ছনের আড়ায় অপ্রকৃতিস্থ নারীর ফুটফুটে কন্যাসন্তান প্রসব

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ২২: ৩১
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৩, ২২: ৪১

সড়কের পাশে ছনের আড়ায় ত্রিশোর্ধ্ব অপ্রকৃতিস্থ এক নারীর চেঁচামেচি ও গড়াগড়ি দেখে এগিয়ে যান সকালে ভ্রমণে বের হওয়া মজিরন বেগম (৬৫) সহ আরও দুই নারী। এ সময় তাঁরা দেখেন ওই নারী সন্তান প্রসবের চেষ্টা করছেন। পরে মজিরন বেগম এগিয়ে গেলে সেখানেই ওই নারী কন্যাসন্তান প্রসব করে। শিশুটিকে মায়ের কাছে দিতে চাইলে দূরে সরিয়ে দেয়।

পরে শিশুকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা বিনতে মতিনের কাছে নিয়ে যান মজিরন বেগম। ইউএনও শিশু এবং পুলিশের সহায়তায় ওই নারীকে খুঁজে চিকিৎসার জন্য কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।

এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক নারী-পুরুষ কুমুদিনী হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে ভিড় জমান। কেউ উৎসাহ নিয়ে শিশুটিকে দেখছেন, আবার কেউ শিশুটির দায়িত্ব নিতেও হাসপাতালে যাচ্ছেন।

কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আলী আহসান জানান, মা ও শিশু হাসপাতালে এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারী কবে মির্জাপুর এসেছে তা কেউ বলতে পারেনি। যাঁরা বাচ্চাটিকে ইউএনও অফিসে নিয়ে এসেছেন তাঁরাও ওই নারীকে এর আগে দেখেননি। নাম জিজ্ঞেস করলে তিনটি নাম বলেছে। হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় নাজমা। পরে আবার জিদলী এবং তিথি নামও বলেছে। পিতার নাম বলেছে মশিউর রহমান, বাড়ি বরিশাল। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলেনি। তবে হাসপাতালে রেখেই আমরা চেষ্টা করছি পরিচয় জানতে বলে তিনি জানান।

কুমুদিনী হাসপাতালের উপমহাব্যবস্থাপক অনিমেষ ভৌমিক বলেন, ‘ইউএনও মহোদয় মা এবং নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠান। মা ও শিশুটি এখন আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে এবং তারা সুস্থ আছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা বিনতে মতিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই নারী সঠিকভাবে কথা বলছেন না। আমরা তার সঠিক পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।’ পরিচয় না পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত