প্রতিনিধি, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)
রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার নব নির্মিত জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এটি নির্মাণের খরচ হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে চলতি বছর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ সৃষ্টি হলেও ৩৮ বছর ধরে কোনো ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কমপ্লেক্স ছিল না। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম কখনো বিদ্যালয়ের কক্ষে, কখনো ভাড়া কক্ষে কিংবা কোনো সামাজিক ক্লাবে চলে আসছিল। সর্বশেষ পরিত্যক্ত অস্থায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে কাটে ১২ বছর। এই দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে আসেন তৎ সময় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় দীর্ঘ সময় পার হলেও উপজেলা মাঠের পাশে জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মিত হলো। দৈর্ঘ্য ৯২ ফুট ১০ ইঞ্চি, প্রস্থ ৬২ ফুট ১০ ইঞ্চি দু’তলা বিশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। রয়েছে ১৫টি কক্ষ। আলাদাভাবে রয়েছে দু’টি টয়লেট ব্যবস্থা। চেয়ারম্যান ও সচিবের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কক্ষ। রয়েছে মিটিং করার জন্য আসবাবপত্র সংবলিত হল রুম।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান বলেন, ১ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। কমপ্লেক্সে রয়েছে ১৫টি কক্ষ। এখানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ইউনিয়ন সেবা প্রদান কর্মীদের জন্য রয়েছে কক্ষ বরাদ্দ।
বৈশ্বিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা।
সাবেক জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমা বলেন, র্দীঘ ৩৮ বছর পর হলেও ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দা একটি স্থায়ী ইউপি কমপ্লেক্স পেতে যাচ্ছেন। এ জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে অবশিষ্ট মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ান বলেন, ৩৮ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম কখনে এখানে, আবার কখনো ওখানে কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা ছিল না। এখন নতুন ভবন হবে একটি ঠিকানা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ সহজে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পল্টু খীসা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সটি নির্মিত হওয়াই প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষি সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। ইউনিয়নবাসী সহজে কৃষি সেবা নিতে পারবে।
আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মোঃমিজানুর রহমান তুহিন বলেন, ইউনিয়ন কমপ্লেক্স হওয়াই সহজে গ্রামের যুব নারী ও পুরুষদের মাদক প্রতিরোধ, আয় বর্ধক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে সহজ হবে। গ্রামীণ উন্নয়নে আনসার ভিডিপির সদস্যদের সম্পৃক্ত করা যাবে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অনিল কুমার চাকমা বলেন, কখনো এমন কমপ্লেক্স নির্মিত হবে ভাবতেই পারিনি। যার একান্ত প্রচেষ্টার এই ভবন নির্মিত হয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী স্যারে কাছে তথা সরকারে কাছে ইউনিয়ন বাসী কৃতজ্ঞ।
জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মিত হওয়াই সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, বর্তমান সরকার সকল ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণে আন্তরিক। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন বিহীন ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। ভবিষ্যতে উপজেলার মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার নব নির্মিত জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এটি নির্মাণের খরচ হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে চলতি বছর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ সৃষ্টি হলেও ৩৮ বছর ধরে কোনো ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কমপ্লেক্স ছিল না। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম কখনো বিদ্যালয়ের কক্ষে, কখনো ভাড়া কক্ষে কিংবা কোনো সামাজিক ক্লাবে চলে আসছিল। সর্বশেষ পরিত্যক্ত অস্থায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে কাটে ১২ বছর। এই দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে আসেন তৎ সময় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী। তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় দীর্ঘ সময় পার হলেও উপজেলা মাঠের পাশে জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মিত হলো। দৈর্ঘ্য ৯২ ফুট ১০ ইঞ্চি, প্রস্থ ৬২ ফুট ১০ ইঞ্চি দু’তলা বিশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। রয়েছে ১৫টি কক্ষ। আলাদাভাবে রয়েছে দু’টি টয়লেট ব্যবস্থা। চেয়ারম্যান ও সচিবের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা কক্ষ। রয়েছে মিটিং করার জন্য আসবাবপত্র সংবলিত হল রুম।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান বলেন, ১ কোটি ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। কমপ্লেক্সে রয়েছে ১৫টি কক্ষ। এখানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ইউনিয়ন সেবা প্রদান কর্মীদের জন্য রয়েছে কক্ষ বরাদ্দ।
বৈশ্বিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা।
সাবেক জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমা বলেন, র্দীঘ ৩৮ বছর পর হলেও ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দা একটি স্থায়ী ইউপি কমপ্লেক্স পেতে যাচ্ছেন। এ জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে অবশিষ্ট মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ান বলেন, ৩৮ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম কখনে এখানে, আবার কখনো ওখানে কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা ছিল না। এখন নতুন ভবন হবে একটি ঠিকানা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ সহজে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পল্টু খীসা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সটি নির্মিত হওয়াই প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষি সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। ইউনিয়নবাসী সহজে কৃষি সেবা নিতে পারবে।
আনসার ভিডিপির কর্মকর্তা মোঃমিজানুর রহমান তুহিন বলেন, ইউনিয়ন কমপ্লেক্স হওয়াই সহজে গ্রামের যুব নারী ও পুরুষদের মাদক প্রতিরোধ, আয় বর্ধক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে সহজ হবে। গ্রামীণ উন্নয়নে আনসার ভিডিপির সদস্যদের সম্পৃক্ত করা যাবে।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব অনিল কুমার চাকমা বলেন, কখনো এমন কমপ্লেক্স নির্মিত হবে ভাবতেই পারিনি। যার একান্ত প্রচেষ্টার এই ভবন নির্মিত হয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী স্যারে কাছে তথা সরকারে কাছে ইউনিয়ন বাসী কৃতজ্ঞ।
জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মিত হওয়াই সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, বর্তমান সরকার সকল ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণে আন্তরিক। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন বিহীন ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। ভবিষ্যতে উপজেলার মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
৮ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১২ মিনিট আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১৬ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৯ ঘণ্টা আগে