে, যেসব কিশোর-কিশোরী আগে থেকেই আত্মবিশ্বাস বা বন্ধুসংকটে ভুগছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটায়। আর অতিরিক্ত ব্যবহার আত্মবিশ্বাস আরও কমিয়ে দেয়।
১৮ বছর বয়সী শ্যানন ম্যাকলাফলিন। বিষণ্নতা ও উদ্বেগে ভুগেছেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই নিজের জীবনের ভালো দিকগুলো তুলে ধরেন। যখন আমি খারাপ সময় পার করছিলাম, তখন অন্যদের হাসিখুশি পোস্ট দেখে আমার মনে হতো, আমি ভুল কিছু করছি। আমি সব সময় নিজেকে তুলনা করতাম সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা সফল মানুষদের সঙ্গে।’
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ও সরকার সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে তরুণদের সুরক্ষায় আরও দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিহারা ক্রাউস সতর্ক করেছেন, ডিপ্রেশন শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে হয় না, এর সঙ্গে জৈবিক ও সামাজিক নানা কারণ জড়িত। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব অস্বীকার করা যায় না।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ফিল্টার করা ছবি ও অসম প্রত্যাশা মেয়েদের মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের উচিত সন্তানদের বাস্তব জীবনে সক্রিয় রাখা এবং সোশ্যাল মিডিয়া সীমিত ব্যবহারে তাদের উৎসাহিত করা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক অধ্যাপক ইয়ভন কেলির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৪ বছর বয়সী বিষণ্ন কিশোরীদের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশের আত্মসম্মানবোধ কম, নিজের চেহারা নিয়ে তারা অসন্তুষ্ট এবং রাতে তারা সাত ঘণ্টার কম ঘুমায়।
গবেষণাটি মিলেনিয়াম কহর্ট স্টাডির আওতায় প্রায় ১১ হাজার কিশোর-কিশোরীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মেয়েরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেদের তুলনায় দ্বিগুণ সময় কাটায়। প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়ে প্রতিদিন অন্তত তিন ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, যেখানে ছেলেদের মধ্যে এই হার মাত্র ২০ শতাংশ।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, বিষণ্ন মেয়েদের মধ্যে অনলাইনে হেনস্তার শিকার হওয়ার হার ৩৫.৬ শতাংশ, যা ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৭.৪ শতাংশ।
সোশ্যাল মিডিয়া অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্নতায় পড়ে থাকা মেয়েদের ৪৮.৪ শতাংশ এবং ছেলেদের ১৯.৮ শতাংশ প্রতি রাতে সাত ঘণ্টার কম ঘুমায়। অনেকের রাতে ফোনের নোটিফিকেশনে ঘুম ভেঙে যায়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক ইয়ভন কেলি বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের মধ্যে ডিপ্রেশনের লক্ষণও বাড়ছে। অনলাইন বুলিং, ঘুমের অভাব ও দৈহিক সৌন্দর্য নিয়ে চাপ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ভারসাম্যহীন করে তুলছে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক স্টিফেন স্কটের মতে, যেসব কিশোর-কিশোরী আগে থেকেই আত্মবিশ্বাস বা বন্ধুসংকটে ভুগছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটায়। আর অতিরিক্ত ব্যবহার আত্মবিশ্বাস আরও কমিয়ে দেয়।
১৮ বছর বয়সী শ্যানন ম্যাকলাফলিন। বিষণ্নতা ও উদ্বেগে ভুগেছেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই নিজের জীবনের ভালো দিকগুলো তুলে ধরেন। যখন আমি খারাপ সময় পার করছিলাম, তখন অন্যদের হাসিখুশি পোস্ট দেখে আমার মনে হতো, আমি ভুল কিছু করছি। আমি সব সময় নিজেকে তুলনা করতাম সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা সফল মানুষদের সঙ্গে।’
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ও সরকার সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে তরুণদের সুরক্ষায় আরও দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিহারা ক্রাউস সতর্ক করেছেন, ডিপ্রেশন শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে হয় না, এর সঙ্গে জৈবিক ও সামাজিক নানা কারণ জড়িত। তবে এর নেতিবাচক প্রভাব অস্বীকার করা যায় না।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ফিল্টার করা ছবি ও অসম প্রত্যাশা মেয়েদের মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের উচিত সন্তানদের বাস্তব জীবনে সক্রিয় রাখা এবং সোশ্যাল মিডিয়া সীমিত ব্যবহারে তাদের উৎসাহিত করা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
দীর্ঘ কয়েক দশক গবেষণা ও বিতর্কের পর এবার একটি নতুন ধরনের ডায়াবেটিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)। ‘টাইপ ৫ ডায়াবেটিস’ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ মূলত অপুষ্টিজনিত এবং সাধারণত কমবয়সী, হালকা-গড়নের ও অপুষ্টিতে ভোগা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায়।
১ দিন আগেদুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
২ দিন আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
৩ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
৩ দিন আগে