‘স্টুপিড’ নয়, ‘স্টপ ইট’ বলেছি—কথা ঘোরালেন অধ্যক্ষ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০০: ২৭
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯: ৩০

কলেজের মূল ফটক বন্ধ থাকায় ভিড় করছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। ভিড়ের চাপে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এক সাংবাদিক এই পরিস্থিতি দেখে অধ্যক্ষকে ফোন করে জানতে চান, পরীক্ষার্থীদের জন্য কয়টায় গেট খোলা হবে? অধ্যক্ষ কোনো কথা না শুনেই ওই সাংবাদিককে ‘স্টুপিড’ বলে গালি দিয়ে সংযোগ কেটে দেন। 

ঘটনাটি রোববার (৩০ জুন) সকাল ৯টার। অভিযোগ করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আজিজ আহমেদ হুমায়ুনের বিরুদ্ধে।

একটি জাতীয় দৈনিকের কিশোরগঞ্জ ফটো সাংবাদিক সাব্বির হোসেন বলেন, ‘অধ্যক্ষকে ফোন করলে তিনি ধমক দিয়ে বলেন, কলেজের গেট কয়টায় খোলা হবে, এটা আপনি জিজ্ঞেস করার কে? আপনার কাছে বলব কেন, স্টুপিড কোথাকার!’

ওই সাংবাদিক চামড়া বন্দরে কাজ শেষে করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় দেখেন কলেজের গেট বন্ধ। গেটের সামনে শত শত শিক্ষার্থী সড়কে জটলা করছে। এ কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছিল। সাংবাদিক সাব্বির কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে নিজের পরিচয় দিয়ে ‘স্যার’ সম্বোধন করে জিজ্ঞেস করেন, গেট কয়টায় খুলে দেওয়া হবে। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

সাব্বির বিষয়টি জেলার এক সিনিয়র সাংবাদিককে জানান। তিনি অধ্যক্ষ আজিজ আহমেদ হুমায়ুনকে ফোন করেন। অধ্যক্ষ তখন ওই সাংবাদিককে ‘ধুর মিয়া’ বলে কল কেটে দেন। কলেজ অধ্যক্ষের এমন আচরণে তিনি হতভম্ব হয়ে যান।

এ বিষয়ে সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমি চামড়া বন্দর থেকে কিছু ছবি তুলে জেলা শহরে ফিরছিলাম। গেট বন্ধ থাকায় সড়কে শিক্ষার্থীরা জটলা বেঁধে দাঁড়িয়ে ছিল। বৃষ্টি আসারও সম্ভাবনা ছিল। ব্যস্ত সড়ক এটি। গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই কলেজের অধ্যক্ষকে আমি ফোন দিয়েছিলাম। তিনি কিছু না বুঝেই ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন আমার প্রতি। একজন শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে এ রকম আচরণ আশা করিনি।’ 

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আজিজ আহমেদ হুমায়ুন বলেন, ‘বারবার ফোন করতেছে। আমি বলছি, আধা ঘণ্টা পরে ফোন করেন। এখন তো মনে হচ্ছে সব সাংবাদিকের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আর আমি “স্টুপিড” বলিনি। আমি বলেছি, “স্টপ ইট”।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত