Ajker Patrika

টুঙ্গিপাড়ায় মামলার অভিযোগপত্রে দুই যুবককে নাবালক দেখানোর অভিযোগ

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
টুঙ্গিপাড়ায় মামলার অভিযোগপত্রে দুই যুবককে নাবালক দেখানোর অভিযোগ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি দুই যুবককে নাবালক দেখিয়ে অভিযোগপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন আসামিদের হামলায় গুরুতর জখম আহাদ শেখের ছেলে ফরমান শেখ। ২০২২ সালের ১৩ মে উপজেলার গিমাডাঙ্গা গ্রামের নতুন বাজারে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সম্মেলনে ফরমান শেখ বলেন, ২০২২ সালের ১৩ মে বিকেলে নতুন বাজারে ইলিশ বিক্রি করছিলেন ইয়াছিন শেখ (৩৮)। তখন গিমাডাঙ্গা চরপাড়ার কুদরত ফকির (২২) ও রিয়াজুল ফকির (২৩) ইয়াছিনের কাছে বাকিতে ইলিশ কিনতে চান। বাকিতে ইলিশ বিক্রি করতে না চাইলে তাঁকে গালাগাল করেন দুই যুবক। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির পর স্থানীয়রা মীমাংসা করে দিলে তারা চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু কিছু সময় পর ওই দুই যুবক বেশ কয়েকজনকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ইয়াসছিনের ওপর আক্রমণ করে। তখন খবর পেয়ে ইয়াসিনের চাচাতো ভাই আহাদ আলী শেখ সেখানে গেলে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। আঘাতে মাথা দুই ভাগ হয়ে যাওয়া অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসকেরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফরমান আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় তাঁর মা নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। কিন্তু মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আফজাল শাহীন কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেননি। বরং আসামিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাদীর সই নকল করে ছয়জনকে বাদ ও প্রধান দুই আসামিকে নাবালক দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমরা বাড়ি না থাকা অবস্থায় কাজী আফজাল শাহীন আমার বাবার কাছ থেকে নিজের সুবিধামতো জবানবন্দি রেকর্ড করে নিয়ে যান। বর্তমানে টুঙ্গিপাড়া থানা থেকে বদলি হয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জে ডিবিতে কর্মরত। মামলা থেকে নাম কেটে দেওয়া ছয় আসামি প্রতিনিয়ত আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাই ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি কামনা করছি।’

ফরমান শেখ আরও বলেন, মামলার বাদী নুরজাহান বেগম অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন। পরে সেই মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। কিন্তু পিবিআইও প্রধান দুই আসামির বয়স সংশোধন করেনি।

এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) ও বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত কাজী আফজাল শাহিন বলেন, ‘যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেসব ভিত্তিহীন। অভিযুক্তদের জন্ম নিবন্ধন পাওয়ার পরই অভিযোগপত্রে কুদরত ফকিরের বয়স ১৫ ও রিয়াজুল ফকিরের বয়স ১৭ দিয়েছি। এ ছাড়া পিবিআইও তাদের অনুসন্ধানে বয়স একই লিখেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছুদিন হলো আমি টুঙ্গিপাড়া থানায় যোগদান করেছি। আগের মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত