Ajker Patrika

গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১৬: ৪৪
গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় রিকশাচালকের শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না, তিনি পলাতক রয়েছেন। 

আজ বুধবার সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন। 

এই মামলার অপর তিন আসামির বয়স জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী শিশু হওয়ায় তাদের বিষয়টি শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জীবন কুমার রায়। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মো. শফিকুল ইসলাম (২৮)। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আমাটি শিবপুর গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। 

এ দিকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ব্যক্তি হলেন মো. শামীম। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন। 

রায় ঘোষণার পরে আসামিপক্ষের স্বজনেরা বলেন, ‘আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’ 

নিহত শামীমের চাচা ও মামলার বাদী মো. মানিক বলেন, ‘কীভাবে পারল ওরা আমার ভাতিজার শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করতে! গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়াই ছিল আমার ভাতিজার দোষ। আদালত আবারও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’ 

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিহত শামীম আসামিদের গাঁজা সেবনে বাধা দেন। এতে আসামিরা ক্ষুব্ধ হয়ে শামীমের সঙ্গে মারপিট করেন। পরে ১০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে শামীম তাঁর দুলাভাইয়ের রিকশা চালানো শেষে বাড়িতে ফেরার সময় শফিকুল ইসলামসহ আরও তিন আসামি (শিশু) তার পথরোধ করে এবং শামীমের মুখ, চোখ, হাত বেঁধে আবারও মারধর করে। একপর্যায়ে আসামিরা শামীমের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। শামীমের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে নেওয়ার পথে শামীমের মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় নিহত শামীমের চাচা মো. মানিক বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ তিন-চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান হাবীব আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জীবন কুমার রায় এবং আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী লুৎফর রশিদ রানা।

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত