সুলতান মাহমুদ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা ১১ মাস ধরে কারাগারে। বারবার জামিন চেয়েও জামিন পাননি। খাদিজা নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে উচ্চ আদালতে যান। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু পরে আপিল বিভাগ স্থগিত করে দেন।
খাদিজা কারাগারে কিন্তু তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস–পরীক্ষা তো থেমে নেই। সেখানে তাঁর বন্ধুরা ক্লাস করছেন, পরীক্ষা দিচ্ছেন। আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বরের আগে আর কোথাও জামিন চেয়ে লাভ হবে না। আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজও (১০ আগস্ট) খাদিজার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে গিয়েছিলাম। দেখা হয়েছে। খাদিজা কারাগারের খাবার খেতে পারছে না। অনেক শুকিয়ে গেছে। খাদিজা বই পড়তে চায়, কিন্তু বই নিতে দিচ্ছে না। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, বই নিতে আদালতের অনুমতি লাগবে। আর আদালত বলছে, খাদিজা যে প্রতিষ্ঠানে পড়ছে সেই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণ লাগবে। আগামী রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব, ডিপার্টমেন্টে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য।’
খাদিজার মা বলেন, ‘খাদিজার সঙ্গে অনেক দিন হয়েছে দেখা হয়নি। মেয়েটার সঙ্গে দেখা হলেই কান্না আসে। বাসার পাশ দিয়ে যখন জগন্নাথের বাস যায় তখন শুধু কান্না আসে। এই বাসেই প্রতিদিন মেয়েটা জগন্নাথে যেত।’
খাদিজার সহপাঠী তানভীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারও (১০ আগস্ট) আমাদের দুইটা ক্লাস ছিল। খাদিজা খুবই মিশুক স্বভাবের মেয়ে। পড়াশোনায়ও খুব ভালো। খাদিজা ১১ মাস ধরে কারাগারে। আমরা ওরে খুব মিস করি। আমরা চাই তাড়াতাড়ি ক্লাসে ফিরে আসুক খাদিজা।’
খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপিল বিভাগ তাঁর জামিন শুনানি চার মাস মুলতবি রেখেছেন। জামিনটা প্রসিডিংয়ের কোনো অংশ না। আগামী ১১ নভেম্বরের পরে শুনানি হবে। খাদিজা বিচার ছাড়াই দীর্ঘ দিন ধরে কারাগারে আছে। যে মামলায় সে কারাগারে আছে সেই মামলার বিচার এখনো শেষ হয়নি। বিচার ছাড়াই কারাগারে আছে, এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সে একটি বিশ্ববিদ্যায়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা থেমে নেই, এই মামলায় খালাস পেলেও সে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে না। জামিন পাওয়াটা তার অধিকার। ডিজিটাল আইনটি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, এখন আইনটি বাতিল করে নতুন একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।’
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।
একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির বাদী কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন। দুই বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে স্ক্রল করতে করতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের টকশোর ভিডিও দেখতে পান। এরপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খাদিজাতুল কুবরা ও দেলোয়ার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা, মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের প্রয়াস চালান।
গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট খাদিজার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত। এরপর গত ১০ জুলাই এই দুই মামলায় তাঁর জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করা হয়। এ সময়ে তাঁর জামিন স্থগিত থাকবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা ১১ মাস ধরে কারাগারে। বারবার জামিন চেয়েও জামিন পাননি। খাদিজা নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে উচ্চ আদালতে যান। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু পরে আপিল বিভাগ স্থগিত করে দেন।
খাদিজা কারাগারে কিন্তু তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস–পরীক্ষা তো থেমে নেই। সেখানে তাঁর বন্ধুরা ক্লাস করছেন, পরীক্ষা দিচ্ছেন। আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বরের আগে আর কোথাও জামিন চেয়ে লাভ হবে না। আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজও (১০ আগস্ট) খাদিজার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে গিয়েছিলাম। দেখা হয়েছে। খাদিজা কারাগারের খাবার খেতে পারছে না। অনেক শুকিয়ে গেছে। খাদিজা বই পড়তে চায়, কিন্তু বই নিতে দিচ্ছে না। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, বই নিতে আদালতের অনুমতি লাগবে। আর আদালত বলছে, খাদিজা যে প্রতিষ্ঠানে পড়ছে সেই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণ লাগবে। আগামী রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাব, ডিপার্টমেন্টে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য।’
খাদিজার মা বলেন, ‘খাদিজার সঙ্গে অনেক দিন হয়েছে দেখা হয়নি। মেয়েটার সঙ্গে দেখা হলেই কান্না আসে। বাসার পাশ দিয়ে যখন জগন্নাথের বাস যায় তখন শুধু কান্না আসে। এই বাসেই প্রতিদিন মেয়েটা জগন্নাথে যেত।’
খাদিজার সহপাঠী তানভীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারও (১০ আগস্ট) আমাদের দুইটা ক্লাস ছিল। খাদিজা খুবই মিশুক স্বভাবের মেয়ে। পড়াশোনায়ও খুব ভালো। খাদিজা ১১ মাস ধরে কারাগারে। আমরা ওরে খুব মিস করি। আমরা চাই তাড়াতাড়ি ক্লাসে ফিরে আসুক খাদিজা।’
খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপিল বিভাগ তাঁর জামিন শুনানি চার মাস মুলতবি রেখেছেন। জামিনটা প্রসিডিংয়ের কোনো অংশ না। আগামী ১১ নভেম্বরের পরে শুনানি হবে। খাদিজা বিচার ছাড়াই দীর্ঘ দিন ধরে কারাগারে আছে। যে মামলায় সে কারাগারে আছে সেই মামলার বিচার এখনো শেষ হয়নি। বিচার ছাড়াই কারাগারে আছে, এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সে একটি বিশ্ববিদ্যায়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস পরীক্ষা থেমে নেই, এই মামলায় খালাস পেলেও সে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে না। জামিন পাওয়াটা তার অধিকার। ডিজিটাল আইনটি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, এখন আইনটি বাতিল করে নতুন একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।’
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।
একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির বাদী কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন। দুই বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে স্ক্রল করতে করতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের টকশোর ভিডিও দেখতে পান। এরপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খাদিজাতুল কুবরা ও দেলোয়ার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা, মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছিলেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের প্রয়াস চালান।
গত বছরের মে মাসে দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত বছরের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে গ্রেপ্তার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট খাদিজার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার জজ আদালত। এরপর গত ১০ জুলাই এই দুই মামলায় তাঁর জামিন শুনানি চার মাসের জন্য মুলতবি করা হয়। এ সময়ে তাঁর জামিন স্থগিত থাকবে।
দেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৩৩ মিনিট আগেদুই দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। উপদেষ্টার দেওয়া দুই দিন কেটে গেছে, কিন্তু কাটেনি বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট। গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপগুলো ঘুরে অধিকাংশ জায়গায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ ঘণ্টা আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে