ট্রাফিক বক্স উচ্ছেদে পুলিশের বাধার অভিযোগ, ফিরে গেলেন ডিএনসিসি ম্যাজিস্ট্রেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৪৫
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৩৮

রাজধানীর আসাদগেট এলাকার রাস্তায় একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স উচ্ছেদ করতে গিয়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে পুলিশ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আসাদগেটে আড়ংয়ের বিপরীতে পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসাদগেটে আড়ংয়ের বিপরীতে রাস্তার মাঝখানে কে বা কারা একটি অবৈধ একতলা ভবন নির্মাণ করছে—এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে উচ্ছেদ অভিযানে যাই। গত ১৫ দিন আমরা কারওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ফুটপাত মুক্ত করেছি। আজকেও প্রতিদিনের মতো আমরা উচ্ছেদে গিয়েছিলাম। রাস্তার মাঝে কোনো অবৈধ ভবন হতে পারে না। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর পুলিশ আমাদের উচ্ছেদে বাধা দিয়েছে। এরপর আমরা চলে আসি।’ 

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার শাহেদ আল মাসুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের গাড়ির কাগজপত্র নেই। আমাদের সদস্যরা গাড়ির চালকের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা পালিয়েছে। তারা একটি ইস্যু সৃষ্টি করেছে।’ 

সরেজমিনে দেখা যায়, আসাদগেট এলাকায় রাস্তার মাঝখানে ছোট একটি একতলা পাকা ভবন করা হচ্ছে। চারজন রাজমিস্ত্রি ও সহকারীকে কাজ করতে দেখা গেছে। এখানে আগে শেডের একটি পুলিশ বক্স ছিল, সেটি ভেঙে পাকা পুলিশ বক্স করা হচ্ছে। 

 সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সারা দিন রাস্তায় থাকেন। তাঁদের জামাকাপড়, জিনিসপত্র রাখার জন্য বক্সটি করা হচ্ছে। এখানে আগেও বক্স ছিল, কিন্তু ডিএনসিসি হঠাৎ করে আজকে নতুন করা বক্সটি ভাঙতে আসে। 

ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘পুলিশের বাধার বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কোথাও পুলিশের বক্স করতে হলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনকে জানাতে হবে। না জানিয়ে রাস্তায় কোনো স্থাপনা করা যাবে না।’ 

এ অভিযোগের বিষয়ে শাহেদ আল মাসুদ বলেন, কোনো কিছু উচ্ছেদ করতেই পারে সিটি করপোরেশন, কিন্তু সেটা ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে। তা ছাড়া হাজার হাজার পুলিশ বক্স সারা দেশে, সেগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত তাদের? হঠাৎ করে এটিতে কেন তাদের নজর? 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত