অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই পোস্টে তিনি নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মানবতাকে উপেক্ষা করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন। এ ছাড়া চলমান সংঘাত নিরসনে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’-এর প্রসঙ্গটিও টেনে এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সমস্যা নিরসনে এই প্রসঙ্গটি নতুন নয়, এর আগেও বহুবার আলোচনায় এসেছে।
প্রথম আলোচনায় আসে ৯০-এর দশকে
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’-এর বিষয়টি প্রথমবারের মতো আলোচনায় এসেছিল ১৯৯০-এর দশকে। সে সময় নরওয়ের অসলোতে অনুষ্ঠিত এক শান্তি আলোচনায় ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা নিজস্ব অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশা তৈরি হয়েছিল।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় ওই শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টি অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকেই মনে করেন, এ ধরনের সমাধান বর্তমানে অসম্ভব।
দ্বি-রাষ্ট্রের ভিত্তিতে কে কোথায় থাকবে
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সবচেয়ে বড় বাধা হল—ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সীমানা কী হবে তা নির্ধারণ করা। অনেকে বিশ্বাস করেন, ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের আগে যেমনটি ছিল, ফিলিস্তিনের সীমানা তেমন থাকা উচিত।
আলোচিত সেই যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং গাজা দখল করে নিয়েছিল ইসরায়েল। তারপর থেকে এসব অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ ইসরায়েলি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব অঞ্চলে ইসরায়েলি বসতিগুলোকে বেআইনি বিবেচনা করা হলেও তাদের অস্তিত্ব ফিলিস্তিনিদের টিকে থাকাকে ধীরে ধীরে কঠিন করে তুলেছে।
এর আগে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সৃষ্টি এবং আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ফলে অসংখ্য ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ফিলিস্তিনিরা এই বিষয়টিকে ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় নামে চিহ্নিত করে। সে সময় (১৯৪৬ সালের ১ জুন থেকে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে পর্যন্ত) জাতিসংঘ বাস্তুচ্যুত ও জীবিকা হারানো প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়েছিল।
একই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়ে বর্তমানে পশ্চিম তীর, গাজা, পূর্ব জেরুজালেমে এবং জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করা ৫৯ লাখ ফিলিস্তিনি এখন শরণার্থী জীবন-যাপন করছে। বছরের পর বছর ধরে তারা নিজস্ব ভূ-খণ্ড দাবি করে আসছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনিরা যেসব অঞ্চলে বসবাস করছেন সেই অঞ্চলগুলোতে বর্ধিত সংখ্যক লোকের জন্য কোনো ক্রমেই স্থান সংকুলান হবে না। অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদের জায়গা দিতে হলে ইসরায়েলকে তাদের দখল করা বিপুল ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। এই বিষয়টি মানতে রাজি নয়, দখলদার রাষ্ট্রটি।
সমস্যার কেন্দ্রে জেরুজালেম
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় পক্ষই প্রাচীন এই শহরটিকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। এই শহরটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষেরই ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। ইহুদি ও ইসলাম ছাড়াও খ্রিষ্টান ধর্মেরও বেশ কয়েকটি পবিত্র স্থানের আবাসস্থল জেরুজালেম।
এই শহরেই রয়েছে আল-আকসা মসজিদ। পূর্ব জেরুসালেমের পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত আল-আকসা মুসলিমদের কাছে ‘হারাম আল-শরীফ’ নামে পরিচিত হলেও ইহুদিদের কাছে এটি তাদের পবিত্রতম স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’।
আল-আকসা মসজিদকে মক্কা ও মদিনার পরই ইসলামের তৃতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে কাবা শরিফ থেকে প্রথমে আল-আকসায় এসেছিলেন এবং মিরাজে গমনের আগে এখানে সব নবীদের সঙ্গে নামাজের সময় ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন।
আল-আকসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের শুরুতেও সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পূর্ব জেরুজালেমকে ব্যাপকভাবে একটি ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই তত্ত্বগতভাবে একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী এবং ইসরায়েলিদের জন্য শহরের পশ্চিম অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেবে। এমন হলে—ইসরায়েলি ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে না।
কেন সমাধান হচ্ছে না
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলের সরকারি অবস্থান একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করে। তবে দেশটি এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি জনগণকে নিরস্ত্রীকরণের শর্ত দিয়েছে। কারণ তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠী গুলিকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসাবে দেখে। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী আমেরিকা সব সময় দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের কথা বললেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে আনার পর ওই তত্ত্বের অপমৃত্যুই হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র সেদিন জেরুসালেমে তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করছিল সেদিন গাজা পরিণত হয়েছিল এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। সেদিন গাজায় নিহত হয় ৫৮ জন, আর আহত হয় আরও প্রায় তিন হাজার।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই পোস্টে তিনি নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মানবতাকে উপেক্ষা করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন। এ ছাড়া চলমান সংঘাত নিরসনে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’-এর প্রসঙ্গটিও টেনে এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সমস্যা নিরসনে এই প্রসঙ্গটি নতুন নয়, এর আগেও বহুবার আলোচনায় এসেছে।
প্রথম আলোচনায় আসে ৯০-এর দশকে
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’-এর বিষয়টি প্রথমবারের মতো আলোচনায় এসেছিল ১৯৯০-এর দশকে। সে সময় নরওয়ের অসলোতে অনুষ্ঠিত এক শান্তি আলোচনায় ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা নিজস্ব অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে বলে আশা তৈরি হয়েছিল।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় ওই শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টি অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকেই মনে করেন, এ ধরনের সমাধান বর্তমানে অসম্ভব।
দ্বি-রাষ্ট্রের ভিত্তিতে কে কোথায় থাকবে
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সবচেয়ে বড় বাধা হল—ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সীমানা কী হবে তা নির্ধারণ করা। অনেকে বিশ্বাস করেন, ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের আগে যেমনটি ছিল, ফিলিস্তিনের সীমানা তেমন থাকা উচিত।
আলোচিত সেই যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং গাজা দখল করে নিয়েছিল ইসরায়েল। তারপর থেকে এসব অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ ইসরায়েলি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব অঞ্চলে ইসরায়েলি বসতিগুলোকে বেআইনি বিবেচনা করা হলেও তাদের অস্তিত্ব ফিলিস্তিনিদের টিকে থাকাকে ধীরে ধীরে কঠিন করে তুলেছে।
এর আগে ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সৃষ্টি এবং আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ফলে অসংখ্য ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ফিলিস্তিনিরা এই বিষয়টিকে ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় নামে চিহ্নিত করে। সে সময় (১৯৪৬ সালের ১ জুন থেকে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে পর্যন্ত) জাতিসংঘ বাস্তুচ্যুত ও জীবিকা হারানো প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়েছিল।
একই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়ে বর্তমানে পশ্চিম তীর, গাজা, পূর্ব জেরুজালেমে এবং জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাস করা ৫৯ লাখ ফিলিস্তিনি এখন শরণার্থী জীবন-যাপন করছে। বছরের পর বছর ধরে তারা নিজস্ব ভূ-খণ্ড দাবি করে আসছে। বর্তমানে ফিলিস্তিনিরা যেসব অঞ্চলে বসবাস করছেন সেই অঞ্চলগুলোতে বর্ধিত সংখ্যক লোকের জন্য কোনো ক্রমেই স্থান সংকুলান হবে না। অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদের জায়গা দিতে হলে ইসরায়েলকে তাদের দখল করা বিপুল ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে। এই বিষয়টি মানতে রাজি নয়, দখলদার রাষ্ট্রটি।
সমস্যার কেন্দ্রে জেরুজালেম
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় পক্ষই প্রাচীন এই শহরটিকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। এই শহরটিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষেরই ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। ইহুদি ও ইসলাম ছাড়াও খ্রিষ্টান ধর্মেরও বেশ কয়েকটি পবিত্র স্থানের আবাসস্থল জেরুজালেম।
এই শহরেই রয়েছে আল-আকসা মসজিদ। পূর্ব জেরুসালেমের পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত আল-আকসা মুসলিমদের কাছে ‘হারাম আল-শরীফ’ নামে পরিচিত হলেও ইহুদিদের কাছে এটি তাদের পবিত্রতম স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’।
আল-আকসা মসজিদকে মক্কা ও মদিনার পরই ইসলামের তৃতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে কাবা শরিফ থেকে প্রথমে আল-আকসায় এসেছিলেন এবং মিরাজে গমনের আগে এখানে সব নবীদের সঙ্গে নামাজের সময় ইমাম হিসেবে নামাজ আদায় করেন।
আল-আকসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের শুরুতেও সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
পূর্ব জেরুজালেমকে ব্যাপকভাবে একটি ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই তত্ত্বগতভাবে একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী এবং ইসরায়েলিদের জন্য শহরের পশ্চিম অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেবে। এমন হলে—ইসরায়েলি ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে না।
কেন সমাধান হচ্ছে না
স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলের সরকারি অবস্থান একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করে। তবে দেশটি এ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি জনগণকে নিরস্ত্রীকরণের শর্ত দিয়েছে। কারণ তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠী গুলিকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসাবে দেখে। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী আমেরিকা সব সময় দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বের কথা বললেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে সরিয়ে আনার পর ওই তত্ত্বের অপমৃত্যুই হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র সেদিন জেরুসালেমে তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করছিল সেদিন গাজা পরিণত হয়েছিল এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। সেদিন গাজায় নিহত হয় ৫৮ জন, আর আহত হয় আরও প্রায় তিন হাজার।
একটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৪ দিন আগেনবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা সরকারি কার্যকারী বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূরীকরণ, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গ
৮ দিন আগে