মিজানুর রহমান রনি, উজিরপুর (বরিশাল)
তামান্না জাহান একজন বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী তরুণী। তবে এই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি হয়ে উঠেছেন চিত্রশিল্পী। নিপুণ হাতের তুলিতে আঁকছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি। তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অনেককে।
তামান্না প্রমাণ করেছেন প্রতিবন্ধকতা কখনোই প্রতিভাকে আটকে রাখতে পারে না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নন। সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেলে তাঁরাও বদলে দিতে পারেন সমাজ, সংসার ও পরিবার।
সমাজের মানুষের শুভ দৃষ্টি ও রাষ্ট্রের সামান্য সহযোগিতা পেলে আর দশজনের মতো তাঁরাও দেশ ও শিক্ষিত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন।
তামান্নার বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নে শংকরপুর গ্রামে। জন্ম ১৯৯৬ সালের ৩ জানুয়ারি, একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে।
প্রতিবন্ধী হলেও তামান্না রংতুলি হাতে অনন্য। নিরলস চেষ্টায় হয়ে উঠেছেন চিত্রশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই নানা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন। প্রশংসা কুড়িয়েছে তাঁর আঁকা ছবিগুলো। তিনি সমাজের অবহেলিতে মানুষের প্রতিচ্ছবি, গ্রামের প্রাকৃতি সৌন্দর্য ও বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, তামান্না ছোটবেলা থেকেই কাগজ, কলম পেলে আঁকতে বসতেন। যা পারতেন, তাই আঁকতেন। এখন তিনি অন্যদেরও ছবি আঁকা শেখান। তাঁর কাছে ছবি আঁকা শিখতে অনেকে আসেন। তবে এর বিনিময়ে কোনো টাকা-পয়সা নেন না।
প্রবাসী ওবায়দুল কবির ও আফরোজা বেগমের একমাত্র কন্যা তামান্না। মাত্র দুই বছর বয়সে হামে আক্রান্ত হয়ে ‘ভুল চিকিৎসায়’ বাক্ ও শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তামান্না ছোটবেলা থেকেই তিনি শান্ত স্বভাবের। অন্য শিশুদের সঙ্গে সঙ্গ দিতেন না, চলতেন আপন মনে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। এরপর আর এগোয়নি। তাঁর মুখ থেকে মা-বাবা ডাক শোনার জন্য অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন অভিভাবকেরা। ভিটে-মাটি বিক্রি করেছেন। কিন্তু তামান্না কথা বলতে পারেননি।
তাঁর বাবা কর্মক্ষমতা হারিয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। আর মা আফরোজা রুপালি ব্যাংক থেকে ঋণ করে গুঠিয়া বন্দরে কাঁচামাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তামান্না থাকেন তাঁর ছবির জগতে। উপকরণবিহীন মনোমুগ্ধকর ছবি এঁকে প্রদর্শনী করেছেন। প্রশংসায় কুড়িয়েছেন শিল্প বোদ্ধাদের। এ ছাড়া সেলাই মেশিন দিয়ে তৈরি করেন নানা রকম পোশাক। এলাকার ছোট ছেলে-মেয়েদের ছবি আঁকা শেখান। ছোট ছোট শিশু কাছে পেলেই তাদের নিয়ে ছবি আঁকতে বসেন। চিত্রাঙ্কনের প্রতি তাঁর ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল বলেন, তামান্না প্রতিবন্ধী হয়েও অদম্য চেষ্টায় সমাজে একজন চিত্রশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কারও ওপর নির্ভরশীল না হয়ে হাতের কাজ শিখে স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে সবার কাজ করে দেন। চেষ্টা করছেন আত্মনির্ভরশীল হওয়ার। কেউ যদি খুশি হয়ে কিছু দেন, তাহলে সেটা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেন না। তামান্না সমাজের আলোকবর্তিকা। তাঁর কাছ থেকে অনেক শেখার আছে।
সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে তামান্না নিজের মেধাকে আরও বিকশিত করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
তামান্নার মা আফরোজা বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়ে তামান্না বরিশালের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে, সার্কিট হাউসে, বিএম কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম হয়েছে। একসময় আমাদের টাকা-পয়সার কমতি ছিল না।
মেয়ে তামান্না ও স্বামী ওবায়দুলের চিকিৎসার খরচ বহন করতে সবকিছু শেষ হয়ে আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। একদিন কাজ না করলে কপালে ভাত জোটে না। এই করোনা মহামারিতে কেউ পাশে দাঁড়ায়নি আমাদের। মেয়েকে নিয়ে বড় চিন্তায় আছি কী হবে!’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণতি বিশ্বাস বলেন, ‘তামান্না খুব সুন্দর ছবি আঁকেন, এটা ঠিক কিন্তু করোনার কারণে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁকে আমরা তেমনভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। তবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা যতটুকু আছে, তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
তামান্না জাহান একজন বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী তরুণী। তবে এই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি হয়ে উঠেছেন চিত্রশিল্পী। নিপুণ হাতের তুলিতে আঁকছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি। তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অনেককে।
তামান্না প্রমাণ করেছেন প্রতিবন্ধকতা কখনোই প্রতিভাকে আটকে রাখতে পারে না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নন। সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেলে তাঁরাও বদলে দিতে পারেন সমাজ, সংসার ও পরিবার।
সমাজের মানুষের শুভ দৃষ্টি ও রাষ্ট্রের সামান্য সহযোগিতা পেলে আর দশজনের মতো তাঁরাও দেশ ও শিক্ষিত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন।
তামান্নার বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নে শংকরপুর গ্রামে। জন্ম ১৯৯৬ সালের ৩ জানুয়ারি, একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে।
প্রতিবন্ধী হলেও তামান্না রংতুলি হাতে অনন্য। নিরলস চেষ্টায় হয়ে উঠেছেন চিত্রশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই নানা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন। প্রশংসা কুড়িয়েছে তাঁর আঁকা ছবিগুলো। তিনি সমাজের অবহেলিতে মানুষের প্রতিচ্ছবি, গ্রামের প্রাকৃতি সৌন্দর্য ও বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, তামান্না ছোটবেলা থেকেই কাগজ, কলম পেলে আঁকতে বসতেন। যা পারতেন, তাই আঁকতেন। এখন তিনি অন্যদেরও ছবি আঁকা শেখান। তাঁর কাছে ছবি আঁকা শিখতে অনেকে আসেন। তবে এর বিনিময়ে কোনো টাকা-পয়সা নেন না।
প্রবাসী ওবায়দুল কবির ও আফরোজা বেগমের একমাত্র কন্যা তামান্না। মাত্র দুই বছর বয়সে হামে আক্রান্ত হয়ে ‘ভুল চিকিৎসায়’ বাক্ ও শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তামান্না ছোটবেলা থেকেই তিনি শান্ত স্বভাবের। অন্য শিশুদের সঙ্গে সঙ্গ দিতেন না, চলতেন আপন মনে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা। এরপর আর এগোয়নি। তাঁর মুখ থেকে মা-বাবা ডাক শোনার জন্য অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন অভিভাবকেরা। ভিটে-মাটি বিক্রি করেছেন। কিন্তু তামান্না কথা বলতে পারেননি।
তাঁর বাবা কর্মক্ষমতা হারিয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। আর মা আফরোজা রুপালি ব্যাংক থেকে ঋণ করে গুঠিয়া বন্দরে কাঁচামাল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তামান্না থাকেন তাঁর ছবির জগতে। উপকরণবিহীন মনোমুগ্ধকর ছবি এঁকে প্রদর্শনী করেছেন। প্রশংসায় কুড়িয়েছেন শিল্প বোদ্ধাদের। এ ছাড়া সেলাই মেশিন দিয়ে তৈরি করেন নানা রকম পোশাক। এলাকার ছোট ছেলে-মেয়েদের ছবি আঁকা শেখান। ছোট ছোট শিশু কাছে পেলেই তাদের নিয়ে ছবি আঁকতে বসেন। চিত্রাঙ্কনের প্রতি তাঁর ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল বলেন, তামান্না প্রতিবন্ধী হয়েও অদম্য চেষ্টায় সমাজে একজন চিত্রশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কারও ওপর নির্ভরশীল না হয়ে হাতের কাজ শিখে স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে সবার কাজ করে দেন। চেষ্টা করছেন আত্মনির্ভরশীল হওয়ার। কেউ যদি খুশি হয়ে কিছু দেন, তাহলে সেটা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া কারও কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেন না। তামান্না সমাজের আলোকবর্তিকা। তাঁর কাছ থেকে অনেক শেখার আছে।
সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে তামান্না নিজের মেধাকে আরও বিকশিত করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
তামান্নার মা আফরোজা বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়ে তামান্না বরিশালের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে, সার্কিট হাউসে, বিএম কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম হয়েছে। একসময় আমাদের টাকা-পয়সার কমতি ছিল না।
মেয়ে তামান্না ও স্বামী ওবায়দুলের চিকিৎসার খরচ বহন করতে সবকিছু শেষ হয়ে আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। একদিন কাজ না করলে কপালে ভাত জোটে না। এই করোনা মহামারিতে কেউ পাশে দাঁড়ায়নি আমাদের। মেয়েকে নিয়ে বড় চিন্তায় আছি কী হবে!’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণতি বিশ্বাস বলেন, ‘তামান্না খুব সুন্দর ছবি আঁকেন, এটা ঠিক কিন্তু করোনার কারণে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁকে আমরা তেমনভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। তবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা যতটুকু আছে, তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে