সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের রুমের ছবি শেয়ার করে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পড়তে আসা বিহারের শিক্ষার্থী মনীশ আমান। ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন—মাসে মাত্র ১৫ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ টাকা) খরচ করে তিনি ওয়াশ রুমসহ একটি সিঙ্গেল রুম পেয়েছেন। মনীশের এই পোস্ট এখন ভাইরাল হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় শহরগুলোতে রিয়েল এস্টেট এবং বাসা ভাড়ার দাম সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায় সময়ই নানা ধরনের গল্প শেয়ার করা হয়। এসব পোস্টে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছোট অ্যাপার্টমেন্টের আকাশচুম্বী ভাড়া নিয়ে আপত্তি জানান অনেকে। বিশেষ করে মুম্বাই, দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর মতো মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন খুঁজে পাওয়া রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়। এর মধ্যে এক্স ব্যবহারকারী মনীশ পশ্চিমবঙ্গে তাঁর অবিশ্বাস্যভাবে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন নিয়ে পোস্ট দিয়ে সবাইকে হতবাক করে দিয়েছেন।
মনীশের ওই পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে অনেকেই বিস্ময় এবং সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ মনীশের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মুম্বাইয়ের রাস্তায় ১৫ রুপিতে একটি স্ট্রিট ফুড স্ন্যাক পাওয়া যায়—এমন রসিকতাও ছিল মন্তব্যগুলোতে।
একজন ব্যবহারকারী মনীশকে তাঁর রুমটি ১৫ হাজার রুপিতে সাবলেট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘আসলে আমি যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলাম, তখন একই রকম একটি রুম আমি বিনা মূল্যে পেয়েছিলাম।’
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন আবাসনের ব্যবস্থা পৃথিবীর অনেক দেশেই প্রচলিত আছে। এমনকি বাংলাদেশেও শিক্ষার্থীদের আবাসনে ভর্তুকির দেওয়ার ব্যবস্থা চালু রেখেছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নবীন কিশোর গোস্বামী জানিয়েছেন, তাঁর হলের সিট ভাড়া মাসে মাত্র ২০ টাকা। গত মাসে তিনি একসঙ্গে ১৯ মাসের ভাড়া দিয়েছেন।