Ajker Patrika

সমাজ পরিবর্তন না হলে প্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে না: শিক্ষা উপমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সমাজ পরিবর্তন না হলে প্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে না: শিক্ষা উপমন্ত্রী

সমাজ পরিবর্তন না হলে প্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ সোমবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘উদ্ভাবনে নারী: জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, প্রযুক্তি ও সমাধানে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান বক্তারা।

এ সময় বক্তারা জানান, গত কয়েক দশকে বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে নারীরা বহু উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষা, চাকরি, গবেষণাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। কিন্তু এখনো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে খাতে নারীরা পিছিয়ে আছেন। ২০২১ সালে প্রযুক্তি খাতের চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ২৫ শতাংশ। প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্বে নারীর অংশগ্রহণ ২০ শতাংশেরও কম। আর ৩৭ শতাংশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা বোর্ডে অন্তত একজন নারী রয়েছেন। 

বক্তারা আরও জানান, স্কুল পর্যায়ে শিক্ষাক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ মেয়ে আর ৪০ শতাংশ ছেলে। কিন্তু চাকরিক্ষেত্রে গিয়ে মেয়েদের সংখ্যা কম। নারীরা কামেল পাস করছে। কিন্তু তাদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রার হতে দেওয়া হয়নি। এখন সামাজিক মাধ্যমেও ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নোভা আহমেদ তাঁর উপস্থাপনায় জানান, গত ৮ বছর ধরে শতাধিক ছাত্র ও শিক্ষকের ওপর তিনি একটি জরিপ পরিচালনা করছেন। সেই জরিপে দেখা গেছে, ৩০ শতাংশেরও বেশি ছাত্র-শিক্ষক মনে করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে কাজ করার ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় কম যোগ্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘সমাজ পরিবর্তন না হলে প্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে না। মেয়েরা কী করবে, ছেলেরা কী করবে, সমাজ এটা ঠিক করে দিচ্ছে। মেয়েদের পড়ানো হচ্ছে গার্হস্থ্য শিক্ষা। আর ছেলেরা পড়ছে কৃষি বিজ্ঞান। মেয়েদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইসের সংখ্যা এক চতুর্থাংশ। অভিভাবকেরা মেয়েদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস দিতে চান না। ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে নারীকে নিয়ন্ত্রণের জন্য। এ সব নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত সবার জন্য বিজ্ঞান শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় চারজন নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন—বাল্যবিবাহ বন্ধের ক্ষেত্রে সানজিদা ইসলাম ছোঁয়া, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কাজ করার জন্য হুমায়রা আহমেদ জেবা, কৃষিক্ষেত্রে অবদান রাখায় গুলশানারা বেগম এবং পেশাগত দিক থেকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় রিকশা মেরামতের কাজে নিয়োজিত নারী পারভীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত