মহিষের গুঁতোয় নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যাওয়া কৃষকের মৃত্যু

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ১১: ৪৮
আপডেট : ৩০ মে ২০২৩, ১১: ৫৪

নরসিংদীর রায়পুরায় জমিতে কাজের সময় মহিষের আক্রমণে আহত হন কৃষক দম্পতি গোলাপ মিয়া (৭০) ও তাঁর স্ত্রী শিরিয়া বেগম (৬০)। গতকাল সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে গোলাপ মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর স্ত্রী শিরিয়া বেগম। তাঁর নিতম্বে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। 

কৃষক দম্পতির মেয়ে সাথী আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আম্মার অবস্থাও খারাপ। আব্বার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। 

উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিব উল্লাহ হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহিষের আক্রমণে আহত কৃষক গোলাপ মিয়া রাতেই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে। 

ওই মহিষটিকে স্থানীয় কসাই সাবেক ইউপি সদস্য পণ্ডিত মিয়া জবাই করে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজার থেকে কিনে এনেছিলেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর স্ত্রী ঘাস পানি খাওয়ানোর জন্য মহিষটিকে নিয়ে মাঠে যান। একপর্যায়ে এটি দৌড়াতে শুরু করে। এরপর প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে অন্য একটি ফসলি জমিতে যায়। সেখানে কৃষিকাজে ব্যস্ত ছিলেন গোলাপ মিয়া ও তাঁর স্ত্রী শিরিয়া বেগম। দাঁড়িয়ে থাকা শিরিনা বেগমকে শিং দিয়ে কয়েক দফায় নিতম্বে আঘাত করে মহিষটি। এর পরই তাঁকে ওপরে তুলে ঘোরাতে শুরু করে। এ সময় গোলাপ মিয়া স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শিরিয়া বেগমকে নিচে ফেলে দেয়। গোলাপ মিয়া স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে তাঁর পেটে শিং ঢুকিয়ে দেয় মহিষটি। 

ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের মাঠএ সময় ঘটনাস্থলে গোলাপ মিয়ার ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। এ ছাড়া দুজনই মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। এর পরই মহিষটি দৌড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই দম্পতিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কৃষকের মৃত্যু হয়, স্ত্রী চিকিৎসাধীন। এদিকে মহিষটি বিভিন্ন ফসলি জমি নষ্ট করে। পরে স্থানীয়রা মহিষটিকে আটক করে মালিকের কাছে দিয়ে দেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত