Ajker Patrika

কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগে সংঘর্ষের পর সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগে সংঘর্ষের পর সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই সংঘর্ষের পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এ সময় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন, সাধারণ সম্পাদক আলীউজ্জামান জামির, শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মাইনুল ইসলাম রিমু বক্তব্য দেন। বক্তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কার দাবি করেন।

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মঞ্চে ওঠা নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইমন নিজামী ও শাহাবুদ্দিন দাড়িয়ার মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এই দুই নেতার সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় ইমন নিজামী, শাহাবুদ্দিন দাড়িয়াসহ পাঁচজন আহত হয়। গুরুতর আহত ইমন নিজামীকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে ইমন নিজামীকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের এক গ্রুপ গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকাএ বিষয়ে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়ার নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতা নেতা ইমন নিজামীকে মারধর করা হয়েছে। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ন্যক্কারজনক কাজের জন্য আমরা শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কার দাবি করছি।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলীউজ্জামান জামির বলেন, ‘আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শামিম দাড়িয়ার বহিষ্কার দাবি করছি। না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম দাড়িয়া দাবি করেন, ‘আমি দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিরসনের চেষ্টা করেছি। কাউকে মারধর করার নির্দেশ দিইনি। বরং কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগ কর্মী আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত