হোম > স্বাস্থ্য

অটিজমের লক্ষণ ও অভিভাবকদের করণীয়

অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

আজ ২ এপ্রিল, অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হিসেবে এ দিবস পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও। 

এই দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ‘রূপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠন।’ দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আজ থেকে দুই রাত জ্বলবে নীল বাতি। 

একসময় অটিজম ছিল অবহেলিত বিষয়। সমাজে নিগ্রহ ও বিদ্রূপের শিকার হতো এতে আক্রান্ত শিশুরা। প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর কন্যার সক্রিয় উদ্যোগে কেবল দেশেই নয়, বিদেশেও এ বিষয়ে সৃষ্টি হয়েছে সচেতনতা। 

অটিজম মূলত অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার বা এএসডি। এটি স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা। মায়ের গর্ভ থেকে পরের কয়েক বছরে শিশুর স্নায়ুর বিকাশ হয়। এই সময়ে স্নায়ুর বিকাশজনিত কোনো সমস্যা হলে হতে পারে অটিজম। 

সাধারণ লক্ষণ

  • শিশুর বয়স তিন বছর হলেও ঠিকমতো কথা বলতে না পারা
  • অস্ফুটভাবে দু-একটি শব্দ বলা। কিন্তু মনের ভাব ঠিকমতো প্রকাশ করতে না পারা 
  • স্বাভাবিক শিশুদের মতো মা-বাবার চোখে চোখ না রাখা 
  • একা থাকার প্রবণতা এবং অন্য শিশুদের সঙ্গে না মেশা
  • হঠাৎ রেগে গেলে উত্তেজিত হয়ে নিজেকে আঘাত করা
  • এক কাজ বারবার করা
  • ছয় মাস বয়সেও একা একা না হাসা
  • পছন্দের জিনিস নির্দিষ্ট করতে না পারা
  • ভাষার ব্যবহার না শেখা
  • মানুষ বা আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে সমস্যা হওয়া
  • সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করায় সমস্যা সৃষ্টি হওয়া
  • দক্ষতা অসমভাবে বিকশিত হওয়া 

এসব লক্ষণ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে শিশুকে। কথোপকথন বা যোগাযোগে সমস্যা হলেও অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা সংগীত, গণিত বা কোনো নির্দিষ্ট শিল্পে হতে পারে দারুণ দক্ষ। স্কুলে যাওয়ার বয়সে অনেক শিশুর এটি ধরা পড়ে। ১৬ থেকে ২৪ মাসের শিশুদের আচরণ দেখা যায় বাসাতেই। সে আচরণে সামঞ্জস্য না পেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, এমন পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স। সহজ বিষয় হলো, পোলিও টিকা দেওয়ার সময় কার্ডের ছবির সঙ্গে শিশুর বেড়ে ওঠা এবং আচরণ মিলিয়ে অসংগতি পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। 

চিকিৎসা 
এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এ ব্যাপারে সবার সচেতনতা জরুরি। আক্রান্ত শিশুর সম্মিলিত পরিচর্যা দরকার। শিশু লালনপালনের জন্য মা-বাবাকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিতে হবে। 

  • যে বিষয়গুলো করা যেতে পারে
  • বিভিন্ন কাজে শিশুকে উৎসাহ দেওয়া
  • প্রথমে মূলধারার স্কুলে ভর্তি করানো
  • সামাজিক রীতিনীতি পালনে উৎসাহ দেওয়া এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া
  • যে বিষয়ে সে খুব ভালো সে বিষয়টিতে উৎসাহ দেওয়া
  • আক্রান্ত শিশুকে বিশেষায়িত স্কুলে ভর্তি করানো 
  • প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শিশুকে স্পিচ থেরাপি দেওয়া বা ইশারা ভাষা শেখানো।

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি জানা যাবে মাত্র ৮০০ টাকার রক্ত পরীক্ষায়

হাঁচি-কাশি হলে অবহেলা নয়, সচেতনতা দরকার

মেয়েদের বিষণ্নতা বাড়ার কারণ সোশ্যাল মিডিয়া

মধ্যবয়সের খাদ্যাভ্যাস সুস্থ রাখতে পারে সত্তরেও

মনের সঙ্গে খাবারের ভূমিকা

ত্বক পরিচর্যায় কাঁচা আম

ক্লান্তি পিছু ছাড়ছে না, ভিটামিন ডি স্বল্পতায় ভুগছেন না তো?

লালার সাহায্যে প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয় করা যাবে ঘরে বসেই: গবেষণা

গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে সন্তান অটিস্টিক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে: গবেষণা

বাংলাদেশ-ভারতসহ এশিয়ার ৪ দেশের খাবারে বিষাক্ত রাসায়নিক: গবেষণা