Ajker Patrika

গাজীপুরে ফসিহ পাগলার মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪: ৪৭
গাজীপুরে ফসিহ পাগলার মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন পোড়াবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত শাহ সুফি ফসিহ উদ্দিন (ফসিহ পাগলার) মাজারে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের পর ঘটনাটি ঘটে। একযোগে মাজারের সীমানা প্রাচীর, মাজারের পাকা ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এবং আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামালে অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পর আশপাশের কয়েকটি মসজিদ থেকে কয়েকশ মুসল্লি ভাড়া করা একটি এসকেভেটর (ভেকু), লাঠি-সোঁটা ও শাবল-রড নিয়ে একযোগে মাজারে হামলা চালায়। তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মাজারের পাকা গেট ও সীমানা প্রাচীর, খাদেমের ঘর, মোমবাতি-আগরবাতি রাখার ঘর ও মাজারের পাকা মূল ভবন এবং কবরস্থান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। পরে সেখানে তাঁরা আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামালে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় মাজারের খাদেম এবং ভক্তরা প্রাণ ভয়ে মাজার থেকে পালিয়ে যায়। 

ভাঙচুরকালে মাজারে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ফসিহ উদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার এক শিক্ষক বলেন, ৮০-এর দশকে মহানগরীর সদর থানা এলাকার পোড়াবাড়ি বাজারের দক্ষিণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মাজারটি গড়ে ওঠে। মাজার চত্বরে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ছাড়াও সেখানে ফসিহ উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা ও মসজিদ রয়েছে। ফসিহ উদ্দিনের ভক্তদের দানের টাকায় এসব মসজিদ-মাদ্রাসার খরচ চলে। 

স্থানীয়দের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, এ মাজারে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও রোববার মেলার নামে নারী-পুরুষের নৃত্য, গাঁজার জমজমাট আসর চলত। এ মাজারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁর ভক্তরা কবুতর, ছাগল, মুরগি এমনকি গরু এনে জবাই করে রান্না করে খাবারের আয়োজন করত। কোনো না কোনো মানত হিসেবে তাঁরা এসব রান্নাবান্না করত। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক মুসল্লি জানান, মাজারের শিরক, বেদআত কার্যক্রম, গাঁজাসেবনসহ নানা অনৈসলামিক কাজক্রম হয়। তাই এলাকার মুসল্লিরা পরামর্শ করেই এ মাজার গুঁড়িয়ে দেয়। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (সদর জোন) সহকারী কমিশনার মো. মাকসুদুর রহমান মাজারে হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে থানা-পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত