শেফিল্ড ইউনাইটেডে হামজা চৌধুরীর এক মাসও পূর্ণ হয়নি। হারের সংজ্ঞা কী, সেটা তো নতুন ক্লাবে এত দিন বুঝতেই পারেননি। অবশেষে গতকাল শেফিল্ডের জার্সিতে প্রথম হারের স্বাদ পেলেন বাংলাদেশি এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
ঘরের মাঠ ব্রামাল লেনে শেফিল্ড ইউনাইটেড গত রাতে চ্যাম্পিয়নশিপে খেলেছে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে। এই ম্যাচে লিডস গোলরক্ষক ইলান মেসলারের আত্মঘাতী গোলে ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় শেফিল্ড। ৭১ মিনিট পর্যন্ত শেফিল্ড ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও ভিন্ন গল্প লেখার অপেক্ষায় ছিল লিডস। ৭২ মিনিটে জুনিয়র ফিরপোর গোলে সমতায় ফেরে লিডস। এরপর ৮৯ থেকে ৯০— ১ মিনিটের ব্যবধানে লিডসের দুই ফুটবলার আও তানাকা ও জোয়েল পিরো গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন। ৩-১ গোলে লিডস জিতলে শেফিল্ডে হামজা পান প্রথম ম্যাচ হারের স্বাদ। শেফিল্ডে এটা বাংলাদেশি ফুটবলারের পঞ্চম ম্যাচ।
লিডসের বিপক্ষে গতকাল শুরুর একাদশে ছিলেন না হামজা। ৪৬ মিনিটে হ্যারি ক্লার্কের বদলে মাঠে নামানো হয় হামজাকে। তাঁর পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ম্যাচে ২৮ বার বল ছুঁয়েছেন। নিখুঁত পাস দিয়েছেন ৭৯ শতাংশ। তবে ড্রিবল, প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর শট কোনোটিই করতে পারেননি বাংলাদেশি এই মিডফিল্ডার।
৩-১ গোলে হারের পর শেফিল্ড ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৭০। সবার ওপরে থাকা লিডস ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৭৫। দুটি দলই ৩৫টি করে ম্যাচ খেলেছে। চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ দুই দল সরাসরি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। তবে শেফিল্ডের জার্সিতে পাঁচ ম্যাচ খেলেও কোনো গোল, অ্যাসিস্ট কিছুই করতে পারেননি হামজা।
চ্যাম্পিয়নশিপের আগে ২০২৪-২৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটির জার্সিতে হামজা খেলতে পেরেছেন কেবল ৪ ম্যাচ। যার মধ্যে তিন বার খেলেছেন বদলি হিসেবে। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিতে বেশির ভাগ সময় বাংলাদেশি এই ফুটবলারকে বেঞ্চে কাটাতে হয়েছে। সব ঠিক থাকলে মার্চে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হচ্ছে হামজার।