উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরার আহসানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সামনে ৯ দফা দাবিতে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। উত্তরা ১০—নম্বর সেক্টরের ওই হাসপাতালটির সামনে আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তাঁরা।
সর্বশেষ দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত কর্মচারীদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা যায়। হাসপাতালের পেশেন্ট কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে আমরা ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব।’
রমজান আলী বলেন, ‘ধর্মীয় উৎসবে কোনো ছুটি নাই, বোনাসের টাকা দেয় না। এ ছাড়া, হাজিরার টাকা থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে নেয়। সেই টাকাই আমাদের ঈদ বোনাস দেয়। হাসপাতাল থেকে কোনো টাকা দেওয়া হয় না।’
হাসপাতালটিতে ১০ বছর ধরে ক্লিনার পদে চাকরি করেন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ফ্রি চিকিৎসাও পাই না। সাধারণ রোগীদের মতো আমাদেরও টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।’
ক্লিনার রানু আক্তার বলেন, ‘মাতৃকালীন ছুটিও আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে দেয় না। ওই সময় ডিউটি না করলে বেতন কেটে নেয়। আমাদের বাচ্চাদের ডাক্তার দেখালে ভিজিট দিতে হচ্ছে। আমরা কোনো ছাড় পাচ্ছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা পুরোনো আছে, তারা ৮ ঘণ্টা ডিউটি করে, আর যারা নতুন আছে, তারা ১২ ঘণ্টা ডিউটি করে। কিন্তু সবার বেতন সমান।’
আন্দোলনরতদের অভিযোগ—হাসপাতালটিতে যত অনুদান আসে, সব হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই লুটপাট করে খায়, কোনো উন্নয়ন হয় না। চিকিৎসা সামগ্রী নষ্ট হলেও তারা সহজে মেরামত করে না। তাদের আরও অভিযোগ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর-রশিদের শ্যালক ডা. একেএম শাহরিয়ার এখানে পরিচালক (ডেভেলপমেন্ট) হিসেবে দায়িত্বরত। শাহরিয়ার ডিবি হারুনের দাপটে হাসপাতাল ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানা হুমকি ধামকি দেন।
আন্দোলনকারীদের নয় দফা হলো—হাসপাতালে দুই বছরের অধিক সময় ধরে কর্মরত কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ অথবা চুক্তিভিত্তিক আওতায় আনা, দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীদের বাৎসরিক নির্দিষ্ট হারে বেতন বৃদ্ধি করা, ধর্মীয় উৎসব ভাতা কর্মচারীদের বেতন থেকে কর্তন না করে হাসপাতাল থেকে দেওয়া, ধর্মীয় উৎসবের ছুটি বা কোনো বিশেষ প্রয়োজনে কেউ ছুটিতে গেলে বেতন কর্তন না করা, নারী কর্মচারীদের মাতৃকালীন ছুটির সময় বেতন দেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে ছুটি দেওয়া, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলে নোটিশ দেওয়া, হাসপাতালে দুই বছরের অধিক সময় ধরে কর্মরতদের স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা, কর্মচারীদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ফ্রি বেড সেবার প্রাধান্য দেওয়া এবং হাসপাতালে কর্মরত ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের প্রয়োজন অনুসারে সুযোগ-সুবিধা দিতে দেওয়া।
কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও আন্দোলন প্রসঙ্গে জানার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও হাসপাতালটির কোনো কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্তব্য নিতে গেলে মূল ফটকেই নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে পরেন সংবাদকর্মীরা। এ সময় মূল ফটকে দায়িত্বরত সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের ভেতরে যেতে নিষেধ করেছেন। তাই আমরা কাউকে ভেতরে যেতে দেব না।’
রাজধানীর উত্তরার আহসানিয়া মিশন ক্যানসার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সামনে ৯ দফা দাবিতে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। উত্তরা ১০—নম্বর সেক্টরের ওই হাসপাতালটির সামনে আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তাঁরা।
সর্বশেষ দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত কর্মচারীদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা যায়। হাসপাতালের পেশেন্ট কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রমজান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে আমরা ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব।’
রমজান আলী বলেন, ‘ধর্মীয় উৎসবে কোনো ছুটি নাই, বোনাসের টাকা দেয় না। এ ছাড়া, হাজিরার টাকা থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে নেয়। সেই টাকাই আমাদের ঈদ বোনাস দেয়। হাসপাতাল থেকে কোনো টাকা দেওয়া হয় না।’
হাসপাতালটিতে ১০ বছর ধরে ক্লিনার পদে চাকরি করেন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ফ্রি চিকিৎসাও পাই না। সাধারণ রোগীদের মতো আমাদেরও টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।’
ক্লিনার রানু আক্তার বলেন, ‘মাতৃকালীন ছুটিও আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে দেয় না। ওই সময় ডিউটি না করলে বেতন কেটে নেয়। আমাদের বাচ্চাদের ডাক্তার দেখালে ভিজিট দিতে হচ্ছে। আমরা কোনো ছাড় পাচ্ছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা পুরোনো আছে, তারা ৮ ঘণ্টা ডিউটি করে, আর যারা নতুন আছে, তারা ১২ ঘণ্টা ডিউটি করে। কিন্তু সবার বেতন সমান।’
আন্দোলনরতদের অভিযোগ—হাসপাতালটিতে যত অনুদান আসে, সব হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই লুটপাট করে খায়, কোনো উন্নয়ন হয় না। চিকিৎসা সামগ্রী নষ্ট হলেও তারা সহজে মেরামত করে না। তাদের আরও অভিযোগ, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর-রশিদের শ্যালক ডা. একেএম শাহরিয়ার এখানে পরিচালক (ডেভেলপমেন্ট) হিসেবে দায়িত্বরত। শাহরিয়ার ডিবি হারুনের দাপটে হাসপাতাল ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানা হুমকি ধামকি দেন।
আন্দোলনকারীদের নয় দফা হলো—হাসপাতালে দুই বছরের অধিক সময় ধরে কর্মরত কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ অথবা চুক্তিভিত্তিক আওতায় আনা, দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীদের বাৎসরিক নির্দিষ্ট হারে বেতন বৃদ্ধি করা, ধর্মীয় উৎসব ভাতা কর্মচারীদের বেতন থেকে কর্তন না করে হাসপাতাল থেকে দেওয়া, ধর্মীয় উৎসবের ছুটি বা কোনো বিশেষ প্রয়োজনে কেউ ছুটিতে গেলে বেতন কর্তন না করা, নারী কর্মচারীদের মাতৃকালীন ছুটির সময় বেতন দেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে ছুটি দেওয়া, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের কাউকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলে নোটিশ দেওয়া, হাসপাতালে দুই বছরের অধিক সময় ধরে কর্মরতদের স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা, কর্মচারীদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ফ্রি বেড সেবার প্রাধান্য দেওয়া এবং হাসপাতালে কর্মরত ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের প্রয়োজন অনুসারে সুযোগ-সুবিধা দিতে দেওয়া।
কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও আন্দোলন প্রসঙ্গে জানার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও হাসপাতালটির কোনো কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্তব্য নিতে গেলে মূল ফটকেই নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে পরেন সংবাদকর্মীরা। এ সময় মূল ফটকে দায়িত্বরত সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের ভেতরে যেতে নিষেধ করেছেন। তাই আমরা কাউকে ভেতরে যেতে দেব না।’
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
৯ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
৯ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে