মদের বিল চাওয়ায় বারে ভাঙচুর করল ছাত্রলীগ, ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

নিজস্ব প্রতিবেদন, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩: ১১

মদ খাওয়ার পর বিল চাওয়ায় বারে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার মধ্যরাতে মহাখালীর জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনালের বারে এই ঘটনা ঘটে। গত রোববার বনানী থানায় মামলা করেছে বার কর্তৃপক্ষ। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা ও ১২০ বোতল মদ লুটের অভিযোগ করা হয়েছে। 

তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘হামলাকারীরা সভাপতি রিপনের সমর্থক।’ 

এ বিষয়ে জানতে গতকাল রাতে সভাপতি রিপনকে ফোন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ফোন কেটে দেন। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগরের নেতৃত্বে এই ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় আরও ছিলেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি লোকমান হোসেন রাহুল, সুলতান ও শাওন, সহসম্পাদক শাওন ও সাব্বির, উপ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নিলয় সেন, উপ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মামুন এবং কর্মী কাউসার ও শাহিন মাতব্বর প্রমুখ। তারা সকলেই সভাপতি রিপনের সমর্থক এবং উচ্ছৃঙ্খল। 

ঘটনার সময় বারে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার আনুমানিক রাত এগারোটার দিকে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনালের বারে মদ খেতে যান। মদ খাওয়া শেষে বিল দেওয়ার কথা বললে তারা বারের ম্যানেজারসহ অন্যান্য স্টাফদের ওপর হামলা করে। তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন বার ম্যানেজার। পরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লকে ফোনে জানায় তারা। পরে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী পাঠানো হয়। তারা বারের গেট তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। 

বারের কর্মচারী উজ্জ্বল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিতুমীর কলেজের কিছু ছেলে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। তারপর আমাদের বারে এসে হামলা করে। এ সময় ক্যাশ ভেঙে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। তিনি আরও জানান, ছাত্রলীগ নেতারা ৭৫ ইঞ্চি একটি টিভি, ২০ থেকে ২৫টি চেয়ার ভাঙচুর করে। বারে থাকা প্রায় চার লাখ টাকার ৪০ বোতল ফরেন হুইস্কি লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ৮০ বোতল কেরুর মদ লুট করে। 

বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হোটেল বারে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটের ঘটনায় রোববার একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে ৪-৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৫০ জনকে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত