নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে এগোচ্ছে না কাজ। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও সেই কাজটিই যথাযথভাবে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, প্রকল্পের টাকাগুলো জলে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক এমন মন্তব্য করেছেন কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরী।
প্রকল্পটিতে চাহিদার তুলনায় অর্থ বরাদ্দ কম দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ছয় বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে গত চার বছরে মাত্র ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এভাবে বরাদ্দ হলে ১০ বছরেও প্রকল্প শেষ হবে না। এ বছর চট্টগ্রামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বন্যা হয়েছে। স্লুইসগেট গেট, রেগুলেটর ইত্যাদির কারণে পানি আরও বেড়ে যাচ্ছে। মানুষকে এটা স্পষ্ট করে বলতে হবে। চট্টগ্রামের মেয়র অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। এ প্রকল্পে কিছু ত্রুটি রয়েছে। বিষয়গুলো নতুন করে ভেবে দেখা উচিত।
বন্দরনগরীর জলাবদ্ধতা দূর করার এই প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া উচিত হয়নি বলে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্তব্য করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়া উচিত ছিল না। এটি ডিএনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) বাঁধের মতোই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। বন্দর এলাকার পাশে ফ্লাডওয়াল করার বিষয়টি প্রকল্পভুক্ত থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ এটি নির্মাণে বাধা দিয়েছে। সিডিএ রাস্তা প্রশস্ত করবে বলে রেগুলেটর নির্মাণ করতে দিচ্ছে না। বরাদ্দের অভাবে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বৈঠকে প্রকল্প পরিচালক জানান, অক্টোবর ২০১৮ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ২৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ১৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৭২ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন থাকায় কাজ করা সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে বলে বৈঠকে জানান প্রকল্প পরিচালক। অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ প্রকল্পের মূল সমস্যা বলেও তিনি উল্লেখ করেন। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দকৃত এক শ কোটি টাকার পাশাপাশি আরও দেড় শ কোটি টাকা পেলে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ব মন্দার কারণে অর্থ বরাদ্দে কিছুটা ধীরগতি আছে। আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি দ্রুত টাকা বরাদ্দের জন্য।
চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১ হাজার ৬২০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। কিন্তু অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে এগোচ্ছে না কাজ। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও সেই কাজটিই যথাযথভাবে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, প্রকল্পের টাকাগুলো জলে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক এমন মন্তব্য করেছেন কমিটির সদস্য সামশুল হক চৌধুরী।
প্রকল্পটিতে চাহিদার তুলনায় অর্থ বরাদ্দ কম দেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ছয় বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে গত চার বছরে মাত্র ৩৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এভাবে বরাদ্দ হলে ১০ বছরেও প্রকল্প শেষ হবে না। এ বছর চট্টগ্রামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বন্যা হয়েছে। স্লুইসগেট গেট, রেগুলেটর ইত্যাদির কারণে পানি আরও বেড়ে যাচ্ছে। মানুষকে এটা স্পষ্ট করে বলতে হবে। চট্টগ্রামের মেয়র অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন। এ প্রকল্পে কিছু ত্রুটি রয়েছে। বিষয়গুলো নতুন করে ভেবে দেখা উচিত।
বন্দরনগরীর জলাবদ্ধতা দূর করার এই প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া উচিত হয়নি বলে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্তব্য করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হওয়া উচিত ছিল না। এটি ডিএনডি (ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা) বাঁধের মতোই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। বন্দর এলাকার পাশে ফ্লাডওয়াল করার বিষয়টি প্রকল্পভুক্ত থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ এটি নির্মাণে বাধা দিয়েছে। সিডিএ রাস্তা প্রশস্ত করবে বলে রেগুলেটর নির্মাণ করতে দিচ্ছে না। বরাদ্দের অভাবে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বৈঠকে প্রকল্প পরিচালক জানান, অক্টোবর ২০১৮ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়িত প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ২৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ১৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ২৭২ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন থাকায় কাজ করা সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়েছে বলে বৈঠকে জানান প্রকল্প পরিচালক। অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ প্রকল্পের মূল সমস্যা বলেও তিনি উল্লেখ করেন। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দকৃত এক শ কোটি টাকার পাশাপাশি আরও দেড় শ কোটি টাকা পেলে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশ্ব মন্দার কারণে অর্থ বরাদ্দে কিছুটা ধীরগতি আছে। আমরা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছি দ্রুত টাকা বরাদ্দের জন্য।
গ্রামের রাস্তায় দোতলা বাস নিয়ে কেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পিকনিকে নিয়ে গিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী জোবায়ের আলম সাকিবের স্বজনেরা। এই দুর্ঘটনার জন্য তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরই গাফিলতি দেখছেন।
২ মিনিট আগেবিগত সরকারের আমলে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন বলে দলীয় নেতা কর্মীদের জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১৪ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদীতে দুই অটোরিকশা চালকের বিরোধ থেকে যুবদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে কুপিয়ে জখম ও একজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগে৯ লাখ টাকার জাল নোট নিয়ে আলু কিনতে রংপুরে যাওয়ার সময় নাটোরে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের নারায়ণপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছে ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে