ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
বর্তমান সময়ে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যম মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে কিছুসংখ্যক মানুষ এটির অপব্যবহার করে অন্যকে অপমান, লাঞ্ছিত ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ট্রলিং এখন শুধু রসিকতার পর্যায়ে নেই; বরং অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য এটি চরম মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে হয়েছে নানান বিদ্রূপমূলক মন্তব্য। গণমাধ্যমও তার ছবি প্রচার করেছে, যা তার এবং তার পরিবারের জন্য মানসিকভাবে অত্যন্ত কষ্টকর। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী এবং তার পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারে।
আমাদের দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপমানজনক পোস্ট, ট্রলিং, ছবি বিকৃত করা, ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা ইত্যাদি আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এবং শিশু আইন, ২০১৩-এর মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮
ধারা ২৫ : যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে নিয়ে অপমানজনক, মানহানিকর বা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
ধারা ২৯ : যদি কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারও সম্মানহানি করে বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, তবে ৩ থেকে ৫ বছরের জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
ধারা ২৮ : যদি কেউ ধর্মীয়, সামাজিক বা নৈতিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন হয় এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করে, তবে তার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।
ধারা ৩১ : যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে এমন কিছু করা হয়, তবে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
শিশু আইন, ২০১৩
ধারা ৭০ : যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শিশুকে মানসিকভাবে হয়রানি করে, অপমানজনক মন্তব্য কিংবা ট্রল করে, তবে এটি অপরাধ এবং দোষী সাব্যস্ত হলে কঠোর শাস্তি হতে পারে।
দণ্ডবিধি, ১৮৬০, মানহানির মামলা
ধারা ৪৯৯ ও ৫০০: যদি কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয় বা মানহানিকর কিছু প্রকাশ করা
হয়, তবে মানহানির মামলা করা যাবে এবং দোষী ব্যক্তি জরিমানা ও কারাদণ্ডের শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে।
যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-কিশোরকে নিয়ে ট্রলিং, অপমানজনক পোস্ট, ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি প্রকাশ করা হয়, তাহলে তার পরিবার যে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।
প্রমাণ সংগ্রহ
» আপত্তিকর পোস্ট, মন্তব্য, ছবি বা ভিডিওর স্ক্রিনশট সংগ্রহ করতে হবে।
» পোস্টের লিংক সংরক্ষণ করতে হবে।
থানায় অভিযোগ করা
» নিকটস্থ থানায় গিয়ে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ
বা জিডি করতে হবে।
» ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর অধীনে মামলা করা যাবে।
বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ
» বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট (সিআইডি) বা র্যাবের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানানো যায়।
» হ্যালো সিটি অ্যাপ বা বাংলাদেশ পুলিশের অনলাইন পোর্টালে অভিযোগ দাখিল করা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট
» ফেসবুক, ইউটিউব অথবা টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপত্তিকর কনটেন্ট রিপোর্ট
করে ডিলিট করানো সম্ভব।
» বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে অভিযোগ জানালে তারা পোস্ট বা কনটেন্ট অপসারণ করতে পারে।
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
» যদি কোনো গণমাধ্যম অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর ছবি প্রচার করে, তাহলে তথ্য অধিকার আইন এবং
শিশু সুরক্ষা আইনের অধীনে অভিযোগ করা যাবে।
» বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করা যেতে পারে।
অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয়
» সন্তানদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনভাবে চলাফেরা শেখানো।
» স্কুল ও কলেজে সাইবার নিরাপত্তা এবং ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষামূলক কর্মসূচি চালু করা।
» যারা ট্রলিং করে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং আইনের আওতায় আনা।
বর্তমান সময়ে সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যম মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে কিছুসংখ্যক মানুষ এটির অপব্যবহার করে অন্যকে অপমান, লাঞ্ছিত ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ট্রলিং এখন শুধু রসিকতার পর্যায়ে নেই; বরং অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য এটি চরম মানসিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে হয়েছে নানান বিদ্রূপমূলক মন্তব্য। গণমাধ্যমও তার ছবি প্রচার করেছে, যা তার এবং তার পরিবারের জন্য মানসিকভাবে অত্যন্ত কষ্টকর। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী এবং তার পরিবার আইনি সহায়তা নিতে পারে।
আমাদের দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপমানজনক পোস্ট, ট্রলিং, ছবি বিকৃত করা, ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা ইত্যাদি আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এবং শিশু আইন, ২০১৩-এর মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮
ধারা ২৫ : যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে নিয়ে অপমানজনক, মানহানিকর বা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
ধারা ২৯ : যদি কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারও সম্মানহানি করে বা মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, তবে ৩ থেকে ৫ বছরের জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
ধারা ২৮ : যদি কেউ ধর্মীয়, সামাজিক বা নৈতিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ন হয় এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করে, তবে তার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে।
ধারা ৩১ : যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে এমন কিছু করা হয়, তবে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
শিশু আইন, ২০১৩
ধারা ৭০ : যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শিশুকে মানসিকভাবে হয়রানি করে, অপমানজনক মন্তব্য কিংবা ট্রল করে, তবে এটি অপরাধ এবং দোষী সাব্যস্ত হলে কঠোর শাস্তি হতে পারে।
দণ্ডবিধি, ১৮৬০, মানহানির মামলা
ধারা ৪৯৯ ও ৫০০: যদি কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয় বা মানহানিকর কিছু প্রকাশ করা
হয়, তবে মানহানির মামলা করা যাবে এবং দোষী ব্যক্তি জরিমানা ও কারাদণ্ডের শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে।
যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু-কিশোরকে নিয়ে ট্রলিং, অপমানজনক পোস্ট, ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি প্রকাশ করা হয়, তাহলে তার পরিবার যে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।
প্রমাণ সংগ্রহ
» আপত্তিকর পোস্ট, মন্তব্য, ছবি বা ভিডিওর স্ক্রিনশট সংগ্রহ করতে হবে।
» পোস্টের লিংক সংরক্ষণ করতে হবে।
থানায় অভিযোগ করা
» নিকটস্থ থানায় গিয়ে সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ
বা জিডি করতে হবে।
» ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর অধীনে মামলা করা যাবে।
বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ
» বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট (সিআইডি) বা র্যাবের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানানো যায়।
» হ্যালো সিটি অ্যাপ বা বাংলাদেশ পুলিশের অনলাইন পোর্টালে অভিযোগ দাখিল করা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট
» ফেসবুক, ইউটিউব অথবা টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপত্তিকর কনটেন্ট রিপোর্ট
করে ডিলিট করানো সম্ভব।
» বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে অভিযোগ জানালে তারা পোস্ট বা কনটেন্ট অপসারণ করতে পারে।
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
» যদি কোনো গণমাধ্যম অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর ছবি প্রচার করে, তাহলে তথ্য অধিকার আইন এবং
শিশু সুরক্ষা আইনের অধীনে অভিযোগ করা যাবে।
» বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করা যেতে পারে।
অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয়
» সন্তানদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনভাবে চলাফেরা শেখানো।
» স্কুল ও কলেজে সাইবার নিরাপত্তা এবং ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষামূলক কর্মসূচি চালু করা।
» যারা ট্রলিং করে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং আইনের আওতায় আনা।
নারীবাদ একটি সামাজিক, রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন, যা লিঙ্গ সমতার পক্ষে কাজ করে। নারীবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, নারী ও পুরুষের সমান অধিকার ও সুযোগ পাওয়া উচিত এবং তারা নারী নির্যাতন, লিঙ্গবৈষম্য, ও পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। নারী অধিকারকর্মী ও নারীবাদীরা শুধুমাত্র নারীদের অধিকারের জন্য নয়...
১৯ ঘণ্টা আগেসারা দেশে শিশু ও নারীদের প্রতি যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকারের জন্য নিবেদিত ২৬টি এনজিওর (বেসরকারি সংস্থা) সমন্বয়ে গঠিত ‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক’।
২ দিন আগেদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির মাধ্যমে নারীর নিরাপত্তা ও নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানিয়েছে ‘নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি’। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কমিটির চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম ও আহ্বায়ক ডা. ফওজ
৩ দিন আগেনারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামক প্ল্যাটফর্মের পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ বাঁধা দেয় এবং একপর্যায়ে লাঠিপেটা করে...
৩ দিন আগে