প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার টর্চার সেলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন। সেই নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তাঁর কান্নায় ভেঙে পড়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও কাদের মির্জার বিচার দাবিতে আজ শনিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। ২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে জাপা নেতা বলেন, ‘আমাকে কালামিয়া ম্যানশনের সামনে থেকে মির্জা মিয়া অনুসারী ৩০-৪০ জন ছিল। মির্জা মিয়া কয়, হালার-হুতরে ধর। তখন পুলিশও সাথে ছিল। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে উঠিয়ে নিয়ে যায় পৌরসভার তৃতীয় তলায়। সেখানে ব্যানার ৫ টিতে লেখা ছিল, “বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ”। পাঁচ ঘন্টায় ভাই ও ভাইরে...।’ মুখমণ্ডল, দুই পা দেখিয়ে বলেন, ‘আমার এগাইন.... নাই।’ এ সব কথা বলে তিনি বিলাপ করে কাঁদতে থাকেন।
তিনি আহাজারি করে বলেন, ‘ও আল্লাহ ও আল্লাহ। সেখানে কী জন্য নিয়ে গেছে আমি জানি না। ওইখানে নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও করেছে। আমার বাবা রাজনীতি করেছিলেন, আমিও করিয়ের। কোনো দিন কারো সাথে ভেজাল করিনি। আমার থেকে জোর করে কিয়ের কিয়ের কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। ও আল্লাহ আল্লাহরে আমার মাথা নেই।’
এদিকে আজ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মুন্সি ও বসুরহাট পৌরসভা জাতীয় পাটির সভাপতি নুরুল হক সবুজের অডিও কথোপকোথন ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই দুটি অডিওতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তাঁর বাহিনী টর্চার সেলে নিয়ে কী ধরনের নির্যাতন করেছে, হুমকি দিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা স্বীকারোক্তি, একাধিক সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া এবং জাতীয় পাটির নেতাদের দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য করার কথোপকোথন রয়েছে।
আজ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে আটকে রেখে পিটিয়ে জখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা জাতীয় পার্টি। এ ঘটনার জন্য বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দায়ী করছেন তাঁরা। আজ বিকেল ৫টায় জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা শেষে টাউন হল মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি অহিদ উদ্দিন মুকুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আলী হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি মিলন শিকদার, যুবসংহতির জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারন সম্পাদক লিটন প্রমুখ। এসময় বক্তারা, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার শাস্তি দাবি করেন। অন্যথায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করার হুমকি দেন।
জানা যায়, বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা জাপা সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়। রাতে তাঁকে আহতাবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাইফুল ইসলাম স্বপন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের সম্মানার্থে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তাঁকে সমর্থন দেন।
তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নির্যাতন করেননি বলে গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টি।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মুন্সি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর জাপা নেতা স্বপন স্ব-ইচ্ছায় জাপার অন্য নেতাদেরসহ মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে স্বাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন। স্বাক্ষাত শেষে সুস্থ অবস্থায় জাপা সভাপতি আবদুল লতিফ মুন্সি, সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজ উল্যাহ সিকদার, পৌর জাতীয়পার্টির সভাপতি নুরুল হক সবুজসহ একত্রে পৌরসভা থেকে নিজ, নিজ গন্তব্যে চলে যান। কিন্তু কয়েকটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ১০ সেপ্টেম্বর ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মিথ্যা, বনোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে, যা দুঃখজনক। একই সঙ্গে ভুল তথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা জানায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয়পার্টি।
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার টর্চার সেলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন। সেই নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তাঁর কান্নায় ভেঙে পড়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও কাদের মির্জার বিচার দাবিতে আজ শনিবার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। ২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে জাপা নেতা বলেন, ‘আমাকে কালামিয়া ম্যানশনের সামনে থেকে মির্জা মিয়া অনুসারী ৩০-৪০ জন ছিল। মির্জা মিয়া কয়, হালার-হুতরে ধর। তখন পুলিশও সাথে ছিল। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে উঠিয়ে নিয়ে যায় পৌরসভার তৃতীয় তলায়। সেখানে ব্যানার ৫ টিতে লেখা ছিল, “বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ”। পাঁচ ঘন্টায় ভাই ও ভাইরে...।’ মুখমণ্ডল, দুই পা দেখিয়ে বলেন, ‘আমার এগাইন.... নাই।’ এ সব কথা বলে তিনি বিলাপ করে কাঁদতে থাকেন।
তিনি আহাজারি করে বলেন, ‘ও আল্লাহ ও আল্লাহ। সেখানে কী জন্য নিয়ে গেছে আমি জানি না। ওইখানে নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও করেছে। আমার বাবা রাজনীতি করেছিলেন, আমিও করিয়ের। কোনো দিন কারো সাথে ভেজাল করিনি। আমার থেকে জোর করে কিয়ের কিয়ের কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে গেছে। ও আল্লাহ আল্লাহরে আমার মাথা নেই।’
এদিকে আজ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মুন্সি ও বসুরহাট পৌরসভা জাতীয় পাটির সভাপতি নুরুল হক সবুজের অডিও কথোপকোথন ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ওই দুটি অডিওতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তাঁর বাহিনী টর্চার সেলে নিয়ে কী ধরনের নির্যাতন করেছে, হুমকি দিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা স্বীকারোক্তি, একাধিক সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া এবং জাতীয় পাটির নেতাদের দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য করার কথোপকোথন রয়েছে।
আজ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে আটকে রেখে পিটিয়ে জখম করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা জাতীয় পার্টি। এ ঘটনার জন্য বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দায়ী করছেন তাঁরা। আজ বিকেল ৫টায় জেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা শেষে টাউন হল মোড়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন আহমেদ মিঠুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি অহিদ উদ্দিন মুকুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আলী হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি মিলন শিকদার, যুবসংহতির জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারন সম্পাদক লিটন প্রমুখ। এসময় বক্তারা, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার শাস্তি দাবি করেন। অন্যথায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয় ঘেরাও করার হুমকি দেন।
জানা যায়, বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে গত বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা জাপা সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়। রাতে তাঁকে আহতাবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাইফুল ইসলাম স্বপন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের সম্মানার্থে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তাঁকে সমর্থন দেন।
তবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনকে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নির্যাতন করেননি বলে গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টি।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ মুন্সি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর জাপা নেতা স্বপন স্ব-ইচ্ছায় জাপার অন্য নেতাদেরসহ মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে স্বাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন। স্বাক্ষাত শেষে সুস্থ অবস্থায় জাপা সভাপতি আবদুল লতিফ মুন্সি, সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজ উল্যাহ সিকদার, পৌর জাতীয়পার্টির সভাপতি নুরুল হক সবুজসহ একত্রে পৌরসভা থেকে নিজ, নিজ গন্তব্যে চলে যান। কিন্তু কয়েকটি গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ১০ সেপ্টেম্বর ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মিথ্যা, বনোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হতে পারে, যা দুঃখজনক। একই সঙ্গে ভুল তথ্য দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা জানায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয়পার্টি।
লক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৩০ মিনিট আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
১ ঘণ্টা আগে