নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা (ঢাকা)
রাজধানীর তুরাগের ধউর পুলিশ বক্স বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে সুমন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত।
তবে সুমন বলছেন, চায়নারা বক্স ভাংছে। আমি চায়না কোম্পানির কাছ থেকে ভাঙার কন্টাক নিয়েছি। আমি ভাঙার কাজে সহযোগিতা করছি। কোনো কিছুই বিক্রি করি নাই।
পুলিশ বলছে, বক্সটি ভাঙার কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের লোকজন আপাতত আমাদের আরেকটি অস্থায়ী বক্স দিচ্ছে। তাদের কাজ শেষ হলে আমরা যে ডিজাইন দেব, সেই ডিজাইন অনুযায়ী তারা একটি স্থায়ী বক্স করে দেবে।
জানা গেছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ চলমান। সড়কের উন্নয়নকাজের জন্য পুলিশ চেকপোস্টটি সরাতে হচ্ছে। তবে কোনো লিজ ছাড়াই পুলিশ বক্সটির সরকারি মালামাল বিক্রি করছেন সুমন।
বক্স ভাঙার কাজে থাকা একজন শ্রমিক বলেন, ‘পুলিশ বক্স ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে রাসেল। বক্সটি বিক্রি করেছেন সুমন।’
গত ২৩ জুলাই রাত ৮টার দিকে ধউর পুলিশ বক্সে গিয়ে দেখা যায়, রাসেল নামে এক ব্যক্তি তাঁর লোক দিয়ে পুলিশ বক্স ভাঙার কাজ করছেন। আর সেটি দেখভাল করছেন তুরাগ থানার পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের ধউর চেকপোস্টের সোর্স হিসেবে পরিচিত সুমন। বক্সটি ভাঙার কার্যক্রম প্রায় শেষ।
মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হাজিরা কাজ করছি। কাজ করার আগে স্যারেগো (সোর্স সুমন) লগে কথা কইছি। জিজ্ঞাসা করছি, স্যার ভাংতাছি, কোনো সমস্যা অইব নাকি? পরে স্যার বলল, কোনো সমস্যা নাই, তুই কাজ কর।’
রাসেল বলেন, ‘আমি এখানে লেবার দিয়েছি, দিনমজুর হিসেবে কাজ করছি। গত শনিবার পুলিশ বক্স ভাঙার কাজ করেছি। এক ঘণ্টার মতো কাজ করে ২ হাজার টাকার মতো পাইছি।’
শ্রমিক মো. হেলাল বলেন, ‘আমরা দিনমজুর কাজ করছি। আর এই কাজের কন্টাক নিয়েছেন উনি (রাসেল)।’
অন্যদিকে সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চায়নারা বক্স ভাঙছে। আমি চায়না কোম্পানির কাছ থেকে ভাঙার কন্টাক নিয়েছি। তাই আমি ভাঙায় সহযোগিতা করছি। কোনো কিছুই বিক্রি করি নাই। যেগুলো লাগব, সেগুলো রাখমু। আর যেগুলো লাগব না, সেগুলো ছাইড়া দিমু।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রাকে করে পুলিশ বক্সের মালামাল তুরাগের ধউর বেড়িবাঁধসংলগ্ন সরকারি রোডের মো. ইউসুফের গ্রিল ওয়ার্কশপের দোকানে নেওয়া হয়। পরে বক্সের ৬৬৮ কেজি লোহার এঙ্গেল ও খুঁটি ৬৫ টাকা কেজি ধরে ৪৩ হাজার ৪২০ টাকায় বিক্রি করেন সোর্স সুমন।
এ বিষয়ে উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. বদরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য বক্সটি ভাঙা পড়ছে। তার বিনিময়ে ওই কোম্পানির লোকজন আমাদের ক্ষতিপূরণ দেবে। বিস্তারিত আমি কিছু বলতে পারছি না। ওসি বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মওদুত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বক্সটি ভাঙার কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের লোকজন আপাতত আমাদের আরেকটি অস্থায়ী বক্স দিচ্ছে। তাদের কাজ শেষ হলে আমরা যে ডিজাইন দেব, সেই ডিজাইন অনুযায়ী তারা একটি স্থায়ী বক্স করে দেবে।’
সরকারি মালামাল সোর্সের বিক্রির কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মওদুত বলেন, ‘কোম্পানির লোক হয়তো তাকে দিয়ে দিয়েছে। তারা কী করবে না করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’
এদিকে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের একজন ইঞ্জিনিয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ বক্সটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো সোর্সকে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় নাই।’
প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ বক্স কে ভাঙবে, সেটা পুলিশের ব্যাপার। সেটা পুলিশই ভালো বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি থানা-পুলিশকে বক্সটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। পুলিশের মালামাল পুলিশ নেবে। আমরা পুলিশ বক্স সরানোর জন্য কাউকে নিয়োগ করি নাই।’
রাজধানীর তুরাগের ধউর পুলিশ বক্স বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে সুমন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত।
তবে সুমন বলছেন, চায়নারা বক্স ভাংছে। আমি চায়না কোম্পানির কাছ থেকে ভাঙার কন্টাক নিয়েছি। আমি ভাঙার কাজে সহযোগিতা করছি। কোনো কিছুই বিক্রি করি নাই।
পুলিশ বলছে, বক্সটি ভাঙার কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের লোকজন আপাতত আমাদের আরেকটি অস্থায়ী বক্স দিচ্ছে। তাদের কাজ শেষ হলে আমরা যে ডিজাইন দেব, সেই ডিজাইন অনুযায়ী তারা একটি স্থায়ী বক্স করে দেবে।
জানা গেছে, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ চলমান। সড়কের উন্নয়নকাজের জন্য পুলিশ চেকপোস্টটি সরাতে হচ্ছে। তবে কোনো লিজ ছাড়াই পুলিশ বক্সটির সরকারি মালামাল বিক্রি করছেন সুমন।
বক্স ভাঙার কাজে থাকা একজন শ্রমিক বলেন, ‘পুলিশ বক্স ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে রাসেল। বক্সটি বিক্রি করেছেন সুমন।’
গত ২৩ জুলাই রাত ৮টার দিকে ধউর পুলিশ বক্সে গিয়ে দেখা যায়, রাসেল নামে এক ব্যক্তি তাঁর লোক দিয়ে পুলিশ বক্স ভাঙার কাজ করছেন। আর সেটি দেখভাল করছেন তুরাগ থানার পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের ধউর চেকপোস্টের সোর্স হিসেবে পরিচিত সুমন। বক্সটি ভাঙার কার্যক্রম প্রায় শেষ।
মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা হাজিরা কাজ করছি। কাজ করার আগে স্যারেগো (সোর্স সুমন) লগে কথা কইছি। জিজ্ঞাসা করছি, স্যার ভাংতাছি, কোনো সমস্যা অইব নাকি? পরে স্যার বলল, কোনো সমস্যা নাই, তুই কাজ কর।’
রাসেল বলেন, ‘আমি এখানে লেবার দিয়েছি, দিনমজুর হিসেবে কাজ করছি। গত শনিবার পুলিশ বক্স ভাঙার কাজ করেছি। এক ঘণ্টার মতো কাজ করে ২ হাজার টাকার মতো পাইছি।’
শ্রমিক মো. হেলাল বলেন, ‘আমরা দিনমজুর কাজ করছি। আর এই কাজের কন্টাক নিয়েছেন উনি (রাসেল)।’
অন্যদিকে সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চায়নারা বক্স ভাঙছে। আমি চায়না কোম্পানির কাছ থেকে ভাঙার কন্টাক নিয়েছি। তাই আমি ভাঙায় সহযোগিতা করছি। কোনো কিছুই বিক্রি করি নাই। যেগুলো লাগব, সেগুলো রাখমু। আর যেগুলো লাগব না, সেগুলো ছাইড়া দিমু।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্রাকে করে পুলিশ বক্সের মালামাল তুরাগের ধউর বেড়িবাঁধসংলগ্ন সরকারি রোডের মো. ইউসুফের গ্রিল ওয়ার্কশপের দোকানে নেওয়া হয়। পরে বক্সের ৬৬৮ কেজি লোহার এঙ্গেল ও খুঁটি ৬৫ টাকা কেজি ধরে ৪৩ হাজার ৪২০ টাকায় বিক্রি করেন সোর্স সুমন।
এ বিষয়ে উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. বদরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য বক্সটি ভাঙা পড়ছে। তার বিনিময়ে ওই কোম্পানির লোকজন আমাদের ক্ষতিপূরণ দেবে। বিস্তারিত আমি কিছু বলতে পারছি না। ওসি বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মওদুত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বক্সটি ভাঙার কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের লোকজন আপাতত আমাদের আরেকটি অস্থায়ী বক্স দিচ্ছে। তাদের কাজ শেষ হলে আমরা যে ডিজাইন দেব, সেই ডিজাইন অনুযায়ী তারা একটি স্থায়ী বক্স করে দেবে।’
সরকারি মালামাল সোর্সের বিক্রির কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওসি মওদুত বলেন, ‘কোম্পানির লোক হয়তো তাকে দিয়ে দিয়েছে। তারা কী করবে না করবে, সেটা তাদের ব্যাপার।’
এদিকে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের একজন ইঞ্জিনিয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ বক্সটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো সোর্সকে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় নাই।’
প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ বক্স কে ভাঙবে, সেটা পুলিশের ব্যাপার। সেটা পুলিশই ভালো বলতে পারবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি থানা-পুলিশকে বক্সটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। পুলিশের মালামাল পুলিশ নেবে। আমরা পুলিশ বক্স সরানোর জন্য কাউকে নিয়োগ করি নাই।’
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে