শেখ হাসিনার পতনের আগে কোনো সংলাপ নয়: আমীর খসরু মাহমুদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, ‘যতক্ষণ বাংলাদেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না, যতক্ষণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে আসবে না, সমস্ত নাগরিকের সমান অধিকার ফিরে আসবে না, ততক্ষণ নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না। রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হবে, তখনই আলোচনা হবে।’

আজ শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

আমীর খসরু বলেন, ‘সমতল ভূমিতে যখন বাংলাদেশের রাজনীতি আসবে, তখন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তার আগে কোনো নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে না। শেখ হাসিনার মিথ্যা ফাঁদে পা দিয়ে নির্বাচনে গেলে নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়া হবে। তাই পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, আর কোনো নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসবে না বিএনপি।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশে বজ্রপাত শুরু হয়েছে। এটি লজ্জার। এটি দেশের জন্য কলঙ্ক। বাংলাদেশে ভোটে বাধা প্রদানসহ নানা কারণে আমেরিকা ‘ভিসা নীতি’ ঘোষণার পর শেখ হাসিনা ওলটপালট বকছেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রীরা। ভিসা নীতি ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী আবোল-তাবোল বকছেন। এই ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে ৩ মে। অথচ সরকার ২৪ দিন সেটাও পকেটে রেখে গোপন করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের কথা বিবেচনা করে আমেরিকা সেটা প্রকাশ করে দিয়েছেন। 

ভাষণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এ নেতা। তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, দেশে দুর্নীতি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আন্দোলন চলছে, চলবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু ও যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন নিজান ও নাজিম উদ্দিন।
 
এ ছাড়া এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন আহমেদ ও বিএনপি নেতা ভিপি হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

এ জনসমাবেশে জেলা-উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষক দলসহ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে অংশ নেন।