আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
টিভি উপস্থাপক মাওলানা শেখ নুরুল ইসলাম ফারুকীকে ইসলামি মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণে খুন করেন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা। আর এই খুনের নেতৃত্বে ছিলেন জেএমবির এক সময়কার অপারেশন প্রধান জামাই ফারুক। ইসলামি বক্তা ফারুকী হত্যা মামলায় আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) এ কথা উল্লেখ করা হয়।
গত ৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার কে এম আবুল কাশেম এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন হাদিসুর রহমান সাগর, আবদুল্লাহ আল তাসনিম নাহিদ, রফিকুল ইসলাম ফারদিন, আবু রায়হান মাহমুদ আবদুল হাদী, মাহমুদ ইবনে বাশার ও রতন চৌধুরী ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলাম রিয়াজ। এঁদের মধ্যে সাগর, নাহিদ ও রতন এখন কারাগারে এবং তিনজন পলাতক। এঁরা সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য ও বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী নেতা।
জামাই ফারুকের নির্দেশ ও প্রত্যক্ষ মদদে মাওলানা ফারুকীকে নির্মমভাবে খুন করা হলেও জামাই ফারুককে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই খুনে অংশগ্রহণ করা আরও চারজন ঢাকা বিভাগের জেএমবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করা নাঈম, জেএমবির সদস্য ইমন, হাফেজ কবির ও আশফাক ই আজিমকেও অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, জামাই ফারুকসহ এই পাঁচজনের খুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেও তাঁদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাঁদের আপাতত অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হলো। ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
এদিকে জঙ্গি তৎপরতায় সংশ্লিষ্টতা থাকা ও ফারুকী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে খোরশেদ আলম ওরফে রুবেলসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়। তবে তদন্তে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাঁদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, খুনিরা নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তাঁরা বিশ্বাস করেছিল যে নুরুল ইসলাম ফারুকী গণমাধ্যমে ইসলাম, নবী, রসুল ও আল্লাহ সম্পর্কে নতুন নতুন কথা বলেছিলেন, যা সরাসরি ইসলামি নিষিদ্ধ। এই কারণে জেএমবি ফারুকীকে খুনের পরিকল্পনা করে। জেএমবির অপারেশন হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জামাই ফারুক তাঁর সহযোগীদের খুনের নির্দেশ দেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ফারুকীকে খুনের আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি বাসায় এবং আশুলিয়ার কামারপাড়া ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের পাশে একটি বাড়িতে খুনিদের নিয়ে সভা হয়। ওই সভায় জামাই ফারুক ছাড়াও আসামি তাসনিম নেতৃত্ব দেন।
২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাড়িতে ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে। পরদিন তাঁর ছেলে ফয়সাল ফারুকী বাদী হয়ে আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রায় ৬০ বছর বয়সী ফারুকী আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তিনি ফারুকী ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি হজ এজেন্সির মালিক ছিলেন এবং দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ৯টি ইসলামিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।
সেদিন যা ঘটেছিল
মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যক্তি ফারুকীর বাসার কল বেল চেপে ভেতরে প্রবেশ করে। ওই বাসায় থাকা ফারুকের আত্মীয় মারুফ হাসান ও ফারুকের মা, নানি, গৃহকর্মী ও অন্যদের হাত-মুখ বেঁধে ফেলে। যারা ঢুকেছিল তাদের প্রত্যেকের হাতে অস্ত্রসহ, দা, ছুরি চাপাতি ছিল। তারা এ সময় ফারুকীর হাত-পা-মুখ বেঁধে গলা কেটে ফেলে।
ঘটনার পর গ্রেপ্তার করা হয় জেএমবি সদস্য হাদীসুর রহমান সাগর ও আব্দুল্লাহ তাসনিমকে। তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ফারুকীকে হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেন। তাঁরাই বলেন, জেএমবির তৎকালীন অপারেশন চিফ জামাই ফারুকের নির্দেশে ফারুকীকে খুন করা হয়েছে। জেএমবির সঙ্গে ইসলামি মতাদর্শে পার্থক্য হওয়ায় এই খুনের পরিকল্পনা হয় এবং পরিকল্পনা সফল করা হয়।
উল্লেখ্য, জামাই ফারুক ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে জেএমবির তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত। ওই সময়ে তাঁকে ধরিয়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে পরে জানা যায়, জামাই ফারুক ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেখানে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।
টিভি উপস্থাপক মাওলানা শেখ নুরুল ইসলাম ফারুকীকে ইসলামি মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণে খুন করেন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা। আর এই খুনের নেতৃত্বে ছিলেন জেএমবির এক সময়কার অপারেশন প্রধান জামাই ফারুক। ইসলামি বক্তা ফারুকী হত্যা মামলায় আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) এ কথা উল্লেখ করা হয়।
গত ৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার কে এম আবুল কাশেম এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন হাদিসুর রহমান সাগর, আবদুল্লাহ আল তাসনিম নাহিদ, রফিকুল ইসলাম ফারদিন, আবু রায়হান মাহমুদ আবদুল হাদী, মাহমুদ ইবনে বাশার ও রতন চৌধুরী ওরফে ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলাম রিয়াজ। এঁদের মধ্যে সাগর, নাহিদ ও রতন এখন কারাগারে এবং তিনজন পলাতক। এঁরা সবাই জেএমবির সক্রিয় সদস্য ও বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী নেতা।
জামাই ফারুকের নির্দেশ ও প্রত্যক্ষ মদদে মাওলানা ফারুকীকে নির্মমভাবে খুন করা হলেও জামাই ফারুককে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই খুনে অংশগ্রহণ করা আরও চারজন ঢাকা বিভাগের জেএমবি প্রধানের দায়িত্ব পালন করা নাঈম, জেএমবির সদস্য ইমন, হাফেজ কবির ও আশফাক ই আজিমকেও অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, জামাই ফারুকসহ এই পাঁচজনের খুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেও তাঁদের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাঁদের আপাতত অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হলো। ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
এদিকে জঙ্গি তৎপরতায় সংশ্লিষ্টতা থাকা ও ফারুকী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে খোরশেদ আলম ওরফে রুবেলসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়। তবে তদন্তে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাঁদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, খুনিরা নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তাঁরা বিশ্বাস করেছিল যে নুরুল ইসলাম ফারুকী গণমাধ্যমে ইসলাম, নবী, রসুল ও আল্লাহ সম্পর্কে নতুন নতুন কথা বলেছিলেন, যা সরাসরি ইসলামি নিষিদ্ধ। এই কারণে জেএমবি ফারুকীকে খুনের পরিকল্পনা করে। জেএমবির অপারেশন হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জামাই ফারুক তাঁর সহযোগীদের খুনের নির্দেশ দেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ফারুকীকে খুনের আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি বাসায় এবং আশুলিয়ার কামারপাড়া ইস্ট ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের পাশে একটি বাড়িতে খুনিদের নিয়ে সভা হয়। ওই সভায় জামাই ফারুক ছাড়াও আসামি তাসনিম নেতৃত্ব দেন।
২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাড়িতে ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে। পরদিন তাঁর ছেলে ফয়সাল ফারুকী বাদী হয়ে আট থেকে নয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রায় ৬০ বছর বয়সী ফারুকী আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। তিনি ফারুকী ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি হজ এজেন্সির মালিক ছিলেন এবং দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ৯টি ইসলামিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন।
সেদিন যা ঘটেছিল
মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর কয়েকজন ব্যক্তি ফারুকীর বাসার কল বেল চেপে ভেতরে প্রবেশ করে। ওই বাসায় থাকা ফারুকের আত্মীয় মারুফ হাসান ও ফারুকের মা, নানি, গৃহকর্মী ও অন্যদের হাত-মুখ বেঁধে ফেলে। যারা ঢুকেছিল তাদের প্রত্যেকের হাতে অস্ত্রসহ, দা, ছুরি চাপাতি ছিল। তারা এ সময় ফারুকীর হাত-পা-মুখ বেঁধে গলা কেটে ফেলে।
ঘটনার পর গ্রেপ্তার করা হয় জেএমবি সদস্য হাদীসুর রহমান সাগর ও আব্দুল্লাহ তাসনিমকে। তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ফারুকীকে হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেন। তাঁরাই বলেন, জেএমবির তৎকালীন অপারেশন চিফ জামাই ফারুকের নির্দেশে ফারুকীকে খুন করা হয়েছে। জেএমবির সঙ্গে ইসলামি মতাদর্শে পার্থক্য হওয়ায় এই খুনের পরিকল্পনা হয় এবং পরিকল্পনা সফল করা হয়।
উল্লেখ্য, জামাই ফারুক ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে জেএমবির তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত। ওই সময়ে তাঁকে ধরিয়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে পরে জানা যায়, জামাই ফারুক ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেখানে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুপাশে ঘন গজারি বন। গাছপালা কেটে বনভূমি উজাড় ও জবরদখল করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগের সংশ্লিষ্টদের তোয়াক্কা না করে রাস্তা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এক প্রভাবশালী। উপজেলা প্রশাসন এই কাজ দ্রুত বন্ধের কথা জানালেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়েনি। এ
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেকে) ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে কোটচাঁদপুরের সামাউল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তাঁর মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
৫ ঘণ্টা আগেজমিসংক্রান্ত সেবা উন্নত করতে খুলনার ৭ উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৯ কোটি টাকা প্রাক্কলনে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসব ভবন নির্মাণ করা হলেও কোনোটি দুই বছর ধরে, আবার কোনোটি তিন বছর ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে। একটি ভবনেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু হয়নি। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চ
৫ ঘণ্টা আগেসাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গঠিত পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্স ঢাকার ২০১২ সালের গ্রিলকাটা চোরের সন্ধানে নেমেছে। এ ছাড়া সম্ভাব্য আরও আটটি বিষয় সামনে রেখে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) নেতৃত্বে গঠিত এই টাস্কফোর্স।
৫ ঘণ্টা আগে