Ajker Patrika

আইডিয়ালের মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৮ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১৫: ৫১
আইডিয়ালের মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৮ সেপ্টেম্বর

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিল সুমু চৌধুরী এই তারিখ ধার্য করেন।
 
আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু গুলশান থানার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

গত ১ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ অভিযোগ দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।

প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলাটিতে মুশতাককে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী সহযোগিতা করেন বলে বাদী উল্লেখ করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে তাকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন এবং বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করতেন। একপর্যায়ে আসামি মুশতাক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকাছাড়া করবেন বলে হুমকি দেন। 

মামলার বাদী আরও অভিযোগ করেন, মুশতাকের এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে আসামি মুশতাককে তাঁর কক্ষে নিয়ে আসেন এবং ওই সময়ে ছাত্রীকেও ক্লাস থেকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা পাননি এবং অধ্যক্ষ আসামি মুশতাককে অনৈতিক কাজে সাহায্য করতে থাকেন। 

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন বাদী তাঁর মেয়েকে নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে গেলে সেখান থেকে আসামি মুশতাক তাঁর লোকজন দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন, আসামি একেক দিন একেক স্থানে রেখে ছাত্রীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে যৌন নিপীড়ন করেছেন।

উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁওয়ে এসংক্রান্ত অপহরণ মামলা দায়েরের পর আলোচিত রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির সেই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় গত ১৬ জুলাই। ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী জানায় তাকে কেউ অপহরণ করেনি বা ধর্ষণ করেনি। ওই দিন আদালত থেকে নিজ জিম্মায় মুক্তি নিয়ে সে মুশতাকের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসে।

তারও আগে গত ৪ জুলাই মুশতাক হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। সেখানেও ওই ছাত্রী জানায় যে তারা বিয়ে করেছে। উল্লেখ্য, ধর্ষণের এই মামলায়ও মুশতাক হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত