ঢাবি প্রতিনিধি
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্রে কোনো বদল ঘটেনি বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে তাঁর আত্মজৈবনিক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাসের তিনটি পর্যায়ে আমার যোগাযোগ ঘটেছে। একটি হলো ঔপনিবেশিক বা ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তানি আমল এবং বাংলাদেশ সময়। এই সময়ে বড় রাষ্ট্র ছোট হলো, আরও ছোট হলো। যেই অভিজ্ঞতা আমি লাভ করেছি, তা হলো রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্রে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। রাষ্ট্রের কাঠামো আমলাতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক বিকাশ পুঁজিবাদী হয়ে গেছে।’
আত্মজৈবনিক এ বক্তৃতায় দেশের বরেণ্য এই শিক্ষক তাঁর জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ এখনো উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়নি উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পরও ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করতাম। সেটা রয়ে গেছে কিন্তু। রাষ্ট্র বদল হয়েছে। তবে উপনিবেশের বদল হয়নি। পাকিস্তানিরা পূর্ববঙ্গকে একটি উপনিবেশ করতে চেয়েছে। আজকে বাংলাদেশ উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। এটা পশ্চিমা উপনিবেশ নয়। এটা বাঙালি বেনিয়াদের উপনিবেশ, যারা বিদেশে টাকা পাচার করে।’
ঢাবির এই ইমেরিটাস অধ্যাপক বলেন, ‘আমার প্রথম অভিজ্ঞতা হলো ১৯৪৩ সালে। আমাদের গ্রামে একজন লোক আত্মহত্যা করেছে। আমরা তখন শিশু। গিয়ে দেখি লোকটি গাছে ঝুলছে। লোকটি বেকার ছিল এবং অনাহারে ভুগছিল। এই আত্মহত্যার ঘটনা আমাকে ব্রিটিশ আমলের কথা মনে করিয়ে দেয়। ব্রিটিশ শাসনের একটি প্রতিচ্ছবি ছিল এটি।’
পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের প্রসঙ্গে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগ; এত বড় দুর্ঘটনা আমাদের ইতিহাসে আর ঘটেনি। পলাশি হলো প্রথম দুর্ঘটনা এবং দেশভাগ হলো দ্বিতীয় দুর্ঘটনা। ১৯৪৭ সালে আমরা এসে স্টেশনে নামলাম। ঢাকায় আমাদের কোনো থাকার জায়গা ছিল না। বহু আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরে নাজিরাবাজার উঠলাম। একটি বিষয় দেখলাম, যারা সরকারি চাকরি করতেন, তাঁরা অবসর নিয়ে এসেছেন। কিন্তু যারা বেসরকারি চাকরি করতেন, ছোটখাটো ব্যবসা করতেন, তাঁরা বেকার হয়ে গেছেন। পাকিস্তানিরা যখন গোয়ালন্দ থেকে স্টিমারে এল, তখন কারও মুখে কোনো আনন্দ দেখলাম না। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যেন একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছে। এটি আমার পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা।’
তৎকালীন সামাজিক অবস্থা নিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা যখন বের হতেন, তখন রিকশা কাপড় দিয়ে (ঢেকে) বের হতেন। কিন্তু বোরকা পরে মেয়েরা রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন—এমনটি আমরা দেখিনি। এখন হিজাব, বোরকা—কীভাবে এল আপনারা দেখেছেন। বাংলাদেশে আমরা দেখেছি টিপ পরার কারণে পুলিশের লোক তাকে মোটরসাইকেল দিয়ে মেরে ফেলতে উদ্ধত হয়েছিল। এই পরিবর্তন আমাদের সামনেই ঘটল। এটি হচ্ছে বাংলাদেশের ছবি।’
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আরেকটি সত্য হলো, ১৯৪৭ সালে যখন আমরা স্বাধীন হলাম, তখন রেশন কার্ড ছিল একটি জরুরি ব্যবস্থা। খাবারের জন্য পচা চাল, দুর্গন্ধযুক্ত গম কলে ভাঙাতে হত। আবার যখন ৭১-এ স্বাধীন হলো, তখন আবার দুর্ভিক্ষ; আবার সেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। সবকিছুর অভাব। এভাবে পরিবর্তন আমরা দেখলাম।’
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে সব সময় সরব একজন ব্যক্তিত্ব। বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি ওসমানী উদ্যান রক্ষা, লালনের আখড়া, আড়িয়াল বিল রক্ষা—এই তিনটি আন্দোলনে ছিলাম। এটা পরিবেশের কারণে নয়, অধিকারের জায়গা থেকে আমি আন্দোলন করেছি। ওসমানী উদ্যান আমাদের খোলা জায়গা। সেটা কেন একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণের জন্য নেওয়া হবে। আড়িয়াল বিলে কেন এয়ারপোর্ট হবে; তাও অবৈজ্ঞানিকভাবে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী উপাচার্য হননি। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এরশাদের সময়ে আমাকে ভাইস চ্যান্সেলর হতে হবে। তার পর হলো আমাদের ইলেকট্রিশিয়ান; সে এসে আমার স্ত্রীকে বলল, “আপা স্যার নাকি ভাইস চ্যান্সেলর হবে। তাহলে তো আমাদের কপাল খুলে যাবে।” আমি তো ভাবলাম এদের যে আশা, আমি তো মেটাতে পারব না। আমার এক সহকর্মী হরলিক্স নিয়ে চলে এলেন; তাঁর ছেলে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। আরও বহুলোক আসছে, দেখা করছে, তাদের সকলের আগ্রহ তো আমি মেটাতে পারব না। একে তো সামরিক শাসন, তার ওপর আবার এতজনের আশা-আকাঙ্ক্ষা। আমি তো মেটাতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে ডিন হয়েছিলাম। তখন আমি বুঝেছি, এটি তো আমার কাজ নয়। আমি তখন আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কী মনে করো?” নাজমা (স্ত্রী) সব কিছু দেখেছে। তার মধ্যেও ভয় ঢুকেছে যে, আমরা যদি এখান থেকে ছেড়ে সেই বড় বাড়িতে চলে যাই, এই যে সামাজিক জীবন, সকলের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব। যখন ফেরত আসব, (তখন) তারা আমাদের কীভাবে দেখবে। নাজমা তখন ছোট করে বলেছিল, “আমি কিন্তু একজন লেকচারারকে বিয়ে করেছিলাম।” আমি তখন বললাম, “এটি আমার পথ নয়।”’
অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ২১টি সাক্ষাৎকার নিয়ে ‘আজ ও আগামীকাল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী গান পরিবেশন করে। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন অধ্যাপক আজফার চৌধুরী।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্রে কোনো বদল ঘটেনি বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর ৮৭তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে তাঁর আত্মজৈবনিক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ইতিহাসের তিনটি পর্যায়ে আমার যোগাযোগ ঘটেছে। একটি হলো ঔপনিবেশিক বা ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তানি আমল এবং বাংলাদেশ সময়। এই সময়ে বড় রাষ্ট্র ছোট হলো, আরও ছোট হলো। যেই অভিজ্ঞতা আমি লাভ করেছি, তা হলো রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্রে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। রাষ্ট্রের কাঠামো আমলাতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক বিকাশ পুঁজিবাদী হয়ে গেছে।’
আত্মজৈবনিক এ বক্তৃতায় দেশের বরেণ্য এই শিক্ষক তাঁর জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ এখনো উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়নি উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পরও ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করতাম। সেটা রয়ে গেছে কিন্তু। রাষ্ট্র বদল হয়েছে। তবে উপনিবেশের বদল হয়নি। পাকিস্তানিরা পূর্ববঙ্গকে একটি উপনিবেশ করতে চেয়েছে। আজকে বাংলাদেশ উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। এটা পশ্চিমা উপনিবেশ নয়। এটা বাঙালি বেনিয়াদের উপনিবেশ, যারা বিদেশে টাকা পাচার করে।’
ঢাবির এই ইমেরিটাস অধ্যাপক বলেন, ‘আমার প্রথম অভিজ্ঞতা হলো ১৯৪৩ সালে। আমাদের গ্রামে একজন লোক আত্মহত্যা করেছে। আমরা তখন শিশু। গিয়ে দেখি লোকটি গাছে ঝুলছে। লোকটি বেকার ছিল এবং অনাহারে ভুগছিল। এই আত্মহত্যার ঘটনা আমাকে ব্রিটিশ আমলের কথা মনে করিয়ে দেয়। ব্রিটিশ শাসনের একটি প্রতিচ্ছবি ছিল এটি।’
পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের প্রসঙ্গে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগ; এত বড় দুর্ঘটনা আমাদের ইতিহাসে আর ঘটেনি। পলাশি হলো প্রথম দুর্ঘটনা এবং দেশভাগ হলো দ্বিতীয় দুর্ঘটনা। ১৯৪৭ সালে আমরা এসে স্টেশনে নামলাম। ঢাকায় আমাদের কোনো থাকার জায়গা ছিল না। বহু আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরে নাজিরাবাজার উঠলাম। একটি বিষয় দেখলাম, যারা সরকারি চাকরি করতেন, তাঁরা অবসর নিয়ে এসেছেন। কিন্তু যারা বেসরকারি চাকরি করতেন, ছোটখাটো ব্যবসা করতেন, তাঁরা বেকার হয়ে গেছেন। পাকিস্তানিরা যখন গোয়ালন্দ থেকে স্টিমারে এল, তখন কারও মুখে কোনো আনন্দ দেখলাম না। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যেন একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছে। এটি আমার পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা।’
তৎকালীন সামাজিক অবস্থা নিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা যখন বের হতেন, তখন রিকশা কাপড় দিয়ে (ঢেকে) বের হতেন। কিন্তু বোরকা পরে মেয়েরা রাস্তাঘাটে চলাফেরা করছেন—এমনটি আমরা দেখিনি। এখন হিজাব, বোরকা—কীভাবে এল আপনারা দেখেছেন। বাংলাদেশে আমরা দেখেছি টিপ পরার কারণে পুলিশের লোক তাকে মোটরসাইকেল দিয়ে মেরে ফেলতে উদ্ধত হয়েছিল। এই পরিবর্তন আমাদের সামনেই ঘটল। এটি হচ্ছে বাংলাদেশের ছবি।’
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আরেকটি সত্য হলো, ১৯৪৭ সালে যখন আমরা স্বাধীন হলাম, তখন রেশন কার্ড ছিল একটি জরুরি ব্যবস্থা। খাবারের জন্য পচা চাল, দুর্গন্ধযুক্ত গম কলে ভাঙাতে হত। আবার যখন ৭১-এ স্বাধীন হলো, তখন আবার দুর্ভিক্ষ; আবার সেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। সবকিছুর অভাব। এভাবে পরিবর্তন আমরা দেখলাম।’
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ, ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে সব সময় সরব একজন ব্যক্তিত্ব। বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি ওসমানী উদ্যান রক্ষা, লালনের আখড়া, আড়িয়াল বিল রক্ষা—এই তিনটি আন্দোলনে ছিলাম। এটা পরিবেশের কারণে নয়, অধিকারের জায়গা থেকে আমি আন্দোলন করেছি। ওসমানী উদ্যান আমাদের খোলা জায়গা। সেটা কেন একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণের জন্য নেওয়া হবে। আড়িয়াল বিলে কেন এয়ারপোর্ট হবে; তাও অবৈজ্ঞানিকভাবে?’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী উপাচার্য হননি। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এরশাদের সময়ে আমাকে ভাইস চ্যান্সেলর হতে হবে। তার পর হলো আমাদের ইলেকট্রিশিয়ান; সে এসে আমার স্ত্রীকে বলল, “আপা স্যার নাকি ভাইস চ্যান্সেলর হবে। তাহলে তো আমাদের কপাল খুলে যাবে।” আমি তো ভাবলাম এদের যে আশা, আমি তো মেটাতে পারব না। আমার এক সহকর্মী হরলিক্স নিয়ে চলে এলেন; তাঁর ছেলে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। আরও বহুলোক আসছে, দেখা করছে, তাদের সকলের আগ্রহ তো আমি মেটাতে পারব না। একে তো সামরিক শাসন, তার ওপর আবার এতজনের আশা-আকাঙ্ক্ষা। আমি তো মেটাতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে ডিন হয়েছিলাম। তখন আমি বুঝেছি, এটি তো আমার কাজ নয়। আমি তখন আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কী মনে করো?” নাজমা (স্ত্রী) সব কিছু দেখেছে। তার মধ্যেও ভয় ঢুকেছে যে, আমরা যদি এখান থেকে ছেড়ে সেই বড় বাড়িতে চলে যাই, এই যে সামাজিক জীবন, সকলের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব। যখন ফেরত আসব, (তখন) তারা আমাদের কীভাবে দেখবে। নাজমা তখন ছোট করে বলেছিল, “আমি কিন্তু একজন লেকচারারকে বিয়ে করেছিলাম।” আমি তখন বললাম, “এটি আমার পথ নয়।”’
অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ২১টি সাক্ষাৎকার নিয়ে ‘আজ ও আগামীকাল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী গান পরিবেশন করে। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন অধ্যাপক আজফার চৌধুরী।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত পদ্মা নদীতে চালু ছিল একটি নৌ-রুট। ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার।
২ মিনিট আগেযশোরের বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর গতকাল শনিবার সারা দেশ থেকে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি।
৯ মিনিট আগেকালাবদর নদের তীরের গ্রাম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া। গভীর রাতে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) শব্দে গ্রামটির মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিরাতে একদল লোক কয়েকটি ট্রলারে এসে এক্সকাভেটর দিয়ে নদের তীরের মাটি কেটে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
২৩ মিনিট আগে