নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শীত যেন উবে গেছে মানুষের ভিড়ে! সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে দর্শনার্থী সংখ্যা এমনিতেই বেশি। তার ওপর ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার শেষ দিন। নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য ও উদ্ভাবনী যন্ত্র দেখতে এবং সেগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড় ছিল ব্যাপক।
ভিড় ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে যেতে হলো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে উদ্ভাবনী কর্নারের দিকে। দেখা গেল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চেয়ার–টেবিল পেতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সাজিয়ে বসে আছেন। চেনা-অচেনা এসব যন্ত্র ঘিরে তাদের ব্যাপক উত্তেজনা।
একটি টেবিল ঘিরে বেশ কয়েকজনের জটলা দেখে উঁকি দিতে চোখে পড়ল একটি ল্যাপটপ আর কিছু তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে টেবিলে। পাশেই লাল প্লাস্টিকের বাক্সে আরও কিছু যন্ত্রপাতি এবং একটি পোলো টি–শার্ট বিছিয়ে রাখা। টি–শার্টের গায়ে লাগানো কয়েকটি সেন্সর। কার্ডগুলোতে যুক্ত তিনটি তার আবার যুক্ত করা হয়েছে ওই লাল বাক্সে।
একটি কাগজে ইংরেজিতে লেখা ‘সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ডিটেকশন উইথ স্মার্ট ড্রেস।’ অর্থাৎ যৌন হয়রানি চিহ্নিতকরণ স্মার্ট পোশাক। স্টলে বসে ছিলেন নোমান ফয়সাল নামে এক যুবক। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই তিনি জানালেন, রাস্তায়, বাসে বা বিভিন্ন জায়গায় যৌন হয়রানি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এটি রোধে তাঁরা বিশেষ একটি পোশাক উদ্ভাবন করেছেন। এই পোশাক মানুষের স্পর্শের তারতম্য নির্ণয় করে যৌন হয়রানিমূলক স্পর্শ চিহ্নিত করবে। হয়রানির শিকার ব্যক্তি ও ঘটনাস্থল সম্পর্কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দেবে স্থানীয় প্রশাসন ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের!
নোমান ফয়সাল সহজ করে জানালেন কীভাবে এই পোশাক কাজ করবে, সে বিষয়ে। এই পোশাকে চারটি প্রেশার (চাপ) সেন্সর কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। একটি মানুষের চারটি স্পর্শকাতর অঙ্গ বিবেচনা করে এই পোশাকের সেসব অংশে সেন্সর কার্ডগুলো লাগানো থাকে। সেসব অঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ হলে ভুক্তভোগী নীরব থাকলেও নোটিফিকেশন চলে যাবে স্থানীয় প্রশাসন বা ভুক্তভোগীর স্বজনদের কাছে।
এই স্মার্ট পোশাক নোটিফিকেশন পাঠানোর মাধ্যমে বাঁচাবে অপহরণের হাত থেকেও। মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ভুক্তভোগী।
শুধু সেন্সর কার্ড, জিএসএম মডিউল এবং জিপিএস ট্র্যাকারের মতো ছোট ছোট কয়েকটি যন্ত্র দিয়েই এমন স্মার্ট পোশাক বানিয়েছেন একদল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। নিজেদের উদ্ভাবিত এমন আরও চারটি যন্ত্র প্রদর্শন করতে মেলায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে বানিয়েছেন এসি লাইট ডিমার। মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপ ইনস্টল করে ঘরের ওয়াইফাই ও ফোনের ডেটা ব্যবহার করে বিদ্যুতের ভোল্টেজ কমানো বাড়ানোর মাধ্যমে লাইট বাল্বের উজ্জ্বলতা কমানো বাড়ানো যাবে। ফলে একই লাইট বাল্ব ডিম লাইট ও স্বাভাবিক লাইট হিসেবে। এই যন্ত্র দিয়েই বিছানায় শুয়ে বা ঘরে না থেকেও লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজের মতো যন্ত্রগুলো চালু বা বন্ধ করা যাবে। মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে এই যন্ত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রায় কুড়ি জন তৃতীয় ও চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীর বানানো মোট ৫টি যন্ত্র প্রদর্শনীর জন্য মেলায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে স্মার্ট হেলথ নোটিফিকেশন সিস্টেম। ছোট্ট একটি বাক্সের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা, হার্ট বিট, ইসিজি ও অক্সিজেন পরিমাপক যন্ত্র।
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধা সম্পন্ন এসব ছোট ছোট যন্ত্রের এমন অন্তত ৩০টি উদ্ভাবক দলের পদচারণায় মুখর ছিল এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার এই অংশ। নানা সফটওয়্যার ভিত্তিক যন্ত্র তো আছেই, সেই সঙ্গে ভিন্ন ধরনের রোবট উদ্ভাবন করে প্রদর্শনীর জন্য এসেছেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলারের একদল শিক্ষার্থী। সেলফ ব্যালান্সিং রোবট, সেলফ ব্যালান্সিং কিউব এবং মাস্ক বটের মতো এসব যন্ত্র বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখছিলেন দর্শনার্থীরা।
শুধু উদ্ভাবনী কর্নারে নয়, কার্নিভ্যাল পয়েন্টে দেশ, বিদেশের নামকরা সব ব্র্যান্ডের আইটি, টেকনোলজি ও সেলফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও নতুন নতুন যন্ত্র প্রদর্শনীর জন্য এসেছিলেন।
দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের স্টলে গিয়ে দেখা গেল, ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে প্যানেল নামে একটি পণ্য ঘিরে দর্শনার্থীদের বেশ কৌতূহল। এটি মূলত অ্যান্ড্রয়েড সুবিধাসম্পন্ন প্রোজেক্টর। প্রোগ্রাম বদলে ব্যবহার করা যাবে শ্রেণিকক্ষের হোয়াইটবোর্ডের মতো। হাই রেজুলেশনের ওয়েব ক্যামেরা সমৃদ্ধ এই ডিসপ্লে ক্লাস, করপোরেট অফিসসহ বিভিন্ন কনফারেন্সে ব্যবহারের কথা বিবেচনায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানালেন স্টলের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র সেলস অফিসার ইমরান হোসাইন। পণ্যটির দাম রাখা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫০ টাকা। সঙ্গে এক বছরের ওয়ারেন্টি।
এ ছাড়া বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং পণ্য, যেমন— রাউটার, সিসি ক্যামেরা, আইপি ফোনের মতো পণ্যগুলোও প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিশেষ মূল্য ছাড়ে বিক্রি হতে দেখা গেছে মেলায়। কার্নিভ্যালের ২৮ নম্বর স্টল স্কাইলিংক ইন্টারন্যাশনালে গিয়ে দেখা যায় এসব পণ্য ও বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং এক্সেসরিজের বিষয়ে দর্শনার্থীদের বেশ আগ্রহ। তবে গত কয়েক দিনে এই স্টলের পণ্যগুলোর মধ্যে বেশি বিক্রি হয়েছে রাউটার। প্রতিষ্ঠানটি সব পণ্যই অফার দিয়ে বিক্রি করেছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরা এবং আইপি ফোনও বিক্রি হয়েছে উল্লেখ করার মতো।
মেলায় আসা যুবক ও তরুণ দর্শনার্থীদের হালনাগাদ স্মার্টফোন ও গেমিং সফটওয়্যারের প্রতি আগ্রহ দেখা গেছে বেশি। উত্তরা থেকে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আফনান রহমান। নতুন ও আপডেট ফিচারের স্মার্টফোনের নেশা তাঁর। তবে আশানুরূপ নতুন স্মার্টফোন মেলার স্টলের প্রদর্শনীতে তাঁর চোখে পড়েনি বলে জানালেন এই তরুণ। নির্দিষ্ট কিছু গেমিং সফটওয়্যারের সন্ধানে মেলায় এসেছিলেন গালিব আহমেদ। কয়েকটি স্টল ঘুরেছেন, তবে পাননি প্রত্যাশার পণ্য।
শেষ দিন সকালে মেলায় আয়োজন করা হয়েছিল প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়া শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শিরোনামের এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তিন দিনের এই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। শেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শীত যেন উবে গেছে মানুষের ভিড়ে! সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে দর্শনার্থী সংখ্যা এমনিতেই বেশি। তার ওপর ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার শেষ দিন। নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য ও উদ্ভাবনী যন্ত্র দেখতে এবং সেগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড় ছিল ব্যাপক।
ভিড় ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে যেতে হলো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে উদ্ভাবনী কর্নারের দিকে। দেখা গেল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চেয়ার–টেবিল পেতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সাজিয়ে বসে আছেন। চেনা-অচেনা এসব যন্ত্র ঘিরে তাদের ব্যাপক উত্তেজনা।
একটি টেবিল ঘিরে বেশ কয়েকজনের জটলা দেখে উঁকি দিতে চোখে পড়ল একটি ল্যাপটপ আর কিছু তার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে টেবিলে। পাশেই লাল প্লাস্টিকের বাক্সে আরও কিছু যন্ত্রপাতি এবং একটি পোলো টি–শার্ট বিছিয়ে রাখা। টি–শার্টের গায়ে লাগানো কয়েকটি সেন্সর। কার্ডগুলোতে যুক্ত তিনটি তার আবার যুক্ত করা হয়েছে ওই লাল বাক্সে।
একটি কাগজে ইংরেজিতে লেখা ‘সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ডিটেকশন উইথ স্মার্ট ড্রেস।’ অর্থাৎ যৌন হয়রানি চিহ্নিতকরণ স্মার্ট পোশাক। স্টলে বসে ছিলেন নোমান ফয়সাল নামে এক যুবক। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই তিনি জানালেন, রাস্তায়, বাসে বা বিভিন্ন জায়গায় যৌন হয়রানি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এটি রোধে তাঁরা বিশেষ একটি পোশাক উদ্ভাবন করেছেন। এই পোশাক মানুষের স্পর্শের তারতম্য নির্ণয় করে যৌন হয়রানিমূলক স্পর্শ চিহ্নিত করবে। হয়রানির শিকার ব্যক্তি ও ঘটনাস্থল সম্পর্কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানিয়ে দেবে স্থানীয় প্রশাসন ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের!
নোমান ফয়সাল সহজ করে জানালেন কীভাবে এই পোশাক কাজ করবে, সে বিষয়ে। এই পোশাকে চারটি প্রেশার (চাপ) সেন্সর কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। একটি মানুষের চারটি স্পর্শকাতর অঙ্গ বিবেচনা করে এই পোশাকের সেসব অংশে সেন্সর কার্ডগুলো লাগানো থাকে। সেসব অঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শ হলে ভুক্তভোগী নীরব থাকলেও নোটিফিকেশন চলে যাবে স্থানীয় প্রশাসন বা ভুক্তভোগীর স্বজনদের কাছে।
এই স্মার্ট পোশাক নোটিফিকেশন পাঠানোর মাধ্যমে বাঁচাবে অপহরণের হাত থেকেও। মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ভুক্তভোগী।
শুধু সেন্সর কার্ড, জিএসএম মডিউল এবং জিপিএস ট্র্যাকারের মতো ছোট ছোট কয়েকটি যন্ত্র দিয়েই এমন স্মার্ট পোশাক বানিয়েছেন একদল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। নিজেদের উদ্ভাবিত এমন আরও চারটি যন্ত্র প্রদর্শন করতে মেলায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে বানিয়েছেন এসি লাইট ডিমার। মোবাইল ফোনে একটি অ্যাপ ইনস্টল করে ঘরের ওয়াইফাই ও ফোনের ডেটা ব্যবহার করে বিদ্যুতের ভোল্টেজ কমানো বাড়ানোর মাধ্যমে লাইট বাল্বের উজ্জ্বলতা কমানো বাড়ানো যাবে। ফলে একই লাইট বাল্ব ডিম লাইট ও স্বাভাবিক লাইট হিসেবে। এই যন্ত্র দিয়েই বিছানায় শুয়ে বা ঘরে না থেকেও লাইট, ফ্যান, টিভি, ফ্রিজের মতো যন্ত্রগুলো চালু বা বন্ধ করা যাবে। মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে এই যন্ত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রায় কুড়ি জন তৃতীয় ও চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীর বানানো মোট ৫টি যন্ত্র প্রদর্শনীর জন্য মেলায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে স্মার্ট হেলথ নোটিফিকেশন সিস্টেম। ছোট্ট একটি বাক্সের মধ্যে শরীরের তাপমাত্রা, হার্ট বিট, ইসিজি ও অক্সিজেন পরিমাপক যন্ত্র।
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুবিধা সম্পন্ন এসব ছোট ছোট যন্ত্রের এমন অন্তত ৩০টি উদ্ভাবক দলের পদচারণায় মুখর ছিল এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার এই অংশ। নানা সফটওয়্যার ভিত্তিক যন্ত্র তো আছেই, সেই সঙ্গে ভিন্ন ধরনের রোবট উদ্ভাবন করে প্রদর্শনীর জন্য এসেছেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলারের একদল শিক্ষার্থী। সেলফ ব্যালান্সিং রোবট, সেলফ ব্যালান্সিং কিউব এবং মাস্ক বটের মতো এসব যন্ত্র বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখছিলেন দর্শনার্থীরা।
শুধু উদ্ভাবনী কর্নারে নয়, কার্নিভ্যাল পয়েন্টে দেশ, বিদেশের নামকরা সব ব্র্যান্ডের আইটি, টেকনোলজি ও সেলফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও নতুন নতুন যন্ত্র প্রদর্শনীর জন্য এসেছিলেন।
দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের স্টলে গিয়ে দেখা গেল, ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে প্যানেল নামে একটি পণ্য ঘিরে দর্শনার্থীদের বেশ কৌতূহল। এটি মূলত অ্যান্ড্রয়েড সুবিধাসম্পন্ন প্রোজেক্টর। প্রোগ্রাম বদলে ব্যবহার করা যাবে শ্রেণিকক্ষের হোয়াইটবোর্ডের মতো। হাই রেজুলেশনের ওয়েব ক্যামেরা সমৃদ্ধ এই ডিসপ্লে ক্লাস, করপোরেট অফিসসহ বিভিন্ন কনফারেন্সে ব্যবহারের কথা বিবেচনায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানালেন স্টলের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র সেলস অফিসার ইমরান হোসাইন। পণ্যটির দাম রাখা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৫০ টাকা। সঙ্গে এক বছরের ওয়ারেন্টি।
এ ছাড়া বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং পণ্য, যেমন— রাউটার, সিসি ক্যামেরা, আইপি ফোনের মতো পণ্যগুলোও প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিশেষ মূল্য ছাড়ে বিক্রি হতে দেখা গেছে মেলায়। কার্নিভ্যালের ২৮ নম্বর স্টল স্কাইলিংক ইন্টারন্যাশনালে গিয়ে দেখা যায় এসব পণ্য ও বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং এক্সেসরিজের বিষয়ে দর্শনার্থীদের বেশ আগ্রহ। তবে গত কয়েক দিনে এই স্টলের পণ্যগুলোর মধ্যে বেশি বিক্রি হয়েছে রাউটার। প্রতিষ্ঠানটি সব পণ্যই অফার দিয়ে বিক্রি করেছে। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরা এবং আইপি ফোনও বিক্রি হয়েছে উল্লেখ করার মতো।
মেলায় আসা যুবক ও তরুণ দর্শনার্থীদের হালনাগাদ স্মার্টফোন ও গেমিং সফটওয়্যারের প্রতি আগ্রহ দেখা গেছে বেশি। উত্তরা থেকে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আফনান রহমান। নতুন ও আপডেট ফিচারের স্মার্টফোনের নেশা তাঁর। তবে আশানুরূপ নতুন স্মার্টফোন মেলার স্টলের প্রদর্শনীতে তাঁর চোখে পড়েনি বলে জানালেন এই তরুণ। নির্দিষ্ট কিছু গেমিং সফটওয়্যারের সন্ধানে মেলায় এসেছিলেন গালিব আহমেদ। কয়েকটি স্টল ঘুরেছেন, তবে পাননি প্রত্যাশার পণ্য।
শেষ দিন সকালে মেলায় আয়োজন করা হয়েছিল প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়া শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শিরোনামের এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তিন দিনের এই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। শেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
১৯ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
২৮ মিনিট আগেবাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১ ঘণ্টা আগে