হোম > নারী > আইনি পরামর্শ

সরকারি আইনজীবীর জন্য ব্যয় নেই

ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

স্বামীর শারীরিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে কী করা যায়?
উত্তর: শারীরিক নির্যাতনের জন্য চিকিৎসক দেখিয়ে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট নিতে হবে। তারপর স্থানীয় থানায় মামলা করতে হবে। মামলা করলে মীমাংসা করতে কেউ বাধ্য নয়। যেকোনো ঘটনায় উচিত পার্শ্ববর্তী থানায় বিষয়টি জানানো। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার হিসেবে বিষয়টি গণ্য করলে প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন।

পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারসম্পন্ন হাকিম আদালতে পাঠাবেন। হাকিম তা গ্রহণ করলে ওই মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার একটি তারিখ ধার্য করবেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটির পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে উপযুক্ত আদালতে পাঠাবেন। সে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামির অর্থাৎ নির্যাতনকারী স্বামীর শাস্তি হবে। নিজের থানায় অভিযোগ করতে না চাইলে অন্য কোনো থানায় মামলা করতে পারেন। আর কোনো কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগটি গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করলে থানায় কারণ উল্লেখ করে মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি মর্মে আবেদনপত্র সঙ্গে নিয়ে সরাসরি আদালতে মামলা করা যাবে।

থানায় মামলা করলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ ধারায় সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী পাওয়া যাবে। তিনি মামলার সব তত্ত্বাবধান করবেন। ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগ করা আইনজীবী সরকারি আইনজীবীর অধীনে কাজ করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া আইনজীবীকে কোনো খরচ দিতে হবে না। আর কোর্টে মামলা করলে আপনাকে নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ করে তার খরচ বহন করতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

নারীদের তালাক দেওয়ার অধিকার আছে

সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নিশ্চিতের দাবি

নারীর এগিয়ে যেতে যে আইনগুলো দরকার

নির্যাতিত নারী সরাসরি আদালতে মামলার আবেদন করতে পারেন

আপসে সম্পত্তি ভাগ না হলে বণ্টননামার মামলা করা যায়

স্বামীর শারীরিক নির্যাতন প্রতিরোধে নারীর আইনি সহায়তাগুলো কী

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী-সন্তানের সম্পত্তির অধিকার কতটুকু?

কল্যাণ বিবেচনায় মাও সন্তানের অভিভাবকত্ব পেতে পারেন

দেনমোহর ও ভরণপোষণের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করতে পারেন

জন্মনিবন্ধন করতে সিটি করপোরেশনের সাহায্য নিতে পারেন

সেকশন