শিপ্ত বড়ুয়া, রামু (কক্সবাজার)
যে কেউ চাইলেই বই পড়তে পারছেন এখানে। বিনা খরচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই পড়ার সুযোগ তৈরি করেছে কক্সবাজারের রামুর সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার। আবার নিবন্ধিত পাঠকেরা ঘরে বই ধার নিয়ে যেতে পারেন।
জ্ঞানের সন্ধানে ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রামু উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মেরংলোয়ায় প্রতিষ্ঠা হয় সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের। উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া সাত বন্ধুর প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে এই গণগ্রন্থাগার। শুরুর দিকে অল্প বই থাকলেও বর্তমানে এই গণগ্রন্থাগারে হাজারের অধিক দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের বই আছে।
সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা সাত বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রামু উপজেলার এই প্রাণকেন্দ্রে পাঠাগার শুরুর সময়টা মোটেও সুখকর ছিল না। নানান চড়াই-উতরাই পার করতে হয়েছে সাহিত্যঘরকে দাঁড় করাতে।
তবে বর্তমানে ভালো অবস্থানের কথাও জানান তাঁরা। সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রিমন বড়ুয়া গেল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় চট্টগ্রামের বি এ এফ শাহীন কলেজ থেকে এইসএসসি পাশ করেছেন। রামুতে শিশু-কিশোরদের বইমুখী করতে বারবার চট্টগ্রাম থেকে ছুটে আসেন তিনি।
সংগঠক রিমন বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইয়ুথ পজিশন বাংলাদেশ নামে আমাদের একটি সামাজিক সংগঠন আছে। আমরা অনেক আগে থেকেই এই সংগঠন থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করছি। রামুতে বর্তমান প্রজন্মের বড় একটি অংশ বই পড়ার কোনো সুযোগ পায় না। কারণ রামুতে কোনো গণগ্রন্থাগার নেই। তাই আমরা সাত বন্ধু মিলে সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার করার উদ্যোগ নিই।’
দেখা গেছে, প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে গ্রন্থাগারটি। গ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক অভিক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘দিনের একটা সময় এই গ্রন্থাগারে কাটাই। হাতে সময় থাকলে এখানে বসেই বই পড়ি এবং মাঝেমধ্যে বই ঘরে ধার নিয়ে যাই।’
এই গ্রন্থাগারে ১০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে পারেন ছাত্র-ছাত্রীরা। আর যাঁরা চাকরিজীবী, তাঁরা ২০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে পারেন। সদস্য হলেই কেবল বই ধার নিয়ে ঘরে নেওয়া যায়। গ্রন্থাগার পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোর উপযোগী বিজ্ঞানবিষয়ক বইয়ের ভালো সংগ্রহ আছে। পাশাপাশি গল্প, রাজনীতি, নাটক ও কবিতার বইও আছে এখানে।
সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের নিবন্ধিত পাঠক কিন্নর সরকার পায়েল নিয়মিত আসেন এখানে। দৈনিক পত্রিকাগুলোতে চোখ বোলানো ছাড়াও ভালো সময় কাটে তাঁর। তিনি বলেন, সাহিত্যঘরে এসে অন্তত জাতীয় একটি পত্রিকা পড়া হয়। অনেক বইয়ে চোখ বোলাতে পারি।
সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের সহপ্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম সাঈদী, অভিপ্সা বড়ুয়া মেঘলা, তামান্না নেওয়াজ এবং পাঠাগার সম্পাদক মেহেদী হাসান কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তা ছাড়া সুবি বড়ুয়া কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং সজীব বড়ুয়া কক্সবাজার সিটি কলেজে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
এদিকে রামুর প্রাণকেন্দ্রে সচল একটি গণগ্রন্থাগার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অনেক বইপ্রেমী। দিনে দিনে আরও ভালো বইয়ের সংখ্যা বাড়বে পাঠাগারটিতে এমনটাই আশা সবার।
যে কেউ চাইলেই বই পড়তে পারছেন এখানে। বিনা খরচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বই পড়ার সুযোগ তৈরি করেছে কক্সবাজারের রামুর সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার। আবার নিবন্ধিত পাঠকেরা ঘরে বই ধার নিয়ে যেতে পারেন।
জ্ঞানের সন্ধানে ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রামু উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মেরংলোয়ায় প্রতিষ্ঠা হয় সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের। উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া সাত বন্ধুর প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে এই গণগ্রন্থাগার। শুরুর দিকে অল্প বই থাকলেও বর্তমানে এই গণগ্রন্থাগারে হাজারের অধিক দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের বই আছে।
সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা সাত বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রামু উপজেলার এই প্রাণকেন্দ্রে পাঠাগার শুরুর সময়টা মোটেও সুখকর ছিল না। নানান চড়াই-উতরাই পার করতে হয়েছে সাহিত্যঘরকে দাঁড় করাতে।
তবে বর্তমানে ভালো অবস্থানের কথাও জানান তাঁরা। সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রিমন বড়ুয়া গেল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় চট্টগ্রামের বি এ এফ শাহীন কলেজ থেকে এইসএসসি পাশ করেছেন। রামুতে শিশু-কিশোরদের বইমুখী করতে বারবার চট্টগ্রাম থেকে ছুটে আসেন তিনি।
সংগঠক রিমন বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইয়ুথ পজিশন বাংলাদেশ নামে আমাদের একটি সামাজিক সংগঠন আছে। আমরা অনেক আগে থেকেই এই সংগঠন থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করছি। রামুতে বর্তমান প্রজন্মের বড় একটি অংশ বই পড়ার কোনো সুযোগ পায় না। কারণ রামুতে কোনো গণগ্রন্থাগার নেই। তাই আমরা সাত বন্ধু মিলে সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগার করার উদ্যোগ নিই।’
দেখা গেছে, প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে গ্রন্থাগারটি। গ্রন্থাগারের নিয়মিত পাঠক অভিক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘দিনের একটা সময় এই গ্রন্থাগারে কাটাই। হাতে সময় থাকলে এখানে বসেই বই পড়ি এবং মাঝেমধ্যে বই ঘরে ধার নিয়ে যাই।’
এই গ্রন্থাগারে ১০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে পারেন ছাত্র-ছাত্রীরা। আর যাঁরা চাকরিজীবী, তাঁরা ২০০ টাকা দিয়ে সদস্য হতে পারেন। সদস্য হলেই কেবল বই ধার নিয়ে ঘরে নেওয়া যায়। গ্রন্থাগার পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, কিশোর উপযোগী বিজ্ঞানবিষয়ক বইয়ের ভালো সংগ্রহ আছে। পাশাপাশি গল্প, রাজনীতি, নাটক ও কবিতার বইও আছে এখানে।
সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের নিবন্ধিত পাঠক কিন্নর সরকার পায়েল নিয়মিত আসেন এখানে। দৈনিক পত্রিকাগুলোতে চোখ বোলানো ছাড়াও ভালো সময় কাটে তাঁর। তিনি বলেন, সাহিত্যঘরে এসে অন্তত জাতীয় একটি পত্রিকা পড়া হয়। অনেক বইয়ে চোখ বোলাতে পারি।
সাহিত্যঘর গণগ্রন্থাগারের সহপ্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম সাঈদী, অভিপ্সা বড়ুয়া মেঘলা, তামান্না নেওয়াজ এবং পাঠাগার সম্পাদক মেহেদী হাসান কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তা ছাড়া সুবি বড়ুয়া কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং সজীব বড়ুয়া কক্সবাজার সিটি কলেজে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
এদিকে রামুর প্রাণকেন্দ্রে সচল একটি গণগ্রন্থাগার পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অনেক বইপ্রেমী। দিনে দিনে আরও ভালো বইয়ের সংখ্যা বাড়বে পাঠাগারটিতে এমনটাই আশা সবার।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৫ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৬ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৬ ঘণ্টা আগে