ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাঁর ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বে সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেনের কানাইপুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁর বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
অভিযুক্তরা হলেন—ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাফ হোসেন মোল্যা ও তাঁর ভাই খায়রুজ্জামান।
ফকির মো. বেলায়েত হোসেন ওই ইউনিয়ন থেকে দুবার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হোন। তিনি কোতয়ালী থানা শ্রমিক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় (আওয়ামী লীগ) প্রার্থিতা না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হোন। এ ছাড়া সর্বশেষ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছেন।
তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকপন্থী গ্রুপ ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাফ হোসেন মোল্যা। ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ২০১৮ সালে ধানের শিষ প্রতীকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হোন এবং ২০২৩ সালে নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কানাইপুর বাজার সংলগ্ন ফকির মো. বেলায়েত হোসেনের বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তার তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ির নিচে থাকা চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় বাসার জানালা থেকে শুরু করে সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাফ হোসেন মোল্যা ও তাঁর ভাই খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত মানুষ হামলা চালায়। প্রথমে তারা নিচতলার সাটার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেই ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় ঘরে থাকা অনেক আসবাবপত্র ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককে।
স্থানীয়রা জানান, খায়রুজ্জামান এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। খায়রুজ্জামান ও তাঁর বড় ভাই শাহ মো. আলতাফ হোসেন শেখ হাসিনা সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের অনুসারী ছিলেন। তাঁর মাধ্যমে ওই এলাকায় খাজা বাহিনী গড়ে উঠেছে। ওই বাহিনী বিভিন্ন সময় এলাকায় চাঁদাবাজি করে থাকে। কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হতো। এ ছাড়া এলাকায় মাদক কারবারী হিসেবেও পরিচিত। এসব ঘটনায় তাঁর নামে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করতাম। কিন্তু দল ক্ষমতায় থাকলেও হামলা, মামলায় গত চার বছর যাবৎ নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। এই খায়রুজ্জামান ও তাঁর ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনীতি করে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। এখন তারা নিজেদের বিএনপির লোক হিসেবে জাহির করে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। কয়েক দিন আগেও খায়রুজ্জামান তার বাড়ির সামনে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ছবি সংবলিত শোক দিবসের তোরণও নির্মাণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি রামখন্ডপুর গ্রামে চলে আসি। ওই দিনই রাত ১১টার দিকে ডাকাত স্টাইলে আমার বাসভবনে হামলা করে, যা সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে। চেয়ারম্যান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দেন। তারা ভেতরে ঢুকে সবকিছু ভেঙে তছনছ করেছে। ওই বাড়িতে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তারা লুটপাট করে ক্ষান্ত হয়নি, ঘরের আসবাবপত্র নিচে এনে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাফ হোসেন হামলার অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে যে অবস্থা শুরু হয়েছে এ অবস্থার মধ্যে বিভিন্ন খারাপ প্রকৃতির লোকজন লুটপাটে লিপ্ত হয়েছে। হয়তো তার বাড়িতে ওই শ্রেণির লোকজন হামলা ও লুটপাট করেছে। এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য দোষারোপ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় কাজ করেছি। আমি কেন তার বাড়িতে হামলা করতে যাব। উল্টো সেই রাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কানাইপুর বাজারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’
ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাঁর ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বে সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মো. বেলায়েত হোসেনের কানাইপুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁর বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
অভিযুক্তরা হলেন—ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাফ হোসেন মোল্যা ও তাঁর ভাই খায়রুজ্জামান।
ফকির মো. বেলায়েত হোসেন ওই ইউনিয়ন থেকে দুবার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হোন। তিনি কোতয়ালী থানা শ্রমিক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় (আওয়ামী লীগ) প্রার্থিতা না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হোন। এ ছাড়া সর্বশেষ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছেন।
তাঁর প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকপন্থী গ্রুপ ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাফ হোসেন মোল্যা। ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ২০১৮ সালে ধানের শিষ প্রতীকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হোন এবং ২০২৩ সালে নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কানাইপুর বাজার সংলগ্ন ফকির মো. বেলায়েত হোসেনের বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তার তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ির নিচে থাকা চেয়ার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় বাসার জানালা থেকে শুরু করে সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাফ হোসেন মোল্যা ও তাঁর ভাই খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত মানুষ হামলা চালায়। প্রথমে তারা নিচতলার সাটার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেই ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় ঘরে থাকা অনেক আসবাবপত্র ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককে।
স্থানীয়রা জানান, খায়রুজ্জামান এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। খায়রুজ্জামান ও তাঁর বড় ভাই শাহ মো. আলতাফ হোসেন শেখ হাসিনা সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের অনুসারী ছিলেন। তাঁর মাধ্যমে ওই এলাকায় খাজা বাহিনী গড়ে উঠেছে। ওই বাহিনী বিভিন্ন সময় এলাকায় চাঁদাবাজি করে থাকে। কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হতো। এ ছাড়া এলাকায় মাদক কারবারী হিসেবেও পরিচিত। এসব ঘটনায় তাঁর নামে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং একাধিকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন।
ফকির মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করতাম। কিন্তু দল ক্ষমতায় থাকলেও হামলা, মামলায় গত চার বছর যাবৎ নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। এই খায়রুজ্জামান ও তাঁর ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনীতি করে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। এখন তারা নিজেদের বিএনপির লোক হিসেবে জাহির করে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। কয়েক দিন আগেও খায়রুজ্জামান তার বাড়ির সামনে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ছবি সংবলিত শোক দিবসের তোরণও নির্মাণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি রামখন্ডপুর গ্রামে চলে আসি। ওই দিনই রাত ১১টার দিকে ডাকাত স্টাইলে আমার বাসভবনে হামলা করে, যা সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে। চেয়ারম্যান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দেন। তারা ভেতরে ঢুকে সবকিছু ভেঙে তছনছ করেছে। ওই বাড়িতে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তারা লুটপাট করে ক্ষান্ত হয়নি, ঘরের আসবাবপত্র নিচে এনে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাফ হোসেন হামলার অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘দেশে যে অবস্থা শুরু হয়েছে এ অবস্থার মধ্যে বিভিন্ন খারাপ প্রকৃতির লোকজন লুটপাটে লিপ্ত হয়েছে। হয়তো তার বাড়িতে ওই শ্রেণির লোকজন হামলা ও লুটপাট করেছে। এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য দোষারোপ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় কাজ করেছি। আমি কেন তার বাড়িতে হামলা করতে যাব। উল্টো সেই রাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কানাইপুর বাজারে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে