অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে দাবদাহ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। গরম থেকে বাঁচতে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে হাসপাতালগুলোর নিয়মিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট। ট্রেনের শিডিউল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তীব্র দাবদাহে গেলে গেছে উড়োজাহাজের রানওয়ে। বাধ্য হয়ে ফ্লাইটগুলো পুনর্বিন্যাস করছে রয়্যাল এয়ারফোর্স।
এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে ফ্রান্স, গ্রিস, পর্তুগাল ও স্পেনে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ বইছে। একই সময়ে পৃথিবীর এতগুলো দেশে তাপমাত্রা কেন এতটা বেড়ে গেল, সেটি এক প্রশ্ন বটে। প্রশ্নটি পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে খুব।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন তাপপ্রবাহকে নৃশংস পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই অস্বাভাবিক ও অসহনীয় গরম তাপমাত্রা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছার ঘটনা ঘন ঘনই ঘটবে।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন গ্রুপ এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই গত বছর প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া এ তাপপ্রবাহ অসম্ভব ছিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো যত দিন অব্যাহত থাকবে, তত দিন পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার রেকর্ডও বাড়তেই থাকবে। এ বছর গ্রীষ্মে বৈশ্বিক তাপমাত্রা শিল্প যুগের আগের তাপমাত্রার চেয়ে গড়ে ১ দশমিক ১ থেকে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে। তবে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি অনুমানমাত্র, বাস্তবতা আরও কঠিন হবে এবং তাপমাত্রা অস্বাভাবিক উচ্চতায় পৌঁছাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার এক দল গবেষক দেখেছেন, ১৯৭৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তর গোলার্ধের মধ্য ও উচ্চ অক্ষাংশে তাপপ্রবাহ সাত গুণ বেড়েছে।
একই গবেষণায় দেখা গেছে, তাপ বিকিরণের এই ধরনটি (উচ্চ তাপপ্রবাহ) বারবার তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্য ও পূর্ব এশিয়ায় সমসাময়িক সময়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরের ‘জেড স্ট্রিম’ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে আবহাওয়ার যে চিরকালীন ধরন, তা পশ্চিম থেকে পূর্বে সরে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই বিশ্বের অনেক জায়গায় একযোগে তাপপ্রবাহ আঘাত করছে।
যে কারণেই তাপপ্রবাহ বাড়ুক না কেন, এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। তীব্র দাবদাহে মানুষ মরতে থাকবে। বিপুলসংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাবে। ফলে কমে যাবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উৎপাদন।
খাদ্য উৎপাদনের কথাই ভাবুন। তাপপ্রবাহের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ বছর বসন্তে যেমনটা হয়েছে ভারতে। দেশটির উত্তর প্রদেশে ফলন কমে গেছে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। যদি উৎপাদন হ্রাসের এই ঘটনা অন্যান্য প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যঘাটতি দেখা দেবে।
এ ছাড়া পৃথিবীর ‘রুটির ঝুড়ি’ হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলোতেও যদি তাপপ্রবাহজনিত কারণে খাদ্য উৎপাদন কমে যায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যের দাম বেড়ে যাবে। পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ নেমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন থেকে পরিবহন—সবকিছুকে ব্যাহত করবে মাত্রাতিরিক্ত এই দাবদাহ। গত সপ্তাহে ঝেজিয়াং প্রদেশের কারখানাগুলো আশপাশের বাড়িতে এয়ারকন্ডিশনের পর্যাপ্ত সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিদ্যুতের অন্যান্য ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে ইউরোপে খরার কারণে রাইন নদী বন্ধ হওয়ার জোগাড়। নদীটি অন্যতম প্রধান বাণিজ্য পথ। কিন্তু পানি শুকিয়ে গিয়ে নদীটির নাব্যতা এতটাই কমে গেছে যে, এর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ ও নৌকা চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ভয়াবহ তাপপ্রবাহের ধাক্কা বিদ্যুৎ উৎপাদনের গ্রিড পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আগে কম প্রয়োজনীয় এলাকা থেকে বেশি প্রয়োজনীয় এলাকায় বিদ্যুৎ স্থানান্তর করা হতো। কিন্তু এখন তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে সব এলাকায় একযোগে বিদ্যুতের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সাধারণত এক অঞ্চল আরেক অঞ্চলের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু সব জায়গায় একযোগে বিপর্যয় দেখা দিলে কে কার পাশে দাঁড়াবে?
বিশ্বজুড়ে দাবদাহ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। গরম থেকে বাঁচতে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বাতিল করা হয়েছে হাসপাতালগুলোর নিয়মিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট। ট্রেনের শিডিউল কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তীব্র দাবদাহে গেলে গেছে উড়োজাহাজের রানওয়ে। বাধ্য হয়ে ফ্লাইটগুলো পুনর্বিন্যাস করছে রয়্যাল এয়ারফোর্স।
এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে ফ্রান্স, গ্রিস, পর্তুগাল ও স্পেনে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ বইছে। একই সময়ে পৃথিবীর এতগুলো দেশে তাপমাত্রা কেন এতটা বেড়ে গেল, সেটি এক প্রশ্ন বটে। প্রশ্নটি পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে খুব।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন তাপপ্রবাহকে নৃশংস পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই অস্বাভাবিক ও অসহনীয় গরম তাপমাত্রা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। তাপমাত্রা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছার ঘটনা ঘন ঘনই ঘটবে।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন গ্রুপ এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই গত বছর প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া এ তাপপ্রবাহ অসম্ভব ছিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো যত দিন অব্যাহত থাকবে, তত দিন পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার রেকর্ডও বাড়তেই থাকবে। এ বছর গ্রীষ্মে বৈশ্বিক তাপমাত্রা শিল্প যুগের আগের তাপমাত্রার চেয়ে গড়ে ১ দশমিক ১ থেকে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২১০০ সালের মধ্যে এটি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে। তবে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি অনুমানমাত্র, বাস্তবতা আরও কঠিন হবে এবং তাপমাত্রা অস্বাভাবিক উচ্চতায় পৌঁছাবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার এক দল গবেষক দেখেছেন, ১৯৭৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তর গোলার্ধের মধ্য ও উচ্চ অক্ষাংশে তাপপ্রবাহ সাত গুণ বেড়েছে।
একই গবেষণায় দেখা গেছে, তাপ বিকিরণের এই ধরনটি (উচ্চ তাপপ্রবাহ) বারবার তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্য ও পূর্ব এশিয়ায় সমসাময়িক সময়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরের ‘জেড স্ট্রিম’ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে। ফলে আবহাওয়ার যে চিরকালীন ধরন, তা পশ্চিম থেকে পূর্বে সরে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই বিশ্বের অনেক জায়গায় একযোগে তাপপ্রবাহ আঘাত করছে।
যে কারণেই তাপপ্রবাহ বাড়ুক না কেন, এর পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। তীব্র দাবদাহে মানুষ মরতে থাকবে। বিপুলসংখ্যক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে। মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাবে। ফলে কমে যাবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উৎপাদন।
খাদ্য উৎপাদনের কথাই ভাবুন। তাপপ্রবাহের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ বছর বসন্তে যেমনটা হয়েছে ভারতে। দেশটির উত্তর প্রদেশে ফলন কমে গেছে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। যদি উৎপাদন হ্রাসের এই ঘটনা অন্যান্য প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যঘাটতি দেখা দেবে।
এ ছাড়া পৃথিবীর ‘রুটির ঝুড়ি’ হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলোতেও যদি তাপপ্রবাহজনিত কারণে খাদ্য উৎপাদন কমে যায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যের দাম বেড়ে যাবে। পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ নেমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন থেকে পরিবহন—সবকিছুকে ব্যাহত করবে মাত্রাতিরিক্ত এই দাবদাহ। গত সপ্তাহে ঝেজিয়াং প্রদেশের কারখানাগুলো আশপাশের বাড়িতে এয়ারকন্ডিশনের পর্যাপ্ত সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিদ্যুতের অন্যান্য ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে ইউরোপে খরার কারণে রাইন নদী বন্ধ হওয়ার জোগাড়। নদীটি অন্যতম প্রধান বাণিজ্য পথ। কিন্তু পানি শুকিয়ে গিয়ে নদীটির নাব্যতা এতটাই কমে গেছে যে, এর ওপর দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ ও নৌকা চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ভয়াবহ তাপপ্রবাহের ধাক্কা বিদ্যুৎ উৎপাদনের গ্রিড পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আগে কম প্রয়োজনীয় এলাকা থেকে বেশি প্রয়োজনীয় এলাকায় বিদ্যুৎ স্থানান্তর করা হতো। কিন্তু এখন তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে সব এলাকায় একযোগে বিদ্যুতের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সাধারণত এক অঞ্চল আরেক অঞ্চলের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু সব জায়গায় একযোগে বিপর্যয় দেখা দিলে কে কার পাশে দাঁড়াবে?
সম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
১৩ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
২০ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে