হোম > স্বাস্থ্য

দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন মাত্রা

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ৩৭ বছর বয়সী এক রোগীর হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে একটি বায়োমাইম মরফ স্টেন্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মরফটি ছিল ৬০ মিলিমিটার দীর্ঘ। গত ২৩ অক্টোবর (শনিবার) ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে স্টেন্ট প্রতিস্থাপিত হয়। বর্তমানে সেই রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন। 

হৃদ্রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই নতুন মাত্রা যোগ করেছেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধুরী। দুইটি রিং ব্যবহার না করে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে সর্বোচ্চ দীর্ঘ ও ক্রমান্বয়ে সরু স্টেন্ট প্রতিস্থাপন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর এ সফলতায় দেশ-বিদেশের হৃদরোগ চিকিৎসকেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। 

আজ সোমবার অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন,  চিকিৎসার জন্য স্টেন্টিং বা রিং লাগানো চিকিৎসা হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির ব্লক বা স্টেনোসিস চিকিৎসার একটি আধুনিক পদ্ধতি। এতে রক্তনালির ব্লক বেলুন দিয়ে ফুলিয়ে তার ওপর একটি রিং বা স্টেন্ট বসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে রক্তনালির পুনরায় ব্লক হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। এই রিং অতি সূক্ষ্ম তারের তৈরি কলমের রিংয়ের মতো দেখতে, যা বেলুন দিয়ে ফুলালে রক্তনালির গায়ে আটকে থাকে। 

ডা. অমল কুমার বলেন, হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে দীর্ঘ ব্লক হওয়ার কারণে দুইটি স্টেন্ট বা রিং স্থাপনের প্রয়োজন হয়। সেখানে একটি লম্বা দীর্ঘ স্টেন্ট বা রিং প্রতিস্থাপন করায় রোগীদের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে। এ ধরনের চিকিৎসার জন্য রোগীদের আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এতে দেশে হৃদরোগ চিকিৎসায় নতুন মাত্রা যোগ হলো।  

অমল কুমার আরও বলেন, হার্টের রক্তনালিতে ব্লকেজ হলে রক্তনালি সরু হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হার্টের মাংসপেশি পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন ও খাবার পায় না। ব্যায়াম বা অধিক পরিশ্রমের সময় যখন অক্সিজেন ও খাবারের চাহিদা বেড়ে যায় তখন রক্ত সরবরাহ না বাড়লে এক ধরনের তীব্র বুকে অস্বস্তি বা ব্যথা করে যাকে এনজাইনা বলে। এ ছাড়া রক্তনালির চর্বির স্তর ফেটে গিয়ে তার ওপর রক্তের দানা জমা হয়ে রক্তনালি আংশিক বা পুরো বন্ধ হয়ে একিউট করোনারি সিনড্রোম হতে পারে। তাদের কষ্ট বা মৃত্যুঝুঁকি এড়ানোর জন্য এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টি বা স্টেন্টিং অপারেশন করতে হয়। 

হৃদ্রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধুরী নাটোরের লালপুরের বিলমাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি (কার্ডিওলজি), এফএসিসি (ইউএসএ), এফএসসিএআই (ইউএসএ), ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিতে প্রশিক্ষিত (ফ্রান্স ও ভারত) ডিগ্রি অর্জন করেন। 

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি জানা যাবে মাত্র ৮০০ টাকার রক্ত পরীক্ষায়

হাঁচি-কাশি হলে অবহেলা নয়, সচেতনতা দরকার

মেয়েদের বিষণ্নতা বাড়ার কারণ সোশ্যাল মিডিয়া

মধ্যবয়সের খাদ্যাভ্যাস সুস্থ রাখতে পারে সত্তরেও

মনের সঙ্গে খাবারের ভূমিকা

ত্বক পরিচর্যায় কাঁচা আম

ক্লান্তি পিছু ছাড়ছে না, ভিটামিন ডি স্বল্পতায় ভুগছেন না তো?

লালার সাহায্যে প্রোস্টেট ক্যানসার নির্ণয় করা যাবে ঘরে বসেই: গবেষণা

গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে সন্তান অটিস্টিক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে: গবেষণা

বাংলাদেশ-ভারতসহ এশিয়ার ৪ দেশের খাবারে বিষাক্ত রাসায়নিক: গবেষণা