ভারতের উত্তর প্রদেশের হাটরাসে এক বিয়ের মঞ্চে কনে চার রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন। পাঁচ সেকেন্ডে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই কনে পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাঁকে ধরার চেষ্টা করছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বিয়ের মঞ্চে পাশ থেকে এক যুবক কণের হাতে গুলিভর্তি পিস্তল তুলে দেন। এরপর কনে আকাশের দিকে তাকিয়ে পরপর চারটি গুলি ছোড়েন। এ সময় বর কনের পাশেই বসে ছিলেন। তাঁকে বেশ ক্লান্ত ও জড়সড় দেখাচ্ছিল। একই সময় পেছনে আরেকজনকে হাসতেও দেখা গেছে।
গত শুক্রবার রাতে হাটরাস জংশন এলাকার সালেমপুর গ্রামে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশ ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদানুসারে তদন্ত করছে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে মালাবদলের পরপরই গুলি ছোড়া হয়। মালাবদলের সময় বর-কনে আত্মীয়স্বজনদের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন ও পারিবারিক ছবি তোলেন। এরপরই কালো শার্ট পরা এক যুবক মঞ্চে উঠে কণের পাশে দাঁড়ান। কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর তিনি কোমর থেকে পিস্তলটি বের করে কণের হাতে তুলে দেন। কণেও যেন পিস্তলটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
হাটারাসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (এসপি) অশোক কুমার সিং বলেছেন, ‘ওই ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। কনের পরিবারকে শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যেই যুবক কনের হাতে পিস্তল তুলে দিয়েছিলেন আমরা তাঁকেও শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
উত্তর ভারতে বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন গুলি ছোড়ায় হতাহতের ঘটনা নেহাত কম নয়, ফলে আইন করে বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে ভারতে অস্ত্র আইন সংস্কার করা হয়। নতুন আইনে বলা হয়েছে, জনসমাবেশ, ধর্মীয় স্থান, বিয়ে অথবা যেকোনো অনুষ্ঠানে উৎসব/উল্লাসের জন্য লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়েও গুলি ছোড়া আইনত দণ্ডনীয়। যদি কেউ এ কাজ করে তবে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১ লাখ ভারতীয় রুপি জরিমানা করা হবে।
গুলি ছোড়ার ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও থানায় মামলা দাখিল করা যাবে। ২০১৬ সালে লক্ষ্ণৌ এর উচ্চ আদালত এক রায়ে পুলিশকে এমন ঘটনায় থানায় মামলা দাখিলের নির্দেশ দেয়।