দোকানদারকে মারধর: জাবি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার 

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ২০: ৪৮
আপডেট : ০৭ মে ২০২৩, ২১: ৩৯

দোকানি ও কর্মচারীকে মারধর করায় সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির হোসেন নাহিদ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান জয়কে। 

আজ রোববার বিকেলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার দায়ে এই দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সাব্বির হোসেন নাহিদ (সহসভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) এবং মেহেদী হাসান জয়কে (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। 

সাব্বির হোসেন নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র এবং মেহেদী হাসান জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র। 

তাঁদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার উপযুক্ত কারণসহ জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে সংগঠনটির দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। 

এদিকে বহিষ্কারের আগেই গতকাল শনিবার রাতে সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাঙামাটি এলাকার পানির ট্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন রানা সাভারের পাথালিয়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসের বাসচালক আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রাঙামাটি এলাকার বাসিন্দা। 

ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার পূর্বের কোনো শত্রুতা ছিল না। গতকাল শনিবার রাতে ইসলামনগর বাজার থেকে মশারি কিনে বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাঙামাটি এলাকার পানির ট্যাংকের কাছাকাছি পৌঁছালে সাব্বির ও মেহেদী আমার পথ আটকায়। এরপর তারা আমাকে বলে, তুই ছাত্রদলের ক্যাডারদের আশ্রয় দিস। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করে। পরে বাড়িতে এসে শুনি তারা আমার বাড়িতেও আসছিল। আমাকে না পেয়ে আমার বাবাকে নানান বিষয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে গেছে।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘যত দূর শুনেছি, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন রানার বাসায় জঙ্গি সংগঠনের নেতারা মিটিং করেন। তিনি বাসায় জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের আশ্রয় দেন। তাই আগামী নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে যাতে কোনো ধরনের নাশকতা না করে, সে বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গিয়ে সতর্ক করেছে। তবে মারধরের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আমার জানা নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত