উত্তরণ
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
আমার এক কাজিনের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। একদিন কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় এক লোক তাঁকে ভয় দেখিয়ে বাসায় নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করেন। তারপর তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। ওই মেয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি এসে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এখন কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর মা মানসম্মানের ভয়ে কিছু করতে বা কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছেন না। এখন কী করা উচিত? নবনী রহমান, কুমিল্লা
উত্তর: এ ক্ষেত্রে অপরাধীর শাস্তি চাইলে আইনের সাহায্য নিতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর আওতায় নারী ও শিশুর যৌন হয়রানির অপরাধে ৫ থেকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। অপরাধী টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেল করেছেন। এ জন্য পুলিশের কাছে যেতে হবে।
নির্যাতনের শিকার নারী নিজে বা তাঁর পক্ষে অন্য কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করতে পারেন।
নির্যাতিত নারী আদালতে সরাসরি আবেদন করতে পারেন। সেখানে আদালত নির্যাতনের ঘটনাটি শুনবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অথবা নির্যাতিত নারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারেন। তিনি নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। অথবা কোনো এনজিওর মাধ্যমে নির্যাতিত নারী তাঁদের সাহায্য গ্রহণ করে অভিযোগ করতে পারেন।
মামলার ফলে সম্মানের ক্ষতি হবে এমন ভাবলে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব নয়। আপনাদের উচিত পার্শ্ববর্তী থানায় গিয়ে বিষয়টি জানানো। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার হিসেবে গণ্য করলে তিনি ঘটনাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারসম্পন্ন হাকিম আদালতে পাঠাবেন। এখতিয়ারাধীন হাকিম তা গ্রহণ করলে ওই মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি তারিখ ধার্য করবেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটির পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে উপযুক্ত আদালতে পাঠাবেন। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামির শাস্তি হবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগ গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করলে থানায় কারণ উল্লেখ করে মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি মর্মে আবেদনপত্র সঙ্গে নিয়ে সরাসরি আদালতে মামলা করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
থানায় মামলা হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ ধারা অনুযায়ী বাদী সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী পাবেন। তিনি মামলার সব তত্ত্বাবধান করবেন। বাদী নিজে আইনজীবী নিয়োগ করতে চাইলে সেই আইনজীবী সরকারি আইনজীবীর অধীনে কাজ করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা আইনজীবীকে কোনো ধরনের খরচ দিতে হবে না।
কোর্টে মামলা করলে বাদীকে নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ করে মামলার খরচ বহন করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
আমার এক কাজিনের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। একদিন কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় এক লোক তাঁকে ভয় দেখিয়ে বাসায় নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করেন। তারপর তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। ওই মেয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি এসে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এখন কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর মা মানসম্মানের ভয়ে কিছু করতে বা কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছেন না। এখন কী করা উচিত? নবনী রহমান, কুমিল্লা
উত্তর: এ ক্ষেত্রে অপরাধীর শাস্তি চাইলে আইনের সাহায্য নিতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর আওতায় নারী ও শিশুর যৌন হয়রানির অপরাধে ৫ থেকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। অপরাধী টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেল করেছেন। এ জন্য পুলিশের কাছে যেতে হবে।
নির্যাতনের শিকার নারী নিজে বা তাঁর পক্ষে অন্য কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করতে পারেন।
নির্যাতিত নারী আদালতে সরাসরি আবেদন করতে পারেন। সেখানে আদালত নির্যাতনের ঘটনাটি শুনবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অথবা নির্যাতিত নারী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারেন। তিনি নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। অথবা কোনো এনজিওর মাধ্যমে নির্যাতিত নারী তাঁদের সাহায্য গ্রহণ করে অভিযোগ করতে পারেন।
মামলার ফলে সম্মানের ক্ষতি হবে এমন ভাবলে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব নয়। আপনাদের উচিত পার্শ্ববর্তী থানায় গিয়ে বিষয়টি জানানো। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার হিসেবে গণ্য করলে তিনি ঘটনাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন। পরে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারসম্পন্ন হাকিম আদালতে পাঠাবেন। এখতিয়ারাধীন হাকিম তা গ্রহণ করলে ওই মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি তারিখ ধার্য করবেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটির পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে উপযুক্ত আদালতে পাঠাবেন। সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামির শাস্তি হবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগ গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করলে থানায় কারণ উল্লেখ করে মামলাটি গ্রহণ করা হয়নি মর্মে আবেদনপত্র সঙ্গে নিয়ে সরাসরি আদালতে মামলা করা যাবে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
থানায় মামলা হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ ধারা অনুযায়ী বাদী সরকারের পক্ষ থেকে আইনজীবী পাবেন। তিনি মামলার সব তত্ত্বাবধান করবেন। বাদী নিজে আইনজীবী নিয়োগ করতে চাইলে সেই আইনজীবী সরকারি আইনজীবীর অধীনে কাজ করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ করা আইনজীবীকে কোনো ধরনের খরচ দিতে হবে না।
কোর্টে মামলা করলে বাদীকে নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ করে মামলার খরচ বহন করতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
চীন, রাশিয়া কিংবা ইউরোপের গণপরিবহনে পাঠকদের প্রায়ই মগ্ন দেখা যায়। জার্মানিতে রাস্তাঘাট ও পার্কে আছে ছোট ছোট লাইব্রেরি। সেখান থেকে যে কেউ বই নিয়ে পড়তে পারেন। জার্মানির এমন দৃশ্যের মনোজ্ঞ বর্ণনা নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন বাংলাদেশি যুবক মানো বিশ্বাস।
১২ ঘণ্টা আগেগ্রামের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে সাজেদার মৎস্য চাষ প্রকল্প। ২০২২ সালে ২০ শতাংশের পুকুর দিয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। পরে বর্গা নিয়ে আরও ৮০ শতাংশ জমির প্রকল্পে যুক্ত করেছেন। সাজেদার সঙ্গে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি—সবার শ্রমে তৈরি হয় এক একর আয়তনের প্রকল্প পুকুর। সেই পুকুরে মাছ...
১২ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে নারীদের এখনো পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী হিসেবে ধরা হয়। তবে নিজের দেশ ও জাতীয় সত্তা এগিয়ে নিয়ে যেতে যুগে যুগে নারীরা নিয়েছিল বিভিন্ন পদক্ষেপ। তাতে শুধু নারীরাই নয়, পুরো দেশ হয়েছে আলোকিত।
১২ ঘণ্টা আগেকর্মজীবী মায়েদের সুবিধার্থে রোডম্যাপ ফর চাইল্ড কেয়ার ইন বাংলাদেশ প্রণয়ন করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই রোডম্যাপ তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে আইএলও। উন্নত শিশুযত্ন ব্যবস্থা, নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং দীর্ঘ মেয়াদে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে থাকা নিশ্চিত করবে এটি। পাশাপাশি চাইল্ড কেয়ার...
১২ ঘণ্টা আগে