Ajker Patrika

বঙ্গবাজারে কাউন্সিলরের লোকজনের হামলার শিকার ২ সাংবাদিক 

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১: ৪৫
বঙ্গবাজারে কাউন্সিলরের লোকজনের হামলার শিকার ২ সাংবাদিক 

রাজধানীর বঙ্গবাজারে কাপড় দেখতে গিয়ে সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়াসহ দুই সাংবাদিক। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা জাগো নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক নাহিদ সাব্বির, এক শিক্ষার্থী ও একজন ব্যবসায়ীও হামলার শিকার হন। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের দোতলায় এ ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁরা জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী, তাঁর স্বামী টাবু, চামেলীর ভাই শাহবাগ থানার বিএনপি পদপ্রত্যাশী রফিকুল ইসলাম স্বপন, মাসুদ ইউসুফ এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যক্ষ মদদে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনামতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূইয়াকে কক্ষের মেঝেতে ফেলে মাথায়, পিঠে, কোমরে, পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়। তাঁর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাহিদকে দোতলায় মারার পর ছাদে তুলে পেটানো হয়। তিনি বাঁ পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। অন্যদিকে এক শিক্ষার্থীর ডান হাতের একটি আঙুলের অগ্রভাগ কেটে ফেলা হয়। 

মারধরের একপর্যায়ে আল সাদীর মোবাইল ছিনতাই করে আক্রমণকারীরা। অন্যদিকে নাহিদের মোবাইল, মানিব্যাগ, বাইকের চাবি, প্রেস আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয়।  

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূইয়ার ওপর হামলা চালানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আল সাদী ভুঁইয়া বলেন, ‘আমি এবং আমার কলিগ নাহিদ ভাই বঙ্গবাজারে বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটে কাপড় দেখতে গিয়েছিলাম। তখন মার্কেটের মালিকপক্ষের কেউ আমাদের চিনতে পেরে বলে, সজল ভাই ওপরে আছেন। তখন আমরা ওপরে গিয়ে দেখি, একটা পক্ষ দরজা ভাঙচুর করছে। তারা মার্কেটের অন্য পক্ষের লোক। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কাউন্সিলর চামেলির ভাই স্বপন ও স্বামী টেবু।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন সজল ভাইয়ের অফিসে যাই, তখন টেবুর ও স্বপনের নেতৃত্বে উপস্থিত আমাদের সবার ওপর হামলা করা হয়। আমরা সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর তারা হামলা করে। এমনকি আমরা সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরে আমাদের ওপর বেশি হামলা করা হয়। বের হয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে আসি। পুলিশের সামনেও তারা আমাদের মারার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ আমাদের কোনো সাহায্য করেনি।’ 

ঘটনার একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। তাঁরা সেখানে সাংবাদিকদের রক্ষা করতে পুলিশকে আহ্বান জানান তাঁরা। 

সারজিস আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আজকে সাংবাদিকসহ অন্যদের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্র-জনতা তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’ 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রোকসানা ইসলাম চামেলীকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ভিসা নীতি দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে: বলছেন কূটনীতিকেরা

বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ছাত্রদল ও এনসিপি

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

ফেরত পাঠাতে ৫০০ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত