নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তৈরি পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। ১০টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের এই জোট অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে পোশাকশ্রমিকদের জন্য ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানানো হয়। বাজারদর, মজুরি বৃদ্ধি ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রসঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন নামের জোট।
মতবিনিময় সভায় ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চালের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ, ডাল (মোটা দানা) ৯৬ শতাংশ, আটা (প্যাকেট) ৭২ শতাংশ, সয়াবিন তেল (লুজ) ৯৭ শতাংশ, ১ লিটার বোতল ৭৮ শতাংশ, ৫ লিটার বোতল ৯৩ শতাংশ, লবণ ৪০ শতাংশ ও ডিম (হালি) ৫০ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বেঁচে থাকার জন্য ২৫ হাজার টাকার কম মজুরিতে একজন পোশাকশ্রমিক চলতে পারেন না। জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শুধু শ্রমিকের জীবনে নয়, উৎপাদন খাতেও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অনেক গুণ। ফলে শ্রমিক ও শিল্পের স্বার্থেই অতি দ্রুত মজুরি বোর্ড গঠন করে মজুরি বাড়ানো প্রয়োজন। পোশাকশ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির লড়াইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানা তাঁরা।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকেরা বর্তমানে খুব অসহায় সময় পার করছেন। এই দুঃসময়ে তাঁদের কথা সবাইকে ভাবতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের গবেষক মাহিন সুলতানা বলেন, ‘কোন ধরনের মজুরির কথা আমরা বলছি? মানসম্মত নয় কি, বেঁচে থাকার জন্য মজুরি? শুধু বেঁচে থাকার জন্য একটা মজুরি নিয়ে কেন আমরা বাঁচতে চাইব? সেই হিসাবে ২৫ হাজার টাকা মজুরিও অনেক কম। সঞ্চয়, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা—সব মিলিয়ে এই টাকায় কিছু হয় না। এগুলো বাদই থেকে যায়।’ সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দেন তিনি।
মজুরি বাড়লেই গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংস হয়ে যাবে—এই ধারণা মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন গবেষক মাহা মির্জা। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যখন শ্রমিকের বেতন ৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার করার কথা বলা হয়, তখন অনেকেই অনেক কথা বলবে। কিন্তু করোনার সময় পার করে গার্মেন্টস শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং ধসে পড়ার এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণই মালিকপক্ষের বানানো কথা।’
গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন থেকে প্রস্তাবিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো—ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা, মজুরি বোর্ড গঠন করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা, ৬০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চালু করা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা, বাধ্যতামূলক অংশীদারত্বমূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা, প্রতিবছর মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া এবং সোয়েটার ও পিস রেটে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ডাল সিজনে পূর্ণ বেসিক দেওয়া।
তৈরি পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। ১০টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের এই জোট অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে পোশাকশ্রমিকদের জন্য ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানানো হয়। বাজারদর, মজুরি বৃদ্ধি ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রসঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন নামের জোট।
মতবিনিময় সভায় ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে চালের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ, ডাল (মোটা দানা) ৯৬ শতাংশ, আটা (প্যাকেট) ৭২ শতাংশ, সয়াবিন তেল (লুজ) ৯৭ শতাংশ, ১ লিটার বোতল ৭৮ শতাংশ, ৫ লিটার বোতল ৯৩ শতাংশ, লবণ ৪০ শতাংশ ও ডিম (হালি) ৫০ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বেঁচে থাকার জন্য ২৫ হাজার টাকার কম মজুরিতে একজন পোশাকশ্রমিক চলতে পারেন না। জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শুধু শ্রমিকের জীবনে নয়, উৎপাদন খাতেও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অনেক গুণ। ফলে শ্রমিক ও শিল্পের স্বার্থেই অতি দ্রুত মজুরি বোর্ড গঠন করে মজুরি বাড়ানো প্রয়োজন। পোশাকশ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির লড়াইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানা তাঁরা।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকেরা বর্তমানে খুব অসহায় সময় পার করছেন। এই দুঃসময়ে তাঁদের কথা সবাইকে ভাবতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের গবেষক মাহিন সুলতানা বলেন, ‘কোন ধরনের মজুরির কথা আমরা বলছি? মানসম্মত নয় কি, বেঁচে থাকার জন্য মজুরি? শুধু বেঁচে থাকার জন্য একটা মজুরি নিয়ে কেন আমরা বাঁচতে চাইব? সেই হিসাবে ২৫ হাজার টাকা মজুরিও অনেক কম। সঞ্চয়, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা—সব মিলিয়ে এই টাকায় কিছু হয় না। এগুলো বাদই থেকে যায়।’ সরকার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দেন তিনি।
মজুরি বাড়লেই গার্মেন্টস সেক্টর ধ্বংস হয়ে যাবে—এই ধারণা মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন গবেষক মাহা মির্জা। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যখন শ্রমিকের বেতন ৮ হাজার থেকে ২৫ হাজার করার কথা বলা হয়, তখন অনেকেই অনেক কথা বলবে। কিন্তু করোনার সময় পার করে গার্মেন্টস শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং ধসে পড়ার এই ব্যাপারটা সম্পূর্ণই মালিকপক্ষের বানানো কথা।’
গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন থেকে প্রস্তাবিত ছয় দফা দাবিগুলো হলো—ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা, মজুরি বোর্ড গঠন করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা, ৬০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চালু করা করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করা, বাধ্যতামূলক অংশীদারত্বমূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা, প্রতিবছর মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া এবং সোয়েটার ও পিস রেটে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ডাল সিজনে পূর্ণ বেসিক দেওয়া।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় নীলফামারী-১ আসনের (ডোমার-ডিমলা) সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফতাব উদ্দিন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে রংপুর নগরীর সেনপাড়ার গুড় মজিবরের বাড়ি থেকে তাঁকে...
২৭ মিনিট আগেরাজধানীর গাবতলীতে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সামনে শাহী মসজিদ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, আগুনে বস্তির প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগেনেতৃত্বের শূন্যতায় ধুঁকছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি)। তার প্রভাব পড়ছে নগরজীবনে। নগরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দূষণ, যানজট, জলজট, খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, মশার উপদ্রব, সড়কবাতির অভাবে রাতে ভুতুড়ে পরিবেশ—এসব এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
৫ ঘণ্টা আগেদেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে