ফুলবাড়িয়া মাঠকে মার্কেট বানানো ছিল ঐতিহাসিক ভুল: আইপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৮: ০৭
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৯: ০২

ফুলবাড়িয়া খেলার মাঠকে মার্কেটে রূপান্তর করা ছিল ঐতিহাসিক ভুল। নগর এলাকায় এভাবে অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে মাঠ কিংবা জলাশয় কোনো কিছুকেই রক্ষা করা যাচ্ছে না। আজ শনিবার ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) আয়োজিত ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড এবং উপ-আনুষ্ঠানিক মার্কেটের অগ্নিঝুঁকি’ শীর্ষক অনলাইন সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন।

সভায় আলোচকেরা বলেন, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের জায়গা আগে ছিল ফুলবাড়িয়া খেলার মাঠ। আশির দশকে তখনকার ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশনের পাশে ছিল এই মাঠ। ১৯৮৫ সালে পৌনে দুই একরের সেই মাঠটি অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে রেলওয়ে। তখন কিছু ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন প্রশাসন। আর এভাবে শুরু বঙ্গবাজারের যাত্রা। 

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, বঙ্গবাজার মার্কেট অগ্নিকাণ্ডের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও শুধু নোটিশ দিয়েই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তথা সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিস দায়মুক্ত হয়েছে। জনগণের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মার্কেটের স্বত্বাধিকারী হিসেবে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব ছিল মার্কেটের অগ্নি নিরাপত্তার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা এবং উদাসীনতারও দায় আছে, যা দোকানমালিক সমিতি ও ব্যবসায়ীরা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোতে নগর এলাকার মার্কেট-বিপণিবিতান কিংবা বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডসহ এই ধরনের বিপর্যয় আরও বাড়তে থাকবে।  

আইপিডি উপদেষ্টা অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের উপানুষ্ঠানিক মার্কেটের বিশদ জরিপের মাধ্যমে ফায়ার কোড ও বিল্ডিং কোড অনুযায়ী অগ্নিঝূঁকি নিরসনে করণীয় সমূহ সুনির্দিষ্ট করতে হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের মার্কেটের অগ্নিঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব।

আলোচনায় আরও অংশ নেন পরিকল্পনাবিদ আবু তাহের, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফরহাদুর রেজা প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত