মারুফ ইসলাম
তুরস্কের জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। চলতি বছরের মে মাসেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের এই আগমুহূর্তে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়েছে তুরস্ক। আর এই ভূমিকম্প প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে বিরাট এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, ঠিকমতো উদ্ধারকাজ পরিচালনা করতে পারছে না এরদোয়ানের প্রশাসন। এরদোয়ান সেই অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই কিছু ত্রুটি রয়েছে। পরিস্থিতি স্পষ্ট। তবে এ ধরনের দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত থাকা সম্ভব নয়।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভূমিকম্পের উদ্ধারকাজে এরদোয়ান সরকারের ব্যর্থতা আগামী নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এমনকি দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানের গদিকেও ঝাঁকুনি দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্প যখন হয়, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমাচ্ছিল। শক্তিশালী এই ভূমিকম্প পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায়ও আঘাত হানে। এখন পর্যন্ত উভয় দেশে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। এর মধ্যে তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে উদ্ধারকারীদের ধারণা।
ভূমিকম্পের পরদিনই তুরস্কের বিরোধী দলসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ অভিযোগ করে বলেছেন, সরকারের উদ্ধার তৎপরতা অত্যন্ত ধীরগতির। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের ‘অপ্রস্তুত অবস্থা’ নগ্নভাবে ধরা পড়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা, বিল্ডিং কোড না মেনে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো ভবন করতে দেওয়া—এসব বিষয় আগামী নির্বাচনে ভোটারদের মনে নিশ্চিতভাবেই প্রভাব ফেলবে। ফলে এরদোয়ানের ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে বিশ্লেষকেরা এটাও স্মরণ করিয়ে দিতে ভুলছেন না, এরদোয়ান একজন দক্ষ প্রচারক। তিনি ২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প, দাবানল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলেছেন। তিনি সংকটের সময় জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ জনতাকে একত্রিত করতে পারেন এবং নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারেন।
সোমবারের ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, বিগত ৪০ বছরের মধ্যে এত ভয়াবহ ভূমিকম্প তুরস্কে হয়নি। ইতিমধ্যে হাজার হাজার উদ্ধারকারীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। কঠিন শীত ও তুষারপাত উপেক্ষা করে তাঁরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
ভূমিকম্পের পর এরদোয়ান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোয় তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মহলের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা ইউরেশিয়া গ্রুপ কনসালটেন্সি বলেছে, ‘এরদোয়ানের সরকার দ্রুত দুর্যোগ মোকাবিলার চেষ্টা করছে। তার পরও এই দুর্যোগ আগামী ১৪ মের জাতীয় নির্বাচনে এরদোয়ানের জয়ের পথকে কঠিন করে তুলতে পারে।’
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দুর্যোগ সামাল দিতে এরদোয়ানকে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হতে পারে। এই বিপুল ব্যয় নিঃসন্দেহে অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের দেশ তুরস্ক এখনই ৫৮ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে রয়েছে। এই ভূমিকম্প মোকাবিলায় ব্যয় অর্থনীতিকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল সোর্স পার্টনার্সের আতিলা ইয়েসিলাদা বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ। শত শত কিলোমিটার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। এই ভয়ংকর ভূমিকম্প অবশ্যই তুরস্কের অর্থনীতি ও রাজনীতিরে ওপর প্রভাব ফেলবে।
আতিলা ইয়েসিলাদা এই ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পকে ‘কালো রাজহাঁস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখন নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না, সেটিই অনিশ্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তুরস্কের রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন ছয় দলের বিরোধী জোট বলেছে, এই ভয়ংকর দুর্যোগের সময় সরকারের ‘বৈষম্য ছাড়াই’ কাজ করা উচিত। কুর্দি ও সিরীয় শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকায়ও সরকারে নজর দেওয়া দরকার। এসব অঞ্চলেও ভূমিকম্প ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।
এদিকে ডানঘেঁষা জাতীয়তাবাদী দল আইওয়াইআই পার্টির মহাসচিব উগুর পয়রাজ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোনো সরকারি উদ্ধারকর্মীর টিকিটি পর্যন্ত দেখিনি।’
উগুর পয়রাজ আরও বলেন, ‘সরকারের সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট। দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো পেশাদারির ছিটেফোঁটা নেই। স্থানীয় মানুষ নিজেরাই ধ্বংসস্তূপের ভেতরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।’
তবে এরদোয়ানের সরকার দাবি করেছে, ১২ হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী এবং ৯ হাজার সৈন্য উদ্ধার অভিযানে কাজ করছেন।
বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনাইন মালিক বলেছেন, বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ও জরুরি অবস্থায় সরকার কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা ভাসমান ভোটারদের ওপর প্রভাব ফেলে। সুতরাং এই দুর্যোগ আগামী নির্বাচনে এরদোয়ানের ভোটারের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়।
তুরস্কে জাতীয় নির্বাচনের এখনো প্রায় তিন মাস বাকি। এর মধ্যে দেশটি নিশ্চয় এই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সামলে উঠবে। তবে ভূমিকম্পের দগদগে ক্ষত নিশ্চয় রয়ে যাবে তুর্কিবাসীর মনে। সেই ক্ষতবিক্ষত মনের প্রতিফলন কি পড়বে ভোটের মাঠে?
এখনই বলা যাচ্ছে না। অপেক্ষা করতে হবে ১৪ মে পর্যন্ত।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি, সিএনএন ও বিবিসি
তুরস্কের জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। চলতি বছরের মে মাসেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের এই আগমুহূর্তে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়েছে তুরস্ক। আর এই ভূমিকম্প প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে বিরাট এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, ঠিকমতো উদ্ধারকাজ পরিচালনা করতে পারছে না এরদোয়ানের প্রশাসন। এরদোয়ান সেই অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই কিছু ত্রুটি রয়েছে। পরিস্থিতি স্পষ্ট। তবে এ ধরনের দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত থাকা সম্ভব নয়।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভূমিকম্পের উদ্ধারকাজে এরদোয়ান সরকারের ব্যর্থতা আগামী নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এমনকি দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানের গদিকেও ঝাঁকুনি দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্প যখন হয়, তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমাচ্ছিল। শক্তিশালী এই ভূমিকম্প পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ায়ও আঘাত হানে। এখন পর্যন্ত উভয় দেশে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। এর মধ্যে তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বহু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে উদ্ধারকারীদের ধারণা।
ভূমিকম্পের পরদিনই তুরস্কের বিরোধী দলসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ অভিযোগ করে বলেছেন, সরকারের উদ্ধার তৎপরতা অত্যন্ত ধীরগতির। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের ‘অপ্রস্তুত অবস্থা’ নগ্নভাবে ধরা পড়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা, বিল্ডিং কোড না মেনে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো ভবন করতে দেওয়া—এসব বিষয় আগামী নির্বাচনে ভোটারদের মনে নিশ্চিতভাবেই প্রভাব ফেলবে। ফলে এরদোয়ানের ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে বিশ্লেষকেরা এটাও স্মরণ করিয়ে দিতে ভুলছেন না, এরদোয়ান একজন দক্ষ প্রচারক। তিনি ২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প, দাবানল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলেছেন। তিনি সংকটের সময় জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ জনতাকে একত্রিত করতে পারেন এবং নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারেন।
সোমবারের ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পরই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, বিগত ৪০ বছরের মধ্যে এত ভয়াবহ ভূমিকম্প তুরস্কে হয়নি। ইতিমধ্যে হাজার হাজার উদ্ধারকারীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। কঠিন শীত ও তুষারপাত উপেক্ষা করে তাঁরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
ভূমিকম্পের পর এরদোয়ান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোয় তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মহলের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা ইউরেশিয়া গ্রুপ কনসালটেন্সি বলেছে, ‘এরদোয়ানের সরকার দ্রুত দুর্যোগ মোকাবিলার চেষ্টা করছে। তার পরও এই দুর্যোগ আগামী ১৪ মের জাতীয় নির্বাচনে এরদোয়ানের জয়ের পথকে কঠিন করে তুলতে পারে।’
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দুর্যোগ সামাল দিতে এরদোয়ানকে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হতে পারে। এই বিপুল ব্যয় নিঃসন্দেহে অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের দেশ তুরস্ক এখনই ৫৮ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে রয়েছে। এই ভূমিকম্প মোকাবিলায় ব্যয় অর্থনীতিকে আরও বিপদের মুখে ঠেলে দেবে।
নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল সোর্স পার্টনার্সের আতিলা ইয়েসিলাদা বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ। শত শত কিলোমিটার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। এই ভয়ংকর ভূমিকম্প অবশ্যই তুরস্কের অর্থনীতি ও রাজনীতিরে ওপর প্রভাব ফেলবে।
আতিলা ইয়েসিলাদা এই ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পকে ‘কালো রাজহাঁস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখন নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না, সেটিই অনিশ্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তুরস্কের রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন ছয় দলের বিরোধী জোট বলেছে, এই ভয়ংকর দুর্যোগের সময় সরকারের ‘বৈষম্য ছাড়াই’ কাজ করা উচিত। কুর্দি ও সিরীয় শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকায়ও সরকারে নজর দেওয়া দরকার। এসব অঞ্চলেও ভূমিকম্প ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।
এদিকে ডানঘেঁষা জাতীয়তাবাদী দল আইওয়াইআই পার্টির মহাসচিব উগুর পয়রাজ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোনো সরকারি উদ্ধারকর্মীর টিকিটি পর্যন্ত দেখিনি।’
উগুর পয়রাজ আরও বলেন, ‘সরকারের সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট। দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো পেশাদারির ছিটেফোঁটা নেই। স্থানীয় মানুষ নিজেরাই ধ্বংসস্তূপের ভেতরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।’
তবে এরদোয়ানের সরকার দাবি করেছে, ১২ হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী এবং ৯ হাজার সৈন্য উদ্ধার অভিযানে কাজ করছেন।
বিনিয়োগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনাইন মালিক বলেছেন, বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ও জরুরি অবস্থায় সরকার কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা ভাসমান ভোটারদের ওপর প্রভাব ফেলে। সুতরাং এই দুর্যোগ আগামী নির্বাচনে এরদোয়ানের ভোটারের ওপর প্রভাব ফেলবে, তা সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়।
তুরস্কে জাতীয় নির্বাচনের এখনো প্রায় তিন মাস বাকি। এর মধ্যে দেশটি নিশ্চয় এই ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সামলে উঠবে। তবে ভূমিকম্পের দগদগে ক্ষত নিশ্চয় রয়ে যাবে তুর্কিবাসীর মনে। সেই ক্ষতবিক্ষত মনের প্রতিফলন কি পড়বে ভোটের মাঠে?
এখনই বলা যাচ্ছে না। অপেক্ষা করতে হবে ১৪ মে পর্যন্ত।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি, সিএনএন ও বিবিসি
ভারতের মূল লক্ষ্য দেশীয় স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করা, যেখানে এরই মধ্যেই এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, কেবল জরুরি হুমকি দেখা দিলেই বিদেশি স্টেলথ জেট কেনার চিন্তা করা হবে। অতএব, স্বল্পমেয়াদে জরুরি ক্রয় হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের লক্ষ্য পরিষ্কার—নিজস্ব প্রযুক্তিতে যুদ্ধবিমান...
১৬ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়, দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের জন্যও বড় একটি ধাক্কা। ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউরোপের নেতারা মার্কিন প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন।
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অনিশ্চয়তার কারণে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর চীনের প্রভাব বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন সমর্থন কমে গেলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হতে পারে এবং চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নেবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
২ দিন আগেরাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা করছে ইউরোপের দেশগুলো। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র যে এটি করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইউরোপ কি আসলেই এটি নিশ্চিত করতে পারবে?
২ দিন আগে