Ajker Patrika

অর্থ পাচারকারীরা অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে: সংসদে সালমা ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অর্থ পাচারকারীরা অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে: সংসদে সালমা ইসলাম

জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম বলেছেন, আমি মনে করি ঋণখেলাপি, ব্যাংক লুটেরা এবং অর্থপাচারকারীরা আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছে। তাই তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। আজ রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চিত্র তুলে ধরে সালমা ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্রি-মিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশে পৌঁছানোর অভিযাত্রা ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু এ অভিযাত্রায় আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর্থিক খাতে চরম অব্যবস্থা। খেলাপি ঋণ লাগামহীন গতিতে বেড়েই চলছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ডলার সংকট বাড়ছে। রিজার্ভ ক্রমাগত নিম্নমুখী। ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। অনেক ব্যাংক রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। 

বর্তমানে দেশের সামনে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সালমা ইসলাম বলেন, এর একটি হচ্ছে দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো। আরেকটি হচ্ছে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং শেষটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক কূটনীতি বাংলাদেশের পক্ষে নিয়ে আসা। দ্রব্যমূল্য কমাতে হলে শুধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিলেই চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডলার সংকটের সমাধান করতে হবে। কারণ ডলার না থাকলে পণ্য আমদানি করা যাবে না। আর তাতে বাজারে পণ্যের সরবরাহ না থাকলে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াবে। 

তিনি আরও বলেন, সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনকি প্রভাবশালী কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। সবাই যাতে ন্যয় বিচার পায় তাও নিশ্চিত করতে হবে। 

সালমা ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে। আমেরিকা, চীন ও ভারত এই তিন দেশই আমাদের রাজনীতি ও অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। সুতরাং কূটনীতিতে ভারসাম্য দরকার। জিএসপি সুবিধা যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সফল কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। ২০২৬ সালের পর আমরা যখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হবো, তখন যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে, সেগুলো মোকাবেলার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর বলেন, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মত। আমাদের গণতন্ত্র ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপ হবে না। ..আমাদের গণতন্ত্র আমেরিকার মত হবে না, যেখানে ইলেকটোরাল কলেজের ২৭৩টি ভোট পেলেই হবে। আমাদের গণতন্ত্র ফ্রানন্সের মত হবে না যেখানে ৫১ শতাংশ ভোট পড়তে হবে। 

নির্বাচনের আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া এ নেতা বলেন, আমাদের গণতন্ত্র নর্থ কোরিয়ার মতও হবে না। যার নাম ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক নর্থ কোরিয়া। যেখানে ডেমোক্রেসির ড’ও নাই, এক দলীয় শাসন। আমাদের গণতন্ত্র আমরা যে ধরনের মানুষ, যে ধরেনের আমাদের কালচার, কাস্টমস, সোসাইটি, শিক্ষা দীক্ষা সে অনুসারেই আমাদের গণতন্ত্র প্রযোজ্য। আমরা যদি আজকে এমেরিকা জাপান ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি উদাহরণ দেই আমরাতো ব্রিটিশ না, আমারাতো জাপানিজ না, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মত হতে হবে। দেখতে হবে গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া চলমান কি না। একদিন হয়ত দেখা যাবে এমন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পৌছে যাবো সমগ্র পৃথিবী আমাদের ধন্যবাদ জানাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত