Ajker Patrika

চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক ,চট্টগ্রাম
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউসুফ দীঘির পাড়ে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলা-সংঘর্ষের ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউসুফ দীঘির পাড়ে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলা-সংঘর্ষের ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজানে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পাঁচটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার নোয়াজিষপুরের ইউসুফ খাঁর দিঘি এবং বিকেল ৪টায় একই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মদন চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী গুলিবিদ্ধ যুবদল কর্মী মো. কাইয়ুম এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী যুবদল নেতা গাজী মোরশেদ গুরুতর আহত হয়েছেন।

কাইয়ুম কপালে গুলিবিদ্ধ হন এবং কিরিচের কোপে গাজী মোরশেদের পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় নেতা–কর্মীরা জানান, নোয়াজিষপুর মদন চৌধুরী জামে মসজিদ মাঠে গোলাম আকবর খন্দকারের আনুসারী নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনে যৌথ ব্যবস্থাপনায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন চলছিল। এতে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা ২০-২৫টি মোটরসাইকেল যোগে এসে হামলা চালায়। এতে ইফতার মাহফিল পণ্ড হয়ে যায়। এই সময় মো. কাইয়ুম নামের এক যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়। পাশাপাশি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হ‌ুমায়ূন (২৮), যুবদলের সদস্য মো. রিফাত (২৭), যুবদলের সদস্যসচিব মো. সোহেল, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান সিকদার (৪৪), বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে আহত হন।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গিয়াস উদ্দিন কাদেরের অনুসারীরা চিকদাইর ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার পথে ইউসুফ খাঁর দিঘিতে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা পথ আটকে গুলিবর্ষণ ও কিরিচ দিয়ে হামলা চালায়। অনেকে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে যুবদল নেতা মোরশেদ, মো. সেকান্দর, মো. বাদশা ও মো. ফোরকান আহত হন।

নোয়াজিষপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফোরকান সিকদার বলেন, আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। সন্ধ্যায় তাদের ওপর কারা হামলা করেছে তা জানি না।

তবে উত্তর জেলা যুবদল নেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, ইফতার মাহফিল থেকে ফেরার পথে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা আমাদের মোটরসাইকেল বহরে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।

রাউজান থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক নাছির উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিয়ে ও সন্তান নেওয়ার উপযুক্ত বয়স কত বলে মনে করে বাংলাদেশিরা

ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র

নেত্রকোনায় সেহরির সময় বাড়িতে হামলা, নারী নিহত

আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত, পরে বিএনপি ও ছাত্রদলের দুই পক্ষের হাতাহাতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত