শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মোবাইলে গান শোনা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও ৩ শিক্ষার্থী। নিহত সিজানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নড়িয়ার কানারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থী সিজান আকন (১৮) নড়িয়া পৌরসভার মাদবরকান্দি গ্রামের বিল্লাল আকনের ছেলে। তিনি বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতে আহত মুন্না (২০) ও সোহান (১৮) মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত সিজানের বাবা বিল্লাল আকন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন—লাবিব ছৈয়াল (২০), ইব্রাহিম ব্যাপারী জয় (১৯), রাহিম হাওলাদার (২২), নাইম ছৈয়াল (১৮) ও জুবায়ের ছৈয়ালকে (২০) আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারভুক্ত আসামি ইব্রাহিম ব্যাপারী, রাহিম হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নড়িয়া থানা-পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নড়িয়ার মধ্য লোনসিন এলাকায় রাস্তার পাশে মোবাইলের গানের সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান গাইছিল লাবিব ছৈয়াল ও ইব্রাহিম ব্যাপারী। রাস্তায় উচ্চ স্বরে গান করে মানুষকে বিরক্ত করার কারণ জানতে চাইলে সিজান ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় লাবিব ও ইব্রাহিমের। পরবর্তীতে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ি ফেরার পথে মধ্য লোনসিন এলাকায় সিজান ও তাঁর বন্ধুদের ওপর হামলা করে লাবিব ও তাঁর সহযোগীরা। হামলাকারীরা ধারালো ছুরিকাঘাতে সিজান, মুন্না, সোহান ও আসিফকে গুরুরতর আহত করে পালিয়ে যায়।
আরও জানা যায়, রাতেই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে আহত সিজান আকনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতে আহত মুন্না (২০) ও সোহান (১৮) মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বিল্লাল আকন ৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, আগে থেকেই সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে লাবিব ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বিরোধ ছিল সিজান ও তাঁর বন্ধুদের।
নিহত সিজানের বাবা বিল্লাল আকন বলেন, ‘বখাটে লাবিব ও তাঁর বন্ধুরা এলাকায় নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সিজান ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ওদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে তাঁরা আমার ছেলেরে ছুড়ি দিয়া কোপাইয়া মাইরা হালাইছে। সামান্য বিষয় নিয়া এই কিশোর বয়সী ছেলেরা যদি মানুষ মাইরা হালায় তয় সামনে ওরা কি না করতে পারব। আমি আমার ছেলে হত্যাকারী ওই কিশোর গ্যাংয়ের ফাঁসি চাই।’
হামলার শিকার মুন্না ছৈয়ালের মা শিরিন আক্তার বলেন, ‘প্রাইভেট পইড়া বাড়ি ফেরার পথে সিজানকে ছুরি দিয়ে কোপাইতে দেখে আমার ছেলে মুন্না। এ সময় সিজানকে বাঁচাইতে আগাইয়া গেলে লাবিব, ইব্রাহিম ও তাঁর লগে সবাই মুন্নারেও ছুরি দিয়া কোপায়। ছেলের পিঠে ও পেটে ছুরির কোপ লাগছে। ওর অবস্থা ভালো না। আমি এই হামলাকারীদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছে নিহতের বাবা। ঘটনার পর নড়িয়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মোবাইলে গান শোনা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও ৩ শিক্ষার্থী। নিহত সিজানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নড়িয়ার কানারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থী সিজান আকন (১৮) নড়িয়া পৌরসভার মাদবরকান্দি গ্রামের বিল্লাল আকনের ছেলে। তিনি বিহারী লাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতে আহত মুন্না (২০) ও সোহান (১৮) মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত সিজানের বাবা বিল্লাল আকন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন—লাবিব ছৈয়াল (২০), ইব্রাহিম ব্যাপারী জয় (১৯), রাহিম হাওলাদার (২২), নাইম ছৈয়াল (১৮) ও জুবায়ের ছৈয়ালকে (২০) আসামি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহারভুক্ত আসামি ইব্রাহিম ব্যাপারী, রাহিম হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নড়িয়া থানা-পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নড়িয়ার মধ্য লোনসিন এলাকায় রাস্তার পাশে মোবাইলের গানের সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান গাইছিল লাবিব ছৈয়াল ও ইব্রাহিম ব্যাপারী। রাস্তায় উচ্চ স্বরে গান করে মানুষকে বিরক্ত করার কারণ জানতে চাইলে সিজান ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় লাবিব ও ইব্রাহিমের। পরবর্তীতে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে বাড়ি ফেরার পথে মধ্য লোনসিন এলাকায় সিজান ও তাঁর বন্ধুদের ওপর হামলা করে লাবিব ও তাঁর সহযোগীরা। হামলাকারীরা ধারালো ছুরিকাঘাতে সিজান, মুন্না, সোহান ও আসিফকে গুরুরতর আহত করে পালিয়ে যায়।
আরও জানা যায়, রাতেই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে আহত সিজান আকনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতে আহত মুন্না (২০) ও সোহান (১৮) মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বিল্লাল আকন ৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, আগে থেকেই সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে লাবিব ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বিরোধ ছিল সিজান ও তাঁর বন্ধুদের।
নিহত সিজানের বাবা বিল্লাল আকন বলেন, ‘বখাটে লাবিব ও তাঁর বন্ধুরা এলাকায় নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় সিজান ও তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ওদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে তাঁরা আমার ছেলেরে ছুড়ি দিয়া কোপাইয়া মাইরা হালাইছে। সামান্য বিষয় নিয়া এই কিশোর বয়সী ছেলেরা যদি মানুষ মাইরা হালায় তয় সামনে ওরা কি না করতে পারব। আমি আমার ছেলে হত্যাকারী ওই কিশোর গ্যাংয়ের ফাঁসি চাই।’
হামলার শিকার মুন্না ছৈয়ালের মা শিরিন আক্তার বলেন, ‘প্রাইভেট পইড়া বাড়ি ফেরার পথে সিজানকে ছুরি দিয়ে কোপাইতে দেখে আমার ছেলে মুন্না। এ সময় সিজানকে বাঁচাইতে আগাইয়া গেলে লাবিব, ইব্রাহিম ও তাঁর লগে সবাই মুন্নারেও ছুরি দিয়া কোপায়। ছেলের পিঠে ও পেটে ছুরির কোপ লাগছে। ওর অবস্থা ভালো না। আমি এই হামলাকারীদের বিচার চাই।’
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছে নিহতের বাবা। ঘটনার পর নড়িয়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী থানার ২টি হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
১১ মিনিট আগেক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টার ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকারই ‘তল্লাশি’ করতে জনগণকে উসকানি দিয়েছে।
২০ মিনিট আগেযশোর জেলার প্রথম নারী পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার রওনক জাহান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে...
৩২ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে এক তরুণীকে (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দুজন হলেন টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন মাস্টারপাড়া...
৩৭ মিনিট আগে