হোম > নারী > আইনি পরামর্শ

নিজের অনুভব যৌক্তিক কি না, ভাবুন

ডা. ফারজানা রহমান

প্রশ্ন: আমি কয়েক মাস ধরে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। দুই ভাইবোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। আমার ৭ বছর বয়সে বাবা মারা যান। সরকারি ব্যাংকে চাকরি করে মা একা আমাদের বড় করেছেন। মায়ের সবচেয়ে কাছের ছিলাম আমি। আমার বিয়ে হয়েছে দেড় বছর হলো। পরিবারের সবার সিদ্ধান্তে ৯ মাস আগে মায়ের বিয়ে দিই। ৫৭ বছর বয়সে একজন নারীর বিয়ে দিলে সমাজের কথা শুনতে হবে, সেটা জানতাম। তবে ইদানীং আমি কেমন জানি খিটখিটে হয়ে যাচ্ছি। এ কাজে আমার স্বামীর কোনো আপত্তি ছিল না। আশপাশের মানুষের কথায় বিরক্ত হচ্ছি, রেগে যাচ্ছি। জানি, এতে আমার মা কষ্ট পাচ্ছেন। আমার এই আচরণ ঠিক করব কীভাবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা

উত্তর: আমি তো বলব, আপনারা অনেক উদার ও সাহসী। সামাজিক প্রশ্ন বা প্রচলিত ধারণা আমলে না এনে আপনাদের মাকে বিয়ে দিয়েছেন। আপনি সব সময় মায়ের সঙ্গে থাকতেন। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়টাতেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এখন আপনারা দুজনই বিবাহিত। দৈনন্দিন যাপিত জীবনে পরিবর্তন আসবে—এটিই স্বাভাবিক।

আগে যেভাবে মাকে কাছে পেয়েছিলেন, এখন সেভাবে তাঁকে পাচ্ছেন না। হয়তো আপনার অবচেতন মন অনেকের মতো বিষয়টি মানতে পারছে না। এ জন্য সব মিলিয়ে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন। তবে আপনার স্বস্তির জায়গা হলো, আপনার স্বামী বিষয়টি সুন্দরভাবে মেনে নিয়েছেন।

আপনার এই খিটখিটে অনুভব যৌক্তিক না অযৌক্তিক, সেটা ভাবুন। এর যৌক্তিক কারণ থাকলে সরাসরি মায়ের সঙ্গে আলোচনা করুন। আর কারণ না থাকলে মাকে আরও ভালোবাসুন। অনুযোগ না করে তাঁকে নতুন করে অনুভব করুন। তাঁর সঙ্গে সময় কাটান। উদার ও অনুভূতিপ্রবণ একটি হৃদয় আছে আপনার। আমার বিশ্বাস, এই সমস্যা থেকে আপনি নিজেই বেরিয়ে আসতে পারবেন।

পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

সঠিকভাবে আইনগত পদক্ষেপ নিলে অধিকার সুরক্ষিত হবে

নারীদের তালাক দেওয়ার অধিকার আছে

সম্পত্তিতে নারীর অধিকার নিশ্চিতের দাবি

নারীর এগিয়ে যেতে যে আইনগুলো দরকার

নির্যাতিত নারী সরাসরি আদালতে মামলার আবেদন করতে পারেন

আপসে সম্পত্তি ভাগ না হলে বণ্টননামার মামলা করা যায়

স্বামীর শারীরিক নির্যাতন প্রতিরোধে নারীর আইনি সহায়তাগুলো কী

স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী-সন্তানের সম্পত্তির অধিকার কতটুকু?

সরকারি আইনজীবীর জন্য ব্যয় নেই

কল্যাণ বিবেচনায় মাও সন্তানের অভিভাবকত্ব পেতে পারেন

সেকশন