কারবালার প্রান্তর

তানজিনা হোসেন
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ০৬
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২: ০০

বালিহাঁসের মতো চকচকে সাদা রোদ। আকাশের দিকে তাকানো যায় না, চোখ ঝলসে যায়। যেন আকাশ থেকে ঝরনার মতো আগুন ঝরছে! কালো হাতের তালু দিয়ে চোখ দুটো ঢেকে রবি মান্দি সেই নির্দয় আকাশের দিকে তাকায়। খরখরে আকাশের এ-মাথা থেকে ও-মাথা অব্দি এক ফোঁটা মেঘের চিহ্ন নাই। ‘ও রক্ষিমেমা, ফসলের জননী, ও সুসিমে, শস্য রক্ষাকারী দেবী, ও চোরাবুদি, তোমরা কোথায়? কী কারণে তোমরা এমন অগ্নিমূর্তি হলে? কী আমাদের অপরাধ? এক ফোঁটা জলও দেবে না বুঝি এবার?’

কত শত বছর আগে এমনই খরতাপে, এমনই রুক্ষ-রুদ্র বালুময় এক মরুতে একটি জীর্ণ কুটিরে অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখে ধড়মড় করে জেগে উঠেছিল হাসান। “জয়নাব! শিগগির আমাকে একটু পানি দাও। এইমাত্র পিতা-মাতা এবং মাতামহকে স্বপ্নে দেখিলাম! মাতামহ আমার হাত ধরিয়া স্বর্গীয় উদ্যানে বেড়াইতে বাহির হইয়াছেন। একটু জল পান করিব, উহ্‌ কী ভীষণ পিপাসা!”

‘একটু জল দিন বাবু! একটুখানি জল’—
সারাটা সকাল গোদাগাড়ীর সেচ অপারেটর শওকতের অপিসে হত্যে দিয়ে বসেছিল দুই ভাই। ফসলের জমি ফেটে চৌচির। এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়নি এ বছর। লু হাওয়া বইছে নিমঘটু গ্রাম থেকে শুরু করে তানোর অব্দি। গোটা বরেন্দ্রভূমি যেন এক কারবালার প্রান্তর। ঘরে ঘরে পানির জন্য হাহাকার। পানির কার্ড দুখানা লুঙ্গির খুঁটে বেঁধে নিয়ে সিরিয়ালের জন্য আজ চার দিন হলো ঘুরছে তো ঘুরছেই দুই ভাই। সিরিয়াল আর মিলছে না। ধানের বীজ বীজতলাতেই যাচ্ছে শুকিয়ে। আজকালের মধ্যে পানি না পেলে এ বছর আর ফসল হওয়ার আশা নাই। তারপর কী হবে, সে কথা ভাবতেও ভয়ে হাত-পা সেঁধিয়ে যাচ্ছে দুই ভাইয়ের। 
‘বাবু, ও বাবু! হামরা চাইর দিন ধরে ঘুরিচ্ছি। আজ হামাদের আসতি বলছিলেন। জল দেবেন বুলে। একটু জল দেন বাবু।’

অভিনাথ মান্দি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ অপারেটর শওকতের পিছে পিছে মুরগির বাচ্চার মতো কেবল হাঁটতে থাকে। শওকত ঘর-বাহির করতে করতে একবার পেছন ফিরে হুংকার ছাড়ে—‘আরে, যা দেখি। বিরক্ত করিস নে। ম্যালা ব্যস্ত আজকে, দেখিচ্ছিস না?’

সত্যি, বাবুর অফিসঘরের বারান্দায় বেজায় ভিড়। কৃষকেরা যার যার কার্ড নিয়ে দিশেহারার মতো এদিক-ওদিক ছুটছে। সেচের পানির জন্য সরকার তাদের কার্ড করে দিয়েছে বছর কয়েক আগে। কিন্তু কার্ড তারা নিজেরা ব্যবহার করতে পারে না। অপারেটরের মাধ্যমে নিতে হয়। তা-ও বিনা পয়সায় নয়। মৌসুম শেষে বিদ্যুতের দাম বাবদ বিঘাপ্রতি পাঁচ থেকে সাত কেজি করে ধান ধরে দিতে হয় বাবুকে। তো তাদের গোদাগাড়ীর অপারেটর হলো এই শওকত মৃধা। বিরাট তার শান-শওকত। মেজাজখানাও শাহি। এই হাসিখুশি, তা একটু পরই রেগেমেগে কাঁই। কখন কী মর্জি হলে কাকে পানি দেবে আর কাকে দেবে না, বোঝা মুশকিল। বাবুর মর্জির অপেক্ষায় দুই ভাই সেই সকাল থেকে বসে আছে তো আছেই। এর মধ্যে কেউ কেউ পানি পেয়ে খুশিতে নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছে জমিতে, আর তাদের মতো হতভাগারা বসেই রয়েছে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে।

আর পারছিল না অভিনাথ। কাল থেকে পেটে নেই খাবার, পেটজুড়ে ছুঁচোর নাচানাচি। গলা শুকিয়ে কাঠ। মাথাজুড়ে রাজ্যির দুশ্চিন্তা। ধানের বীজ কেনা বাবদ মহাজনের কাছ থেকে নেওয়া ধারদেনার কথা ভেবে আত্মা হিম হয়ে আসছে তার। এ বছর ফসল না হলে ধার শোধ করবার জন্য ঘরের বউ-বিটি বিক্রি করতে হবে মনে হয়! বিক্রি করার মতো ঘরে যে আর কিছু অবশিষ্ট নাই।

অভিনাথ অকস্মাৎ নাটকীয়ভাবে বাবুর পা দুটি জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে উঠল—‘বাবু, দোহাই লাগে, এক ফোঁটা জল দ্যান! না হলি গুষ্টিশুদ্ধ বিষ খেয়ে মরতে হবে হামাদের!’

শওকত মৃধা রেগে গিয়ে পা ঝেড়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, ‘মর মর। ইঁদুরের গুষ্টি সব। আর জ্বালাইস না।’ 
“হাসনেবানু স্বাভাবিক অবস্থায় থাকিলে সোরাহীর উপরিভাগের বস্ত্রখণ্ড নিশ্চয় খেয়াল করিতেন। কিন্তু হাসানের স্বপ্নবিবরণ শুনিয়া তিনি এমনই বিহ্বল হইলেন যে, সোরাহীর মুখ বন্ধ না থাকা সত্ত্বেও নিঃসন্দেহে জল ঢালিয়া পেয়ালা পূর্ণ করিয়া স্বামীর হাতে তুলিয়া দিলেন। এমাম হাসানের এই শেষ জলপান। প্রাণ ভরিয়া জলপান করিলেন তিনি। তারপর হস্তপদাদি প্রক্ষালন করিয়া জীবনের শেষ উপাসনায় প্রবৃত্ত হইলেন।”

শরতের শেষে যখন পাহাড়ে মেগং ফুল ফোটে, দিন থাকে বৃষ্টিহীন কিন্তু মৃদু রৌদ্রকরোজ্জ্বল, রাতের আকাশে সহস্র তারা নকশিকাঁথার ফুলের মতো একে একে জেগে ওঠে, তখন বরেন্দ্রজুড়ে সোনালি রঙের ধান মৃদুমন্দ হাওয়ায় দোল খায়। মেগং বিবাল বাল ও, জালং জারামাবঙ ও। সেই কোন প্রাচীনকালে মিসি সালজং দেবতা ধূপ পোড়াতে নির্দেশ করেছিলেন আসি সেগ্রী দতদী পাগড়ী নামের এক বিধবা নারীকে। তার কথামতো ধূপ পোড়ানো হলে সন্তুষ্ট হয়ে দেবতা বলেছিলেন—সত্যি তুমি আমাকে সন্তুষ্ট করেছ। আমি প্রতিবছর এই সময়ে আবির্ভূত হব আর তোমরা সেই সময় আমার নামে প্রথম ফসল উৎসর্গ করবে, আমার নামে ধূপ জ্বালিয়ে পানীয় নৈবেদ্য দেবে। এই বলে মিসি সালজং মানবজাতিকে দান করেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আর শ্রেষ্ঠ উপহার। আনি আগিলপ চিনি সালিপ্প নামের এক ভালো আচিককে উর্বরতার দেবতা, শস্যের দেবতা মিসি সালজং সেদিন দিয়েছিলেন অপূর্ব সেই বীজ। সেই বীজ ভূমিতে রোপণ করে যে শস্য হবে তা থেকে ফুটে বের হবে জুঁই ফুলের মতো সাদা ভাত, বরেন্দ্রর সোঁদা মাটির মতো পাগল করা সুগন্ধ সেই ভাতে। সেই থেকে সমস্ত বরেন্দ্রভূমিতে প্রথম ফসল ঘরে তোলার পরই শুরু হয় ওয়ানগালা।

ওয়ানগালার সময় তাদের গাঁয়ে মিসি সালজংয়ের প্রতি প্রতিশ্রুত নৈবেদ্য দেওয়া হয় প্রতিবছর। গুরে রদিলায় নকমা আর খামাল কৃত্রিম ঘোড়ায় চড়ে নাচে। বেজে ওঠে দামা, খ্রাম, রাং। দকমান্দা আর দকসারি পরে মেয়েরা সম্মিলিত পায়ে নাচের মুদ্রা মেলায়। নকমার ঘরের মাঝখানে পবিত্র দেবদেবীর উদ্দেশ্যে রাখা নতুন ফসল, কৃষি সরঞ্জাম ও বাদ্যযন্ত্রের ওপর রুগালা মদ ঢেলে মহান দেবতাদের ভাতের জন্য কৃতজ্ঞতা জানায় তারা। কিন্তু এই কাঠফাটা গ্রীষ্মে মিসি সালজংয়ের উপহার পবিত্র সেই বীজ যে পানির অভাবে এবার শুকিয়ে কিশমিশ! এ বছর বৃষ্টির দেখা মেলেনি, নেই সেচের পানিও। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ অপারেটর শওকত মৃধার মন গলাতে ব্যর্থ অভিনাথ মান্দি শেষ পর্যন্ত অপিসঘরের বারান্দাতেই শুয়ে পড়ে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। বড় ভাই রবি মান্দি ছোট ভাইয়ের ঘাড়ে হাত রাখলে অভিনাথ ফুঁপিয়ে বলে ওঠে, ‘বিষ খাওয়া ছাড়া এখন হামরা আর কী করতু পারি ভাই?

‘ভাইকে দেখিয়া যন্ত্রণায় অধীর হাসান কাতরস্বরে বলিয়া উঠিলেন, ভাই! আর নিস্তার নাই। আর তো সহ্য হয় না। আমি এইমাত্র মাতামহ, মাতা এবং পিতাকে স্বপ্নে দেখিয়াছি। নিদ্রাভঙ্গের সহিত স্বপ্নও ভাঙিয়া গেল। অত্যন্ত জল পিপাসা হইয়াছিল, সোরাহীর জল যেমন পান করিয়াছি, মুহূর্ত না যাইতেই আমাকে এমন অস্থির করিয়া তুলিয়াছে। এত বেদনা, এত কষ্ট আমি কখনোই ভোগ করি নাই।

বড় ভাই হোসেন কাতরস্বরে বলিতে লাগিলেন, আমি সকলই বুঝিয়াছি। আমি আর কিছু চাহি না। সকলের নিকট আমার এই ভিক্ষা যে ওই সোরাহীর জল পান করিতে আমায় অনুমতি করুন। দেখি জলে কী আছে!

এই বলিয়া হোসেন সেই সোরাহী ধরিয়া জল পান করিতে উদ্যত হইলেন। হাসান পীড়িত অবস্থাতেই শশব্যস্তে “ওকি করো? হোসেন ও কি করো?” এই কথা বলিতে বলিতে শয্যা হইতে উঠিলেন। অনুজের হস্ত হইতে সোরাহী কাড়িয়া লইয়া মাটিতে ফেলিয়া দিলেন। সোরাহী শত খণ্ডে চূর্ণ হইয়া গেল।’

দেব-দেবীর আশীর্বাদে পুষ্ট এই জমি, যে জমি এককালে তাদের ছিল, কিন্তু এখন আর তাদের নাই, যে জমিতে একদা তারা সোনার ধান ফলিয়ে গোলা ভরে শস্য মজুত করত সারা বছরের জন্য, সেই ফসলে তাদের সন্তান-সন্ততির উদরপূর্তি হতো তৃপ্তিতে, যে জমি তাদের পূর্বপুরুষদের যুগের পর যুগ, শতকের পর শতক উজাড় করে দিয়েছে নিজের সমস্ত রসসুধা—সেই জমি আজ সত্যি অভিশপ্ত। পানির অভাবে ফেটে চৌচির, পায়ের নিচে কঠিন শক্ত মাটি, রৌদ্রের গলন্ত তাপ উঠে আসে তাদের খালি পায়ের শুষ্ক তালুতে। সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়লেও ঝলসানো রোদ ক্রমাগত ঝরে চলেছে। আকাশে মেঘের চিহ্নমাত্র নাই। মুসলমানেরা এমন দিনে ‘আল্লা মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে তুই’ বলে গান করত একসময়। দুই হাত তুলে দিত আকাশে অদৃশ্য কোনো শক্তির কাছে। মাজারে মানত করত অনেকে। আর তারা আচিকরা পুজো করত চোরাবুদি আর সালজং দেবতার। শস্য রক্ষাকারী দেবতারা আকাশে পানির কলস উপুড় করে দেবেন এই আশায় নৈবেদ্য দিত। এখন দূর আকাশে অদৃশ্য মহাশক্তিমান আর নাই, যার কাছে হাত তোলা যায়, আছে বরেন্দ্রভূমির সেচ অপারেটর, যার হাতের ডিজিটাল কার্ডের ঘষায় এই অভিশপ্ত জমিন আবার হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠতে পারে। এই রুক্ষ মাটির শুকনো স্তনে আবার বইতে পারে দুগ্ধনহর। কিন্তু সবচেয়ে বড় দেবতা তাতারা রাবুগাকেও খুশি করা বরং সহজ, সেচ অপারেটর শওকতের চেয়ে।

বাড়ি ফেরার পথে ছেঁড়া জামার খুঁটে বারবার চোখ মোছে ছোট ভাই অভিনাথ। আর বড় ভাই রবি মান্দি গোটা পথ পাথর হয়ে থাকে। গেল দুই বছর মহাজনের দেনা পুরোপুরি শোধ করা হয়নি। চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বাপ-দাদার জমি তো গেছে সেই কবেই, এবার ভিটেমাটিটাও যাবে। নয়তো বউ-বেটিকে শহরে পাঠাতে হবে পার্লারে কাজ করতে। হতভাগা দুই ভাই যে কুষিকাজ ছাড়া জীবনে আর কিছুই শেখেনি। ‘এই অভিশপ্ত জীবন রেখে কী লাভ? হামাদের বিষ খাওয়া ছাড়া আর উপায় নাই বাবু’—এ কথা শুনে চেঁচিয়ে উঠেছিল সেচ অপারেটর, ‘বিষ খাবি তো খা। এখানে অযথা বিতং করিস না কচ্ছি।’

“ভাই! মাতামহ সশরীরে ঈশ্বরের আদেশে একবার ঈশ্বরের স্থানে নীত হইয়াছিলেন। সেখানে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে অতি রমণীয় দুটি ঘর সুসজ্জিত দেখিলেন। একটি সবুজবর্ণ, অন্যটি লোহিত বর্ণ। ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের কারণ জিজ্ঞাসা করিতে জিবরাইল বলিলেন, আয় মোহাম্মদ! এই দুইটি ঘর ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের হইবার কারণ কী উহা সবিশেষ বৃত্তান্ত বলিতেছি, শ্রবণ করুন। সবুজ বর্ণের গৃহ আপনার জ্যেষ্ঠ দৌহিত্র হাসানের জন্য; লোহিতবর্ণ গৃহ কনিষ্ঠ দৌহিত্র হোসেনের জন্য প্রস্তুত হইয়াছে। একদল পিশাচ শত্রুতা করিয়া হাসানকে বিষপান করাইবে এবং মৃত্যুর সময় হাসানের মুখ সবুজ বর্ণ হইবে। ঐ শত্রুগণ অস্ত্র দ্বারা আপনার কনিষ্ঠ দৌহিত্র হোসেনের মস্তক ছেদন করিবে। ওই রক্তমাখা মুখের চিহ্নই লোহিতবর্ণের কারণ।’

তারপর অভিনাথ মান্দির নীলচে সবুজ রঙের মুখের কোণ দিয়ে চুনের মতো সাদা কষ গড়িয়ে পড়তে থাকে তার ভাঙা কুটিরের মাটির শয্যায়। তার বুকখানা হাঁপরের মতো ওঠানামা করে। সে ডাঙায় ওঠা কই মাছের মতো মুখ হাঁ করে শ্বাস নেয়। এই নিঠুর খর রসহীন বরেন্দ্রভূমির কোথাও এতটুকু পানি নাই তার জন্য, যেন এ এক কারবালার প্রান্তর। কিন্তু কী আর করা, এটাই ঈশ্বরের লিখন। বড় ভাই রবি মান্দিরও মুখখানা গনগনে লাল, কিন্তু তার মাথা পরিষ্কার। বিষক্রিয়া শুরু হতে দেরি হবার কারণে হাসপাতাল অব্দি পৌঁছানোর সৌভাগ্য হবে তার। শুষ্ক দুখানি ঠোঁটে এমনকি কয়েক ফোঁটা সুমধুর পানিও জুটবে। মৃত্যুর আগে ছোট ভাই অভিনাথের সবুজাভ মৃতদেহের দিকে চেয়ে সে মুচকি হেসে বলে উঠবে, ‘ভাই, স্বর্গে তোর জন্য সবুজ ঘর হবে, আর হামার জন্য লাল ঘর। হামাদের সেই স্বর্গীয় ঘরের উঠানে আর জমিতে কোথাও জলের অভাব থাকবে না, স্বর্গের চারদিকেই যে ঝরনা আর ফোয়ারা! স্বর্গে জলের ধারা পাবার জন্য ডিজিটাল কার্ড লাগে না রে পাগল! আর কষ্ট পাস না ভাই, বিদায়!’
হোসেন যন্ত্রণায় কাতর হয়ে শেষ বাক্যটি উচ্চারণ করিলেন—‘ঈশ্বরের কার্য অখণ্ডনীয়। ভাই, বিদায়!’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত