Ajker Patrika

স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ, ঘটনা তদন্তে কমিটি

বরগুনা প্রতিনিধি
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ, ঘটনা তদন্তে কমিটি

বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্করের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

গতকাল বৃহস্পতিবার বরগুনার সিভিল সার্জনের কাযার্লয় থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো মোহাম্মদ ফজলুল হকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনায়েম সাদকে ওই তদন্ত কমিটির প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (বরগুনা সদর) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (বামনা) ডা. মো. মনিরুজ্জামান। 

বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মো মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত (ফার্মাসিস্ট) কৃষ্ণ কুমার পালকে টাকা গণনা করতে দেখা গেছে। তার (কৃষ্ণ) দাবি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে ঘুষের টাকা গণনা করেন তিনি। কৃষ্ণ কুমার পাল ঘুষের বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করলেও অস্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। 

ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পথ্য ও স্টেশনারি সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার (প্রতিনিধি) মো. রেজাউল ইসলাম মামুন খান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (ডা. ফাহমিদা লস্কর) কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে বিল উত্তোলন করে পার্সেন্টিজ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা শোনা যায়। ভিডিওর ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজাউল ইসলাম মামুন বলেন, ‘লেনদেনের বিষয়টি সত্য। আমি বাধ্য হয়ে ওই টাকা দিয়েছি।’ 

বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত (ফার্মাসিস্ট) কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, ‘যেদিন ঘটনাটি ঘটে ওই দিন আমি অফিসে কাজ করছিলাম, তখন স্যার (ফাহমিদা লস্কর) আমাকে তাঁর অফিস কক্ষে ডাকেন এবং মামুন সাহেবের কাছ থেকে টাকাগুলো গুনে রাখতে বলেন এবং আমি গুনে রাখি। মামুন সাহেব যাওয়ার পর, স্যার পরে ওই টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছেন। যেখানে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিলে মোট ৫০ হাজার টাকা ছিল। ওই টাকা কোনো জরিমানা কিংবা হাসপাতালের কোনো ফান্ডের কি না জানতে চাইলে তিনি (কৃষ্ণ) বলেন, ওই টাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে মামুন সাহেব দিয়েছেন, যা আমি তাঁরই (ফাহমিদা লস্কর) নির্দেশে গ্রহণ করেছি। ওই টাকা অন্য কোনো ফান্ডের না।’ 

ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্কর বলেন, ‘ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। তাঁরা মানসম্মত খাবার পরিবেশন করেন না। আমি এ নিয়ে তাঁদের ডেকে মিটিং করে হুঁশিয়ারি দিয়েছি। আর টাকা নিয়ে থাকলেও সেটি জরিমানা হতে পারে। জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কি না এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা বাবদ কোনো রিসিপ্ট দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আদৌ মামুন সাহেব টাকা দিয়েছে কি না আমি তো সেটাই জানি না। তা ছাড়া আমাকে তো ভিডিওতে টাকা গুনতে দেখা যাচ্ছে না। কৃষ্ণ টাকা গুনছে নাকি! সেটা তো আমাদের অফিসের টাকাও হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত