Ajker Patrika

নোয়াখালীতে মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলেসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪: ৫৮
নোয়াখালীতে মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলেসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামে গৃহবধূ নূর জাহানকে (৫৮) পরিকল্পিতভাবে হত্যা এবং হত্যার পরে মরদেহ পাঁচ টুকরো করার ঘটনায় ছেলে হুমায়ন কবির ও তাঁর ছয় সহযোগীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জাহাজমারা গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে হুমায়ন কবির (২৯), একই গ্রামের মিলন মাঝির ছেলে নীরব (২৮), নূরে আলমের ছেলে নূর ইসলাম (২৮), দুলাল মাঝির ছেলে আবুল কালাম মামুন (২৮), হারুনের ছেলে মিলাদ হোসেন মামুন (২৮), মমিন উল্যার ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫) এবং মারফত উল্যার ছেলে হামিদ (৩৫)। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৭ই অক্টোবর বিকেলে সুবর্ণচরের জাহাজমারা গ্রামের একটি বিলের মাঝের ধানখেতে নূর জাহান নামের ওই নারীর মৃতদেহের একটি অংশ পাওয়া যায়। পরে নিহতের শরীরের আরও চারটি খণ্ড উদ্ধার করে পুলিশ। আগের দিন ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর রাতে খাওয়ার পর নিজের শোওয়ারঘরে ঘুমিয়ে পড়েন নূর জাহান। রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১২টার মধ্যের কোনো এক সময় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হুমায়ন কবির তার ছয় সহযোগীকে নিয়ে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় নূর জাহানকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী মৃতদেহ পাশের একটি ধানখেতে নিয়ে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পাঁচ টুকরা করেন। পরে মৃতদেহের খণ্ডিত অংশগুলো ধানখেত ও একটি বিলের মধ্যে ফেলে দেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

এ ঘটনায় প্রথমে নিহতের ছেলে হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে চরজব্বার থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই মামলার বাদী হুমায়নকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী খুন হয়েছে প্রমাণ মেলে। তখন তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, ‘এ ঘটনায় আদালতে মোট ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, সেহেতু সব আসামির মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমরা খুশি।’ 

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান বলেন, ‘আসামিরা সবাই বয়সে নবীন। যেহেতু পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেহেতু মৃত্যুদণ্ডের রায়টি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসামিদের উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত